হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোকে সাভারের বলিয়াপুর ইউনিয়নে চামড়া শিল্প নগরীতে স্থানান্তরের জন্য সরকার সময়সীমা বেঁধে দিলেও, সেখানে এখনো সব ট্যানারি তাদের অবকাঠামো নির্মানের কাজ শেষ করেনি।
গ্যাস, বিদ্যুৎ আর পানির বন্দোবস্ত থাকলেও প্লট বরাদ্দ পাওয়া অনেকেই অবকাঠামো নির্মানে ব্যর্থ হওয়ায় পাননি সেসবের সংযোগ।
চামড়া শিল্পনগরীর কর্মকাণ্ড শুরু করতে আবশ্যক বিষয় কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার বা সিইটিপি এখনো সেখানে চালু হয়নি।
বিসিক চামড়া শিল্প নগরীর প্রকল্প পরিচালক আব্দুল কাইয়ুম বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার বা সিইটিপি এখনো চালু হয়নি।
মূলত এ কাজের জন্য ইন্টারন্যাশনাল টেন্ডার পেয়েছে যে প্রতিষ্ঠান তারা কাজ শুরু করতে দেরী করায় এখনো সিইটিপি চালু করা সম্ভব হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন।
মি. কাইয়ুম জানিয়েছেন সিইটিপির যন্ত্রপাতি এখন ইন্সটলেশন চলছে।
৩১ শে জানুয়ারি থেকে শুরু হবে এর পরীক্ষামূলক কার্যক্রম।
পুরোপুরি কার্যকর করতে আরো সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
পরিবেশের ক্ষতি ঠেকাতে হাজারীবাগের ট্যানারি বা চামড়ার কারখানাগুলোকে সরিয়ে নিতে প্রায় দুই দশক আগে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।
এরপর সরকার এ শিল্পকে সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করে।
আর সেজন্য ১২১টি ট্যানারিকে সরকার ক্ষতিপূরণও দেয়া শুরু করেছে।
কিন্তু ক্ষতিপূরণের অর্থ নেবার পরেও কারখানা স্থানান্তরের কাজ শুরু করেনি ২৮টি ট্যানারি।
আর তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতেই শিল্পমন্ত্রী ৭২ ঘণ্টার সময়সীমার মধ্যে তাদের সাভারে স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরুর আল্টিমেটাম দিয়েছেন বলে জানান মি. কাইয়ুম।
তবে, স্থানান্তর করলেই সেখানে উৎপাদন শুরু করতে পারবেনা ট্যানারিগুলো।
বরং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অবকাঠামো নির্মাণ শেষ করতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে আজ দুপুরে শিল্প মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবে ট্যানারি মালিক এবং চামড়া রপ্তানীকারকদের সংগঠন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন