মালির রাজধানী বামাকোর এক আন্তর্জাতিক হোটেলে জিম্মি সংকটের অবসান ঘটেছে ইসলামী জঙ্গীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর রক্তাক্ত সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে।
বহু মানুষ এই ঘটনায় নিহত হয়েছেন বলে আশংকা করা হচ্ছে।এই অভিযানের বিস্তারিত খবর এখনো আসছে।
শুক্রবার বামাকোর র্যাডিসন ব্লু হোটেলে যখন জঙ্গীরা আক্রমণ চালায় তখন সেখানে প্রায় ১৩০ জন অতিথি এবং ৩০ জন কর্মী ছিল। এদের সবাইকে জঙ্গীরা আটক করে।
জিম্মিদের উদ্ধারে মালির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যোগ দিয়েছে সেখানে মোতায়েন ফরাসী সেনা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
অভিযানের সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, তাদের লক্ষ্য যত বেশি জিম্মিকে প্রাণে বাঁচানো যায় সেই চেষ্টা করা।
ফ্রান্স থেকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত ৫০ জনের এক পুলিশ কমান্ডো দলও বামাকোর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। হোটেল থেকে প্রচন্ড গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।
কিভাবে এই হামলা হয়েছে তার নানা রকম ভাষ্য পাওয়া যাচ্ছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী, হোটেলের বাগানের এক মালি বলছেন, যে গাড়ীতে করে জঙ্গীরা এসেছিল, সেটিতে ডিপ্লোমেটিক লাইসেন্স প্লেট লাগানো ছিল।
হোটেলের এই কর্মী বলছেন, তিনি যখন হোটেলের চত্ত্বর ঝাড়ু দিচ্ছিলেন, তখন ডিপ্লোমেটিক লাইসেন্স প্লেট লাগানো গাড়ীতে তারা আসে। তবে জঙ্গীরা মুখোশ পরিহিত ছিল। হোটেলের গেটে তাদের থামানোর চেষ্টা করে নিরাপত্তা রক্ষীরা। তখন তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গীরা।
হোটেলের ভেতরে তখন প্রায় ১৪০ জন অতিথি এবং তিরিশ জন কর্মী ছিল। বলা হচ্ছে, অতিথিদের মধ্যে ভারত, চীন, তুরস্ক, ফ্রান্স সহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা ছিলেন। এদের মধ্যে অনেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। এয়ার ফ্রান্সের ১২ জন ক্রু এই হোটেলে জঙ্গীদের হামলার পর আটকে পড়েছিলেন।
কিন্তু এয়ার ফ্রান্স টুইটারে এক বার্তায় একটু আগে জানিয়েছে, তাদের ১২ জনই সেখান থেকে পালাতে পেরেছে।
ভারত সরকার বলছে, এই হোটেলে তাদের বিশ জন নাগরিক ছিল।
এখনো পর্যন্ত কেউ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। কিন্তু মালিতে ইসলামী জঙ্গীরা অনেক দিন ধরেই তৎপর। সেখানে এদের দমনে ফরাসী বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে গত তিন বছর ধরে।
মাত্র গতকালই একটি ইসলামী জঙ্গী দল আনসার আল দীনের এক নেতা ইয়া আগঘালি , ফ্রান্সের বিরুদ্ধে এবং মালিতে তাদের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলার আহ্বান জানিয়েছিল। তারপরই কিন্তু আজ এই ঘটনা ঘটলো। এই দলটি আল কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়। bbc
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন