REUTERS
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় এক রাতে দুই তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
ঢাকার তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন গতরাতে সে এলাকায় একজন গৃহকর্তার দ্বারা গৃহকর্মীকে ধর্ষনের অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।এরপর অভিযুক্ত সেই গৃহকর্তাকে পুলিশ আটক করেছে। অন্যদিকে শহরের দক্ষিনখান এলাকায় একটি ধর্ষনের অভিযোগ উঠলেও ভিকটিম থানায় মামলা করতে আসেনি।
দক্ষিনখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীমুর রশিদ তালুক বলছেন থানায় মামলা না করায় তারা কোন আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারছেন না। তিনি জনান ভিকটিমের চাচার সাথে তার কথা হয়েছে এবং তাদের থানায় মামলা দায়ের করতে বলেছেন।
কিন্তু পরিবারটি কেন থানায় আসছে না সে বিষয়ে তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন ঢাকার মতো শহরে একই রাতে দু’টি ধর্ষনের অভিযোগ উদ্বেগের বিষয়।
কয়েক মাস আগে একজন বিক্রয়কর্মীকে মাইক্রোবোসে ধর্ষনের অভিযোগসহ কয়েকটি ঘটনা কারনে ঢাকা শহরে রাতে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন সম্প্রতি ধর্ষনের ঘটনা বেড়েছে বলেই তাদের মনে হচ্ছে।
মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী এলিনা খান বলেন খবরের কাগজে যা দেখা যায় ধর্ষণের প্রকৃত ঘটনা তার চেয়ে বেশি।
এলিনা খান বলেন অপরাধীরা মনে করে ভিকটিম থানায় মামলা করবে না। এজন্য ধর্ষণের প্রবণতাও বাড়ছে।
তিনি বলেন, “ প্রতিদিন বিভিন্ন পত্রিকায় আমরা ১০-১২ ধর্ষণের ঘটনা দেখি। বাস্তবে তার চেয়ে বেশি। অনেকে লজ্জায় ঘটনা প্রকাশ করতে চায় না।”
পুলিশ বলছে ধর্ষণের প্রতিটি মামলার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়া হয়। সেক্ষেত্রে ভিকটিমের এগিয়ে আসা জরুরী।
মানবাধিকার কর্মী এলিনা খান বলেন ভিকটিম যদি নিম্নবিত্ত হয় তাহলে তাদের পক্ষে মামালা লড়া বেশ কঠিন। তাছাড়া বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার কারণেও অনেকে আইনগত পদক্ষেপ নিতে চান না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন