প্যারিসের হামলাকারীদের একজনকে চিহ্নিত করতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
ফ্রান্সের স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল এবং একজন পার্লামেন্ট সদস্যের বরাতে জানাচ্ছে তার নাম ওমর ইসমাইল মোস্তেফাই। সে ফ্রান্সেরই নাগরিক।২৯ বছর বয়েসী এই যুবকের আগেও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার রেকর্ড রয়েছে। সে চরমপন্থি আদর্শে উজ্জীবিত বলে কর্তৃপক্ষ আগেই জানতো।
তার আঙ্গুলের কয়েকটি খণ্ডাংশ পাওয়া যায় বাতাক্লঁ কনসার্ট হল থেকে যেখানে তিনজন আত্মঘাতী হামলাকারী বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে নিজেদেরকে উড়িয়ে দেয়।
মোস্তেফাইয়ের বাবা এবং ভাইকে পুলিশী হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
তার বড় ভাই বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, 'এটা একেবারেই পাগলামি। আমি নিজেও ওই রাতে প্যারিসে ছিলাম। আমি দেখেছি, কি ধরণের ধ্বংসযজ্ঞ ছিল এটা'।
শনিবার নিজ থেকে একটি পুলিশ স্টেশনে যায় মোস্তেফাইয়ের বড় ভাই এবং পরে পুলিশ তাকে আটক করে।
পুলিশ এখন খতিয়ে দেখছে মোস্তেফাই ২০১৪ সালে সিরিয়াতে গিয়েছিলো কিনা।
প্যারিসের ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণের শহর কুরকুরনের বাসিন্দা মোস্তেফাই।
ছোটখাটো অপরাধের ইতিহাস রয়েছে তার যদিও সে জেল খাটেনি কখনো।
২০১০ সাল থেকে সে চরমপন্থি আদর্শে উজ্জীবিত বলে নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর কাছে তথ্য আছে যদিও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কোনও তদন্তে তাকে অভিযুক্ত করা হয়নি কখনো।
মোস্তেফাইয়ের ভাই বলেছে, পারিবারিক বিরোধের কারণে কয়েক বছর ধরে তার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না কোনও। মোস্তেফাই চরমপন্থী হয়ে গেছে জেনে বিস্ময় প্রকাশ করে তার ভাই।
মোস্তেফাইরা ছয় ভাইবোন, তার নিজেরও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পরিবার নিয়ে একবার আলজেরিয়াতেও সফর করেছিল সে।
কৌঁসুলিরা বলছেন, সাতজন হামলাকারী কালাশনিকভ রাইফেল এবং বিষ্ফোরক ভর্তি বেল্ট পরিধান করে তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে হামলাগুলো চালিয়েছিল।
অনেকে মনে করছেন, কয়েকজন হামলাকারী হয়তো হামলার পর পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
তদন্তকারীরা এখন এই হামলার সাথে সম্ভাব্য বেলজিয়াম সংযোগের সূত্র খুঁজছে। দেশটির ফরাসী সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে তিন জনকে আটকও করেছে পুলিশ।
প্যারিসের বাতাঁক্ল হলের সামনে একটি পরিত্যক্ত কালো রঙের ভক্সওয়াগন গাড়ি পাওয়া গেছে যেটির রয়েছে বেলজিয়ান নম্বর প্লেট। বেলজিয়ামে বসবাসরত একজন ফরাসী নাগরিক গাড়িটি ভাড়া করেছিল বলে তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন।
ওই একই ব্যক্তি শনিবার আরো দুজন সঙ্গীকে নিয়ে অপর একটি গাড়িতে করে সীমান্ত পার হয়ে বেলজিয়াম ঢুকেছে বলেও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে এখন। bbc
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন