বাংলাদেশ ও ভারতসহ চারটি দেশের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে আজ যান চলাচল শুরু হয়েছে।
এর আওতায় ভারতের পণ্যবাহী যান - কলকাতা থেকে বেনাপোল বর্ডার দিয়ে ঢাকা বাইপাস হয়ে নরসিংদী হয়ে আগরতলা দিয়ে আবার ভারতে ঢুকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভূটানের মধ্যে সড়কপথে পণ্য ও যাত্রীবাহী যান চলাচল চুক্তি অনুযায়ী এই চারটি দেশের মধ্যে তিন ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে সড়কপথে পণ্য পরিবহনের জন্য কার্যত ট্রানজিট সুবিধা পাচ্ছে ভারত। কিন্তু প্রশ্ন রয়েছে যে বাংলাদেশের মহাসড়কগুলো কি অন্য দেশের ভারী পণ্যবাহী যান চলাচলের উপযুক্ত?
এমনিতেই বাংলাদেশের মহাসড়কগুলোর বেহাল অবস্থা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা অভিযোগ রয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে দিয়ে নিয়মিত চলাচল করেন সীমা হোসেন। তিনি বিবিসিকে বলছিলেন, রাস্তা এত খারাপ যে সব সময় আতংকে থাকতে হয়, এই বুঝি বাসটি কাত হয়ে পড়ে গেল।
ঢাকা যশোর মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন মি. সৈকত। তিনি বলছিলেন, পাটুরিয়ার পর থেকে যশোর যাবার পথ পুরোটাই খারাপ।
বাংলাদেশের বিভিন্ন মহাসড়কে দীর্ঘদিন ধরে বাস চালাচ্ছেন আবুল কালাম। তার কথায়, মহাসড়কগুলোর ভাঙাচোরা অবস্থা, যানজট, বিশৃঙ্খলভাবে গাড়ি চলাচল - এসব কারণে রাস্তাগুলোতে যানবাহন চালানো ঝুঁকিপূর্ণ।
আর এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতেই প্রশ্ন উঠছে - বাইরের দেশ থেকে আসা যানবাহনগুলোর চাপ কতটা নিতে পারবে বাংলাদেশের মহাসড়কগুলো?
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আবদুল মালেক বলছিলেন, মহাসড়কগুলোর যেসব জায়গায় মেরামতের কাজ চলছে, সেগুলো দু-তিন মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।
"এশিয়ান হাইওয়েতে যেভাবে সড়ক দিকনির্দেশিকা থাকা দরকার - সেগুলো নির্বাচিত রুটগুলোয় বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এ কাজ শেষ হবে।"
তবে সাধারণ যাত্রীদের অনেকেরই ধারণা, বাংলাদেশের মহাসড়কগুলো বাইরের দেশ থেকে আসা যানবাহনের চাপ সামলানোর জন্য উপযুক্ত নয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন