সুইডিশ পুলিশ বলছে, গতকাল মুখোশধারী এক ব্যক্তি বর্ণবাদী কারণেই স্কুলে ছুরি মেরে একজন শিক্ষক ও একজন শিক্ষার্থীকে হত্যা করেছে।
পুলিশের একজন কমান্ডার বলেছেন, হামলাকারী যেভাবে লোকজনের ভেতর থেকে বেছে বেছে হামলা করেছে এবং পরে তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে যেসব জিনিস পাওয়া গেছে সেসব থেকেই তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।পরে ওই ব্যক্তিও পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। সুইডিশ সংবাদ মাধ্যমে বলা হচ্ছে, তার সামাজিক সাইটগুলো থেকে মনে হয় তিনি উগ্র দক্ষিণপন্থী মনোভাব পোষণ করতেন।
গতকাল গোথেনবার্গের কাছে একটি স্কুলে হামলা চালানোর সময় এই ব্যক্তির মাথায় যে হেলমেট ছিল, সেটা দেখতে জার্মান সেনাদের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন হেলমেটের মত।
তার মুখ ঢাকা ছিল মুখোশে। স্কুলের অনেক শিশু ভেবেছিল হ্যালোইনের কারণেই হয়তো লোকটি এভাবে সেজেছে, এবং অনেক ছেলে-মেয়ে তার সঙ্গে পোজ দিয়ে ছবিও তুলেছে।
কিন্তু তার তলোয়ারের আঘাতে ইতোমধ্যেই দুজন নিহত হয়েছে, গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে আছে আরও দুজন।
পুলিশ বলছে, এটি ছিল পুরোপুরি বর্ণবাদী এক হামলা। এবং বেছে বেছে সে স্কুলের শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের আক্রমণ করে। সুইডেনের পুলিশ প্রধান নিকলাস হ্যালগ্রেন বলেন, তিনটি বিষয় দেখে তারা নিশ্চিত হয়েছেন এটি ছিল এক বর্ণবাদী হামলা। প্রথমত হামলকারির ফ্ল্যাটে তারা যেসব জিনিস পেয়েছেন তাতে মনে হয় তার মধ্যে বর্ণবিদ্বেষ ছিল। দ্বিতীয় যে পোষাকে সে হামলা চালায় তাতেও এটা স্পষ্ট আর সে যেভাবে হামলার জন্য শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের বেছে নিচ্ছিল, তাতে স্পষ্ট যে এটি ছিল বর্ণবিদ্বেষী হামলা।
পুলিশ হামলাকারির পরিচয় এখনো প্রকাশ করেনি, কিন্তু সুইডেনের একটি দৈনিকে তার নাম আন্তন লানডিন এবং বয়স ২১ বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। ।
সুইডেনে স্কুলে এরকম সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা খুবই বিরল এবং এই হামলায় বড় ধরণের নাড়া দিয়েছে দেশকে। সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী গতকালের এই ঘটনার পর বলেন, এটি ছিল সুইডেনের জন্য এক কালো দিন।
অন্যদিকে সুইডেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন, একজন তরুণ কেন এরকম ভয়ংকর বর্ণবিদ্বেষের দিকে ঝুঁকছে এবং বিভিন্ন দেশের যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের ওপর এভাবে হামলা চালাচ্ছে, সে প্রশ্নের উত্তর খোঁজা আজ জরুরী। bbc
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন