বাংলাদেশে আপিল বিভাগের এক আদেশের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে তার সেনা কর্মকর্তা স্বামীর বিরুদ্ধে করা মামলার নথি এখন কোর্ট মার্শালে নেয়া যাবেনা বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বাদীপক্ষের আইনজীবীরা আরো বলেছেন, মামলার নথিপত্র কোর্ট মার্শালে নেয়ার উদ্যোগের ব্যাপারে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।এই আদেশের ফলে সাধারণ আদালতে মামলার কার্যক্রম শুরুর বিষয়টি আপাতত স্থগিত থাকবে।
বাদীপক্ষের একজন আইনজীবী অনীক আর হক, বলছেন, আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রাখায় মামলার নথিপত্র কোর্ট মার্শালে নেওয়ার বিষয়টি স্থগিত হয়ে গেল।
এছাড়া আদালত পরবর্তী নির্দেশ দেবার আগে মামলার কার্যক্রমও শুরু হবে না।
মি. হক বলছেন, এর ফলে পুরো মামলার কার্যক্রমেই এক ধরণের স্থগিতাবস্থা আসল।
তবে আগামী সপ্তাহ থেকে পুনরায় এটি শুনানির জন্য তোলা হবে বলে জানিয়েছেন মি. হক।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের একটি বেঞ্চ ঐ আদেশ দেন সোমবার।
জানা যাচ্ছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নুসরাত জাহানকে নির্যাতনের অভিযোগে তাঁর স্বামী মেজর মো. নাজির উদ্দিনের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা চলছিল।
গত ১২ই আগস্ট সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারীও নির্যাতন আইনে করা মামলার বিচার সামরিক আদালতে বা কোর্ট মার্শাল হতে পারে কি না, এ প্রশ্ন ওঠায় মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে এ মামলার নথি কোর্ট মার্শালে বিচারের জন্য পাঠাতে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালকে দেওয়া সেনা সদর দপ্তরের চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে লিভ-টু-আপিল দায়ের করে।
আজ ওই আবেদনের শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ-টু-আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
জানা যাচ্ছে, গত ২রা এপ্রিল টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলাম ভূঁইয়া।
এতে অভিযোগ করা হয়, যৌতুকের দাবিতে তাঁর মেয়ে নুসরাত জাহানকে মারধর করেছেন তাঁর সেনা কর্মকর্তা স্বামী।
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে গত ৩০শে মার্চ এ ঘটনা ঘটে। bbc
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন