জামায়াতে ইসলামীর কয়েকদিন আগে ডাকা হরতালেও রাজপথে দলের নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি।
কোন তৎপরতা ছাড়াই পালিত হয়েছে হরতাল।বিশ্লেষকেরা বলছেন, এর আগে দলের নেতাদের মানবতা বিরোধী অপরাধে শাস্তির হাত থেকে রক্ষায় নেয়া কৌশল কার্যকর না হওয়ায়, দলটি নতুন ধারায় রাজনীতি করার জন্য তৈরি হচ্ছে।
দৈনিক নয়া দিগন্তের নির্বাহী সম্পাদক সালাহউদ্দিন বাবর বলছেন, বিচারাধীন বিষয় হওয়ায়, দলের নেতাদের যুদ্ধাপরাধের বিচারের ইস্যুতে তেমন তৎপরতা বা বড় প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেনি দলটি।
দলটির বর্তমান কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে, নতুন ধারায় রাজনীতি করার জন্য শীর্ষনেতাদের বিচার ও দণ্ডের বিষয়টি হয়ত তারা পেছনে রেখে, সামনে এগুতে চাইছে তারা।
এর আগে দলের দুইজন নেতার ফাঁসি কার্যকর হবার পর, এখন দলের দ্বিতীয় শীর্ষনেতা আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদেরও ফাঁসি হয়েছে।
অপর নেতা শীর্ষ মতিউর রহমান নিজামীর বিচারকার্যও শেষের পথে।
এই অবস্থায় দলে উদ্বেগ রয়েছে।
কিন্তু গত দুইবছর আড়াই বছর ধরে বেকায়দা অবস্থায় রয়েছে।
তা সত্ত্বেও যে প্রতিক্রিয়া দেলাওয়ার হোসেন সাইদীর মামলার রায়ের পর দলটি দেখিয়েছিল সেটি অন্য নেতাদের বিচারে দেখা যাচ্ছেনা কেন, এমন প্রশ্নে জবাবে মি. বাবার বলেন, এর আগে তাদের নেয়া কৌশল কার্যকর হয়নি।
ফলে এখন তাদের ভিন্নভাবে ভাবতে হচ্ছে।
নতুন ধারায় দেশের সংবিধানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে, এবং সুপ্রিম কোর্ট ও নির্বাচন কমিশনের দেয়া শর্ত পূরণ করেই জামায়াত নতুনভাবে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে বলে মনে করেন মি. বাবর। bbc
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন