নারায়ণগঞ্জে ৭ খুনের আসামী নূর হোসেনের রিমান্ড ও ফাঁসি দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক এলাকায় মানববন্ধন করেছে বিক্ষুব্ধ মানুষ
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুন মামলার প্রধান আসামী নূর হোসেনের রিমান্ড ও ফাঁসির দাবিতে উত্তাল নারায়ণগঞ্জ। প্রতিদিনই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। পাশাপাশি মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়ার ফাঁসি চেয়েছে বিক্ষোভে অংশ নেয়া এলাকাবাসী। গতকাল রোববার সকাল ১১ টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক এলাকায় ঘণ্টাব্যপী এ কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মামলার বাদী নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি, ছোট ভাই আবদুস সালাম, শ্যালক শফিকুল ইসলাম শফি, নিহত মনিরুজ্জামান স্বপনের ভাই রিপনসহ শতাধিক এলাকাবাসী।
নিহত নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের মানুষ এ হত্যা কা-ের বিচার চায়। নূর হোসেনকে রিমান্ডে নিয়ে হত্যাকান্ডের পরিকল্পনাকারী ও অর্থ জোগানদাতাদের নাম বের করা হোক। যারা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি করে তারাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। নূর হোসেন দেশে ফিরে আসায় নিহতের স্বজনরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে দাবি করে তাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান স্বামী হারা এই গৃহবধূ।
এদিকে নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামী নূর হোসেনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতদের পরিবার থেকে যে দাবি উঠেছে, তার প্রতিফলন দেখতে চায় সচেতন মহল। তাদের মতে মামলার ন্যায়বিচারের স্বার্থে বিশেষ ব্যবস্থায় হলেও তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। অন্যথায় মামলাটির বিচার কার্যের স্বচ্ছতা নিয়ে বাদীপক্ষসহ বিভিন্ন মহল থেকে যে সকল অভিযোগ তোলা হয়েছে, সে সকল অভিযোগ আমলে না নিয়ে বিচার কার্য সম্পন্ন করা হলে পুরো জাতির কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকবে।
গত শুক্রবার নূর হোসেনকে আদালতে তোলার আগে ও পরে সাংবাদিকদের কাছে মামলার বাদী নিহত কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সালমা ইসলাম বিউটি দাবি করে বলেছিলেন, তার স্বামী নজরুলসহ সাতজনকে কেন হত্যা করল এবং কার নির্দেশে এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা আমি নূর হোসেনের মুখ থেকে শুনতে চাই।
তিনি আরও দাবি করে বলেন, এ ঘটনায় তাকে ব্যবহার করা হয়েছে মাত্র। সুতরাং কে তাকে ব্যবহার করল, তা সকলের জানা প্রয়োজন এবং তাকে ব্যবহারকারী ও নির্দেশদাতাকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। অতএব নূর হোসেনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এসব তথ্য বেরিয়ে আসবে। এ ছাড়াও তিনি অভিযোগ করে বলেছিলেন, মামলা যে চার্জশিট দেয়া হয়েছে, সেই চার্জশিট থেকে মামলার অন্যতম আসামী ইয়াসিন, বাদল, ইকবাল ও রাজুকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তাই এদেরকে সম্পৃক্ত করে এবং নূর হোসেনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর নতুন করে চাজর্শিট দেয়ারও দাবি জানিয়েছিলেন।
একই বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে প্রায় অভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন বাদী পক্ষের আইনজীবী এড.শাখাওয়াত হোসেন খান। ওই প্রতিক্রিয়ায় তিনি আর বলেছিলেন, মামলার ন্যায় বিচারের স্বার্থে নূর হোসেনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। ন্যায় বিচারের স্বার্থে রাষ্ট্র বা সরকার চাইলে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। তাই নূর হোসেনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর নতুন করে চার্জশীট দেয়ারও দাবী জানিয়েছিলেন। সাত খুন মামলার আসামী নূর হোসেনকে রিমান্ডে নেয়ার সুযোগ নেই বলে পুলিশ দাবি করলেও সোনারগাঁওয়ে যুবলীগ নেতা ইসমাইল অপহরণ মামলায় তাকে রিমান্ডে নেয়ার সুযোগ আছে বলে মত দিয়েছেন আইনজীবীরা। এদিকে, নূর হোসেনকে রিমান্ড নেয়ার দাবি জানিয়েছেন নিহত ইসমাইলের স্বজনরা।
সাত খুন মামলার প্রধান আসামী নূর হোসেনের বিরুদ্ধে ১৩ টি মামলায় অভিযোগপত্র দেয়ায় এসব মামলায় তাকে রিমান্ডে নেয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ। রিমান্ডে নেয়া- না নেয়া নিয়ে আইনজীবীরাও ভিন্ন ভিন্ন মত দিয়েছেন। রিমান্ডের আবেদন না করায় নিহতের স্বজনরাও হতাশ।
গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি যুবলীগ নেতা ইসমাইলকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাইনাদী এলাকা থেকে র্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে নিহতের পরিবার মামলা করে। এ মামলায় প্রথমে নূর হোসেন ও র্যাব কর্মকর্তাদের আসামী করা না হলেও পরে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
নূর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ইসমাইল হত্যার রহস্য উদঘাটিত হবে বলে মনে করেন তার স্বজনরা। আইনজীবীরা বলছেন, যুবলীগ নেতা ইসমাইলকে অপহরণ মামলায় নূর হোসেনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ আছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীও একই মত প্রকাশ করে বলেছেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাইলে নূর হোসেনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন।
তবে ইসমাইল হত্যা মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য সাত খুন হত্যা মামলার ক্ষেত্রে আইনগতভাবে কতটা কাজে আসবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
আর অন্যদিকে একই বিষয়ে নিহত নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, নূর হোসেনকে যে ভারতে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছিলেন, তাকে ধরতে হবে। তাকে না ধরলে মামলার সুষ্ঠু বিচার সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের পাশে লিংক রোড থেকে না:গঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম প্রবীণ আইনজীবী এড.চন্দন সরকার সহ ৭ জনকে তুলে নেয়া হয়। এর তিনি দিন পর ৩০ এপ্রিল ৬ জন ও ১ মে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে অপহৃতদের লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। পরে এই হত্যাকান্ড নূর হোসেন ৬ কোটি টাকার বিনিময়ে র্যাবকে দিয়ে ঘটিয়েছে। এমন অভিযোগ উঠলে নূর হোসেন ভারতে পালিয়ে যায়। তবে নূর হোসেন পালিয়ে গেলেও পরবর্তীতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে এ ঘটনায় র্যাব-১১’র তখনকার সিও তারেক সাঈদ ও মেজর আরিফ ও এমএম রানা সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয় পুলিশ। এরাই পরবর্তীতে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছিলেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডের ১১ মাস পর গত ৮ এপ্রিল ৩৫ জনকে আসামী করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। বর্তমানে ওই ৩৫ আসামীর মধ্যে উপরোক্ত র্যাব কর্মকর্তা ও নূর হোসেন সহ ২৩ জন আসামী কারাগারে রয়েছেন। পলাতক রয়েছে আরও ১১ আসামী।
কামাল উদ্দিন সুমন,dailysangram
নিহত নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের মানুষ এ হত্যা কা-ের বিচার চায়। নূর হোসেনকে রিমান্ডে নিয়ে হত্যাকান্ডের পরিকল্পনাকারী ও অর্থ জোগানদাতাদের নাম বের করা হোক। যারা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি করে তারাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। নূর হোসেন দেশে ফিরে আসায় নিহতের স্বজনরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে দাবি করে তাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান স্বামী হারা এই গৃহবধূ।
এদিকে নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামী নূর হোসেনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতদের পরিবার থেকে যে দাবি উঠেছে, তার প্রতিফলন দেখতে চায় সচেতন মহল। তাদের মতে মামলার ন্যায়বিচারের স্বার্থে বিশেষ ব্যবস্থায় হলেও তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। অন্যথায় মামলাটির বিচার কার্যের স্বচ্ছতা নিয়ে বাদীপক্ষসহ বিভিন্ন মহল থেকে যে সকল অভিযোগ তোলা হয়েছে, সে সকল অভিযোগ আমলে না নিয়ে বিচার কার্য সম্পন্ন করা হলে পুরো জাতির কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকবে।
গত শুক্রবার নূর হোসেনকে আদালতে তোলার আগে ও পরে সাংবাদিকদের কাছে মামলার বাদী নিহত কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সালমা ইসলাম বিউটি দাবি করে বলেছিলেন, তার স্বামী নজরুলসহ সাতজনকে কেন হত্যা করল এবং কার নির্দেশে এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা আমি নূর হোসেনের মুখ থেকে শুনতে চাই।
তিনি আরও দাবি করে বলেন, এ ঘটনায় তাকে ব্যবহার করা হয়েছে মাত্র। সুতরাং কে তাকে ব্যবহার করল, তা সকলের জানা প্রয়োজন এবং তাকে ব্যবহারকারী ও নির্দেশদাতাকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। অতএব নূর হোসেনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এসব তথ্য বেরিয়ে আসবে। এ ছাড়াও তিনি অভিযোগ করে বলেছিলেন, মামলা যে চার্জশিট দেয়া হয়েছে, সেই চার্জশিট থেকে মামলার অন্যতম আসামী ইয়াসিন, বাদল, ইকবাল ও রাজুকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তাই এদেরকে সম্পৃক্ত করে এবং নূর হোসেনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর নতুন করে চাজর্শিট দেয়ারও দাবি জানিয়েছিলেন।
একই বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে প্রায় অভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন বাদী পক্ষের আইনজীবী এড.শাখাওয়াত হোসেন খান। ওই প্রতিক্রিয়ায় তিনি আর বলেছিলেন, মামলার ন্যায় বিচারের স্বার্থে নূর হোসেনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। ন্যায় বিচারের স্বার্থে রাষ্ট্র বা সরকার চাইলে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। তাই নূর হোসেনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর নতুন করে চার্জশীট দেয়ারও দাবী জানিয়েছিলেন। সাত খুন মামলার আসামী নূর হোসেনকে রিমান্ডে নেয়ার সুযোগ নেই বলে পুলিশ দাবি করলেও সোনারগাঁওয়ে যুবলীগ নেতা ইসমাইল অপহরণ মামলায় তাকে রিমান্ডে নেয়ার সুযোগ আছে বলে মত দিয়েছেন আইনজীবীরা। এদিকে, নূর হোসেনকে রিমান্ড নেয়ার দাবি জানিয়েছেন নিহত ইসমাইলের স্বজনরা।
সাত খুন মামলার প্রধান আসামী নূর হোসেনের বিরুদ্ধে ১৩ টি মামলায় অভিযোগপত্র দেয়ায় এসব মামলায় তাকে রিমান্ডে নেয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ। রিমান্ডে নেয়া- না নেয়া নিয়ে আইনজীবীরাও ভিন্ন ভিন্ন মত দিয়েছেন। রিমান্ডের আবেদন না করায় নিহতের স্বজনরাও হতাশ।
গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি যুবলীগ নেতা ইসমাইলকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাইনাদী এলাকা থেকে র্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে নিহতের পরিবার মামলা করে। এ মামলায় প্রথমে নূর হোসেন ও র্যাব কর্মকর্তাদের আসামী করা না হলেও পরে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
নূর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ইসমাইল হত্যার রহস্য উদঘাটিত হবে বলে মনে করেন তার স্বজনরা। আইনজীবীরা বলছেন, যুবলীগ নেতা ইসমাইলকে অপহরণ মামলায় নূর হোসেনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ আছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীও একই মত প্রকাশ করে বলেছেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাইলে নূর হোসেনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন।
তবে ইসমাইল হত্যা মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য সাত খুন হত্যা মামলার ক্ষেত্রে আইনগতভাবে কতটা কাজে আসবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
আর অন্যদিকে একই বিষয়ে নিহত নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, নূর হোসেনকে যে ভারতে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছিলেন, তাকে ধরতে হবে। তাকে না ধরলে মামলার সুষ্ঠু বিচার সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের পাশে লিংক রোড থেকে না:গঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম প্রবীণ আইনজীবী এড.চন্দন সরকার সহ ৭ জনকে তুলে নেয়া হয়। এর তিনি দিন পর ৩০ এপ্রিল ৬ জন ও ১ মে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে অপহৃতদের লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। পরে এই হত্যাকান্ড নূর হোসেন ৬ কোটি টাকার বিনিময়ে র্যাবকে দিয়ে ঘটিয়েছে। এমন অভিযোগ উঠলে নূর হোসেন ভারতে পালিয়ে যায়। তবে নূর হোসেন পালিয়ে গেলেও পরবর্তীতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে এ ঘটনায় র্যাব-১১’র তখনকার সিও তারেক সাঈদ ও মেজর আরিফ ও এমএম রানা সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয় পুলিশ। এরাই পরবর্তীতে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছিলেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডের ১১ মাস পর গত ৮ এপ্রিল ৩৫ জনকে আসামী করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। বর্তমানে ওই ৩৫ আসামীর মধ্যে উপরোক্ত র্যাব কর্মকর্তা ও নূর হোসেন সহ ২৩ জন আসামী কারাগারে রয়েছেন। পলাতক রয়েছে আরও ১১ আসামী।
কামাল উদ্দিন সুমন,dailysangram
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন