বগুড়া প্রতিনিধি: অনৈতিক কাজে রাজী না হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়া সরকারি মজিবুর রহমান মহিলা কলেজ হোস্টেলে ছাত্রলীগের এক নারী কর্মীকে চুলের মুঠি ধরে মেরে পিটিয়ে অবশেষে তরকারী কাটা বটি দিয়ে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেত্রী রত্না সরকার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ।
বটির আঘাতে গুরুতর জখম অবস্থায় আক্রমনের শিকার এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মোত্তাকিয়াকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ছাত্রী গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন আক্রমনকারী ছাত্রলীগ নেতৃদের উপর। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঐ ছাত্রী (ছাত্রলীগ কর্মী) মোত্তাকিয়া আকতার ও তার সহযোগীরা সাংবাদিকদের জানায়, ‘অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ায় সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে ছাত্রলীগ নেত্রী রত্না সরকারের নেতৃত্বে এই হামলা ঘটেছে তাদের উপরে’
সুত্র বলছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সরকারি মজিবুর রহমান মহিলা কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। একপক্ষ আরেক পক্ষকে নানা ভাবে হেয় করার চেষ্টা করে আসছিল। একপক্ষের নেতৃত্বে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভানেত্রী আঞ্জুমান আকতার আয়না এবং অপরপক্ষে সাধারণ সম্পাদিকা রত্না সরকার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। রাত ৮টার দিকে সভানেত্রী গ্রুপের কর্মী এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মোত্তাকিয়া আকতারের উপর হামলা চালায় সাধারণ সম্পাদিকা ও তার সহযোগীরা। তাকে এলাপাতারি মারপিট ছাড়াও বটি দিয়ে মাথায় ও পিঠে কুপিয়ে জখম করা হয়।
ছাত্রলীগের সভানেত্রী অভিযোগ করেন, সাধারণ গ্রুপ রাজনৈতিক পরিচয়ে নানা অনৈতিক ও অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়েছে। একই কক্ষে বসবাসকারী কয়েকজন ছাত্রী মোত্তাকিয়া আকতারকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতে চাপ দিয়ে আসছিল। এনিয়ে বিরোধ দেখা দিলে তাকে কুপিয়ে এবং লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়।
তবে রাত সাড়ে ১০টায় কলেজের হোস্টেল সুপার শাহিন সাখাওয়াতের কাছে মোবাইলে এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে তিনি সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, ‘সামান্য কথাকাটাকাটি হয়েছে,ওই বিষয়ে জরুরি মিটিং চলছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে। এসব ঠিক হয়ে যাবে’ ।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১০ সালেও বগুড়ায় সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজ হোস্টেলের ক্যান্টিন পরিচালনা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ছাত্রলীগ সমর্থক দু’গ্রুপের ছাত্রীদের মধ্যে চুলাচুলি, মারপিট ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সে সময় বিষয়টি গনমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হয় ।
সেসময় বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা অধ্যক্ষের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি সামলাতে কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেয় ।
ঘটনা সূত্র জানায়, তামান্না ও কুইন নামে ছাত্রলীগের দুই কর্মী হোস্টেলের ক্যান্টিনের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পায়। এ নিয়ে কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী এবং একই সংগঠনের সিনিয়র কর্মী রিক্তার সঙ্গে তাদের বিরোধ বাধে। উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। রিক্তা সিনিয়র শিক্ষার্থী হওয়ায় দ্বন্দ্ব সিনিয়র-জুনিয়র বিরোধে রূপ নেয়। বুধবার বিকেলে রিক্তার সর্মথক সিনিয়র ছাত্রীরা হোস্টেল চত্বর ও প্রশাসন ভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল বের করে । এক পর্যায়ে এক গ্রুপ অপর গ্রুপের ওপর হামলা চালিয়ে চুল ধরে টানাটানি ও মারপিট করে। পরে এ নিয়ে ধাওয়া ও বিক্ষোভ হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রিক্তা গ্রুপ অধ্যক্ষের রুমে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে অবস্থান নেয়।
খবর পেয়ে ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ক্যাম্পাসে গিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন।
ঘটনা সূত্র জানায়, তামান্না ও কুইন নামে ছাত্রলীগের দুই কর্মী হোস্টেলের ক্যান্টিনের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পায়। এ নিয়ে কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী এবং একই সংগঠনের সিনিয়র কর্মী রিক্তার সঙ্গে তাদের বিরোধ বাধে। উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। রিক্তা সিনিয়র শিক্ষার্থী হওয়ায় দ্বন্দ্ব সিনিয়র-জুনিয়র বিরোধে রূপ নেয়। বুধবার বিকেলে রিক্তার সর্মথক সিনিয়র ছাত্রীরা হোস্টেল চত্বর ও প্রশাসন ভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল বের করে । এক পর্যায়ে এক গ্রুপ অপর গ্রুপের ওপর হামলা চালিয়ে চুল ধরে টানাটানি ও মারপিট করে। পরে এ নিয়ে ধাওয়া ও বিক্ষোভ হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রিক্তা গ্রুপ অধ্যক্ষের রুমে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে অবস্থান নেয়।
খবর পেয়ে ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ক্যাম্পাসে গিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন।
সেসময়ের জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন অবশ্য দাবি করেন, মহিলা কলেজে তাদের কোনো কমিটি নেই। সাধারণ ছাত্রীরাই এসব করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বিরোধ মীমাংসার উপায় নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলার জন্য ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম।’ কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক রোকেয়া বেগম সাংবাদিকদের বলেন, সামান্য বিষয় নিয়ে ছাত্রীরা নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল শুরু করে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন