বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় দিনাজপুর জেলার একটি মন্দিরে বৃহস্পতিবারের বোমা ও গুলির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আজ আরো এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
কাহারোল উপজেলায় হিন্দু ধর্মের অবতার কৃষ্ণের ভক্তদের সংগঠন ইসকনের ওই মন্দিরে আক্রমণের সময় একটি ধর্মসভা চলছিল। এ ঘটনায় দুজন আহত হন এবং পৃলিশ হামলাকারী সন্দেহে গতকালই একজনকে আটক করে।এর পর আজ বীরগঞ্জ উপজেলার সিংড়া গ্রাম থেকে আটক করা হয় মোজাম্মেল হক নামে আরেক ব্যক্তিকে।
পুলিশ বলছে, আজ সিংড়ার শালবনের পাশে একটি বাড়িতে মোজাম্মেল হক আশ্রয় চাইলে বাড়িওয়ালা ও স্থানীয় লোকেরা তাকে সন্দেহবশত নানা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে থাকে। এক পর্যায়ে মোজাম্মেল হক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে গ্রামবাসীরা তাকে ধাওয়া করে।
এসময় মোজাম্মেল হক আগ্নেয়াস্ত্র বের করে গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়, তাতে একজন আহত হয়।
এর পর গ্রামবাসী মোজাম্মেল হককে ইটপাটকেল মেরে আহত করে তাকে ধরে ফেলে। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
কাহারোল থানার ওসি মনসুর আলি সরকার বিবিসি বাংলাকে বলেন, আটককৃত মোজাম্মেল হকের বাড়ি লালমনিরহাট এবং তার কাছ থেকে একটি ছোট এসএমজি উদ্ধার করা হয়েছে। আটক যুবককে পুলিশ তাদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
ওসি মনসুর আলি সরকার বলছেন, আটক সন্দেহভাজন দু’জনই দিনাজপুরের বাইরে থেকে আসা এবং সে কারণে তারা এই হামলাকে পরিকল্পিত বলে মনে করছেন।
তিনি বলেন, আটক দুই ব্যক্তিই আহত এবং তাদের এখন চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের একটি সংগঠন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের স্থানীয় নেতাকর্মীরা এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করে কাহারোলে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে। ঢাকাতেও বিক্ষোভ হয়েছে।
দিনাজপুরে সম্প্রতি সংখ্যালঘুদের ওপর কয়েকটি আক্রমণের ঘটনার মধ্যে এটি সর্বশেষ।
কয়েকদিন আগে দিনাজপুরে একটি উপজেলার ইসকন সভাপতির ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়।
এ ছাড়া কাহারোলেই কান্তজিউ’র মন্দির প্রাঙ্গণে যাত্রা প্যান্ডেলে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে কয়েকদিন আগে - যাতে পাঁচজন আহত হন।
সম্প্রতি একজন ইতালীয় যাজকের ওপর হামলা হয় দিনাজপুর শহরে, তবে তিনি প্রাণে বেঁচে যান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন