ভারতে দেশদ্রোহের অভিযোগে ধৃত ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমারকে দিল্লি হাইকোর্ট আজ (বুধবার) জামিন দিয়েছে।
মি. কুমার ভারতের প্রতিথযশা জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট।
প্রায় দুসপ্তাহ আগে বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে কথিত দেশবিরোধী স্লোগান আর দেশবিরোধী ভাষণ দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার করে তাকে।
ভারতের পার্লামেন্টের ওপরে আক্রমনের দায়ে ফাঁসি হয়ে যাওয়া আফজল গুরুকে সমর্থন করে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
নিম্ন আদালতে পেশ করার সময়ে নিজেদের দেশপ্রেমিক বলে দাবী করা বেশ কয়েকজন আইনজীবি মি. কুমারকে মারধর করেন। যার জেরে দেশের সর্বোচ্চ আদালত ওই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়।
প্রায় পাঁচ ঘন্টা শুনানীর পরে মি. কুমারকে বেশ কয়েকটি শর্তসাপেক্ষে ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয় হাইকোর্ট।
মি. কুমারের পর ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুই ছাত্রনেতাকেও একই ধরণের দেশদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
যদিও দিল্লি পুলিশ প্রথমে দাবী করেছিল যে ধৃত ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের যথেষ্ট তথ্য প্রমান তাদের হাতে আছে, কিন্তু এখন তারা বলছে সেই তথ্যপ্রমান কোনও ভিডিও ফুটেজ নয়, কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান মাত্র।
ওই কথিত মিছিলে দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়া নিয়ে সারা দেশেই দেশাত্মবোধের জিগির তুলেছিল হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো। তার জন্য একটি ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন টিভি চ্যানেল আর সামাজিক মাধ্যমগুলোতে।
তবে আজই দিল্লি সরকার তাদের নিজস্ব তদন্তের পর বলেছে যে ওই ভিডিওটি সম্পাদনা করে তৈরী করা হয়েছিল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন