বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা দিনাজপুরে গতকাল এক হিন্দু মন্দিরে হামলার পর এখন পর্যন্ত দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। রংপুর এবং দিনাজপুরে গত কিছুদিনের মধ্যে সংখ্যালঘু ও বিদেশীদের ওপর একের পর এক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।
দিনাজপুরের কাহারোলে ইসকন মন্দিরে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলার সময় হামলাকারিদের গুলিবর্ষণ ও বোমায় দু’জন আহত হয়।এর আগে অক্টোবরের শেষে রংপুরে এক জাপানি নাগরিককে হত্যা করা হয়। এর পর নভেম্বর মাসে দিনাজপুরে এক ইটালিয়ান খ্রীষ্টধর্ম যাজকের ওপর হামলা হয়, সপ্তাহখানেক আগে বোমা হামলা চালানো হয় দিনাজপুরে কান্তজিউর মন্দিরে।
আগেকার ঘটনাগুলোর সাথে জঙ্গী সংগঠনের সংশ্লিষ্টতার কথা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল।
এখন এ প্রশ্ন অনেকের মনেই দেখা দিয়েছে যে হঠাৎ করে ওই অঞ্চলে সংখ্যালঘু বা বিদেশীদের টার্গেট করে এধরণের হামলা বেড়ে যাওয়ার কারণ আসলে কি।
রংপুর বিভাগের পুলিশের ডিআইজি হুমায়ুন কবির বলছেন, ঘটনাগুলোর মধ্যে একটা যোগসূত্র আছে বলে তারা ধারণা করছেন।
পুলিশ বলেছে, ইসকন মন্দিরে এ হামলাকে পরিকল্পিত বলেই মনে করছে তারা, কারণ আটক সন্দেহভাজন দু’জনই দিনাজপুরের বাইরে থেকে আসা।
আটক মোজাম্মেল হক লালমনিরহাটের এবং এর আগে আটককৃত শহীদুলের বাড়ি গাইবান্ধা বলে পুলিশ বলছে।
কাহারোলে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনসুর আলি সরকার বলছেন, তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, "ওইখানে কোন থ্রেট ছিল না। হঠাৎ করে পরিস্থিতিতে অস্বাভাবিক করার জন্যই তারা এ ঘটনাটা ঘটিয়েছে।"
স্থানীয় সংখ্যালঘু নেতারা বলছেন, এ অঞ্চলে এধরণের আক্রমণ আগে কখনো ঘটেনি। তাদের মধ্যে এ ঘটনার পর উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
পুলিশ বলছে, তারা পুরো এলাকাতেই ঘটনার পর নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন