পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে এবং আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে এখনো পর্যন্ত ২৬০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
অধিকাংশ নিশ্চিত মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানে। দেশটির প্রত্যন্ত অঞ্চলে কয়েকটি উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।৭.৭ মাত্রার ঐ ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চল।
সময় বাড়ার সাথে সাথে ভূমিকম্পে আরো হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে এবং ক্ষয়ক্ষতির চিত্র আরো স্পষ্ট হচ্ছে। ইন্টারনেটে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া ভিডিওচিত্রে অসংখ্য ভূমিধ্বস এবং ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ছবি দেখা যাচ্ছে।
নিহতদের মধ্যে অন্তত ১২ জন আফগানিস্তানের স্কুলছাত্রী, যারা সবাই স্কুল থেকে বের হবার সময় ধ্বসে পড়া ভবনের নীচে চাপা পড়ে।
ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো প্রত্যন্ত অঞ্চলে হওয়ায় এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলের পার্বত্য এলাকায় নিহতের সংখ্যা ২১৪ জনে পৌছেছে।
ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী, পারভেজ রশিদ বলেন, সবচেয়ে বেশি হতাহত হয়েছে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের চিত্রাল এলাকায়।
পাক কর্তৃপক্ষের হিসেবে, শুধুমাত্র খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশেই ১৭৯ জন নিহত হয়েছে এবং আরো অন্তত ১,৮০০ মানুষ আহত হয়েছে।
এদিকে ভূমিকম্পের পর বিদেশ সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে আসছেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সোমবারের ভূমিকম্পের উৎসটি গভীর হওয়ায় অবশ্য ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা কম হয়েছে এবং কর্তৃপক্ষও আশা করছে যে হতাহতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে না।
এরই মধ্যে ভারত, ইরান এবং আফগানিস্তানে থাকা মার্কিন বাহিনী উদ্ধারকাজে সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এখনো পর্যন্ত সাহায্যের জন্য আবেদন জানায়নি।
তবে আফগানিস্তানের প্রধান নির্বাহী আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ এক টুইটারবার্তায় জানিয়েছেন, আক্রান্তদের সাহায্যের জন্য সরকারের সাথে কাজ করতে ত্রাণ সংস্থাগুলোকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। bbc
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন