সৌদি এক শিয়া ধর্মীয় নেতার শিরোচ্ছেদ নিয়ে সৌদি আরব এবং ইরানের মধ্যে সৃষ্ট কূটনৈতিক বিরোধ মেটানোর উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি গত কয়দিনে দুই দেশের সিনিয়র নেতাদের সাথে একাধিকবার টেলিফোনে কথা বলেছেন।
সৌদি রাজপরিবারের প্রভাবশালি কজন সদস্যের সাথেও মি কেরির কথা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র তাদেরকে বলার চেষ্টা করেছে এই বিরোধে যেন সিরিয়ার শান্তি প্রচেষ্টা ভেস্তে না যায়।
সৌদি শিয়া নেতা নিমর আর নিমরের শিরোচ্ছেদের পর বিক্ষুব্ধ লোকজন ইরানের দুটো শহরে সৌদি দূতাবাসে হামলা চালায়। প্রতিবাদে রোববার সৌদি আরব ইরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।
পরে উপসাগরের কয়েকটি দেশ এবং সুদানও তেহরানের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দেয়।
এর পর থেকেই থেকেই যুক্তরাষ্ট্র দু পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিচ্ছে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জন কারবি জানিয়েছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি টেলিফোনে কয়েক দফায় ইরান ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের সাথে কথা বলেছেন।
মি কারবি ইঙ্গিত দিয়েছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেরি দু পক্ষকে বার বার বলার চেষ্টা করছেন, সিরিয়ার সঙ্কট সমাধানের প্রচেষ্টা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। "ভিয়েনা প্রক্রিয়া (সিরিয়ার শান্তি আলোচনা) যেন কোনোভাবেই বন্ধ না হয় বা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটাই তার (জন কেরি) এজেন্ডার শীর্ষে।"
সৌদি আরব এবং তার কয়েকটি মিত্র দেশের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান।
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, সৌদি দূতাবাসে হামলায় সরকারের কোন ভূমিকা ছিলনা।
তবে একইসাথে তিনি বলেছেন, কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে, সৌদি আরব "একজন ধর্মীয় নেতাকে শিরোচ্ছেদ করার অপরাধ লুকোতে পারবে না।"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন