ব্রাসেলসে সন্ত্রাসী হামলার পর নিরাপত্তা জোরদার করেছে বেলজিয়াম। ছবি: রয়টার্সবেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। আজ শুক্রবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওই ছয়জনকে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসের স্কাহবিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার ব্রাসেলসের জাভেনতেম বিমানবন্দর ও ম্যালবিক মেট্রো স্টেশনে (পাতালরেল) ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা হয়। হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। এক ঘণ্টার ব্যবধানে ঘটা ওই জোড়া হামলায় অন্তত ৩১ জন নিহত হয়। আহত হয়েছে ২৭০ থেকে ৩০০ জন।
হামলার ঘটনায় জোরেশোরে তদন্ত চলছে।
গতকাল যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের নাম-পরিচয় এখনো জানায়নি কর্তৃপক্ষ। হামলায় তাদের সম্ভাব্য যোগসূত্র বা ভূমিকার বিষয়েও কিছু বলা হয়নি।
ফ্রান্সের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা প্যারিসের কাছে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই ব্যক্তি হামলা চালানোর ষড়যন্ত্র করছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে। ওই ঘটনার পর প্যারিসের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান জোরদার করা হয়।
গত বছরের ১৩ নভেম্বর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে একযোগে কয়েকটি স্থানে আইএসের হামলায় নিহত হয় ১৩০ জন। ওই হামলার অন্যতম সন্দেহভাজন সালাহ আবদেসালামকে ব্রাসেলস থেকে গ্রেপ্তার করার চার দিনের মাথায় সেখানে সন্ত্রাসী হামলা হয়।
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে বিমানবন্দর ও মেট্রো স্টেশনে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অংশ নেওয়া দুই ভাই সম্পর্কে অবগত ছিল মার্কিন কর্তৃপক্ষ। তাঁদের নাম যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদের তালিকায় ছিল। এনবিসি টেলিভিশন নেটওয়ার্ক গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করেছে।
এনবিসি তাদের প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের দুজন নাম প্রকাশ না করা কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করেছে। এতে বলা হয়েছে, ব্রাসেলসে আত্মঘাতী হামলায় অংশ নেওয়া ইব্রাহিম আল বকরাউয়ি ও তাঁর ভাই খালিদ আল বকরাউয়ি ‘সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হুমকি’ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের তালিকায় ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদের ঠিক কোন তালিকায় ওই দুই ভাইয়ের নাম ছিল, তা সুনির্দিষ্ট করেননি মার্কিন কর্মকর্তারা।
প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল কাউন্টার টেররিজম সেন্টারের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তারা কোনো জবাব দেয়নি।
ব্রাসেলসে হামলার আগে থেকেই ইব্রাহিম ও খালিদের নাম পুলিশের খাতায় ছিল। তাঁদের খুঁজছিল বেলজিয়ামের পুলিশ। হামলায় অংশ নেওয়া আরেকজন নাজিম লাশরাউয়ি সম্পর্কেও অবগত ছিল বেলজিয়ামের কর্তৃপক্ষ। এত কিছু সত্ত্বেও তাঁরা নিরাপত্তাব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম হন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বুধবার বলেন, ব্রাসেলসে আত্মঘাতী হামলায় নিজেকে উড়িয়ে দেওয়া একজনকে তাঁরা গত বছর গ্রেপ্তার করেন। পরে তাঁকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী যোদ্ধা’ হিসেবে বহিষ্কার করে নেদারল্যান্ডসে পাঠানো হয়।
এরদোয়ানের ওই বক্তব্যের পর তুরস্কের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, বিতাড়িত ওই ব্যক্তিই ইব্রাহিম।
আরেক আত্মঘাতী খালিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে আন্তর্জাতিক পরোয়ানা জারি ছিল।
জাভেনতেম বিমানবন্দরে হামলায় অংশ নেন ইব্রাহিম ও নাজিম। মেট্রো স্টেশনে হামলায় অংশ নেন খালিদ।
ইব্রাহিম, খালিদ ও নাজিমের সঙ্গে প্যারিস হামলার অন্যতম সন্দেহভাজন সালাহ আবদেসালামের সম্পর্ক ছিল।
আবদেসালামকে গত শুক্রবার ব্রাসেলসের একটি গোপন আস্তানা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁকে গ্রেপ্তার করার চার দিনের মাথায় ব্রাসেলসে সন্ত্রাসী হামলা হয়।
গত বছরের ১৩ নভেম্বর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে একযোগে কয়েকটি স্থানে আইএসের হামলায় নিহত হয় ১৩০ জন। আর গত মঙ্গলবার ব্রাসেলসের বিমানবন্দর ও মেট্রো স্টেশনে আইএসের হামলায় অন্তত ৩১ জন নিহত হয়। আহত হয় ২৭০ থেকে ৩০০ জন।
মাশরাফি বিন মুর্তজা। ফাইল ছবিভারতের সঙ্গে ম্যাচের ওই আক্ষেপ ভুলতে আরও অনেক দিন সময় লাগবে বাংলাদেশের। এর মধ্যেই আরেকটা ছোট্ট দুঃসংবাদ পেলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ওই ম্যাচে স্লো ওভার রেটের কারণে মাশরাফির ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। শুধু মাশরাফি নয়, শাস্তি পেতে হয়েছে গোটা দলকে। অন্যদের ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে।
আজ আইসিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে খবরটা নিশ্চিত করেছে। ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড জানিয়েছেন, ওই ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যত ওভার করার কথা, মাশরাফি তার চেয়ে এক ওভার সময় বেশি নিয়েছেন। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, কোনো টুর্নামেন্টে এ রকম দুইবার সময়ক্ষেপণ করলে এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার বিধান আছে। তবে কাল নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচ দিয়েই শেষ হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্টে তাই সেই নিষেধাজ্ঞা পেতে হচ্ছে না মাশরাফিকে। মাশরাফি দোষ স্বীকার করে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক কোনো শুনানি আর হয়নি।
ভারতে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইং গ্রুপ এ-তে ধরমশালায় কাল (শুক্রবার) রাতে বাংলাদেশ মুখোমুখি হচ্ছে আয়ার্ল্যান্ডের।
প্রথম ম্যাচে দুর্বল ওমানের কাছে অপ্রত্যাশিতভাবে হেরে গিয়ে এই ম্যাচের আগে আইরিশরা যেমন চাপে, তেমনি বাংলাদেশর দুজন বোলারের অ্যাকশন নিয়ে আইসিসি প্রশ্ন তোলার পর বাংলাদেশও অন্যরকম চাপের মুখে পড়ে গেছে।
তবে এ ম্যাচে জিততে পারলে বাংলাদেশের সুপার টেনে ওঠা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে – অন্যদিকে হারলে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে পড়বে আয়ারল্যান্ড।
তবে ধরমশালায় কাল রাতে বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে – এবং সে ক্ষেত্রে পয়েন্ট ভাগাভাগির সম্ভাবনা ম্যাচের আগে দু'দলকেই দুশ্চিন্তায় রেখেছে।
তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পরও শুক্রবারের ম্যাচে এরা দুজনেই প্রথম এগারোতে থাকবেন বলে বাংলাদেশ দল সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে।
তার একটা কারণ যদি হয় বাংলাদেশ মনে করছে এদের অ্যাকশন নিয়ে কোনও সমস্যা নেই – তাহলে আর একটা বড় কারণ হল মুস্তাফিজুর রহমানের আঘাত এখনও পুরোপুরি সারেনি।
প্রায় চারদিন হতে চললো ধরমশালায় পা রেখেছে বাংলাদেশ – কিন্তু দলের বোলিংয়ে প্রধান চমক মুস্তাফিজুর এখনও প্র্যাকটিসেই নামতে পারেননি।
এদিকে তাসকিন ও আরাফাতকে নিয়ে নতুন উদ্বেগ এসে ভর করলেও বাংলাদেশের কোচ চন্দিকা হাতুরাসিঙ্ঘে অবশ্য দাবি করলেন দলের বোলারদের নিয়ে তিনি ভাবছেন না – বরং তার দুশ্চিন্তা দলের ব্যাটিং নিয়ে।
"আমাদের বোলাররা কিন্তু গত বেশ কয়েক মাস ধরেই দারুণ করছে, যদিও কিছুটা চিন্তা আছে ব্যাটসম্যানদের নিয়ে। আমি বারবারই বলছি, আমাদের ব্যাটাররা যদি একসঙ্গে জ্বলে উঠতে পারে তাহলে এই মাঠে বড় রান করা সম্ভব। প্রথমে ব্যাট করে ওরা যদি সেটা করে দেখাতে পারে তাহলে কিন্তু আমরা প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে দিতে পারব – কারণ বোলিংটাই আমাদের প্রধান শক্তি"।
"ম্যাচে যারা গোড়াতে বিপক্ষকে চাপে ফেলতে পারবে, এগিয়ে থাকবে তারাই। আয়ারল্যান্ড যদিও প্রায় দিন দশেক আগেই এখানে পৌঁছে গেছে, তার পরেও আমি বলবো আলাদা করে কোনও দলই বাড়তি অ্যাডভান্টেজ নিয়ে শুরু করবে না"।
আয়ারল্যান্ড অবশ্য অ্যাডভান্টেজ দূরস্থান, রীতিমতো কোণঠাসা অবস্থা থেকে কিভাবে ঘুরে দাঁড়াবে সেই মরিয়া চেষ্টাতেই ব্যস্ত।
প্রথম ম্যাচেই অনভিজ্ঞ ওমানের বিরুদ্ধে দুই উইকেটে পরাজয়ে বিশ্বকাপে দলের সম্ভাবনা বিরাট হোঁচট খেয়েছে, আর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হারলেই তাদের টুর্নামেন্ট একরকম শেষ হয়ে যাবে।
তবে আইরিশ সহ-অধিনায়ক গেরি উইলসন বলছিলেন এরকম চাপের মুখেই তাদের সেরাটা বের হয়ে আসে এবং এমন নয় যে তাদের বাংলাদেশকে আগে হারানোর অভিজ্ঞতা নেই।
গেরি উইলসন বলেন, "২০০৯ সালের টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপেই কিন্তু আমরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জিতেছিলাম। তারও বেশ কয়েক বছর আগে ইংল্যান্ডের মাটিতেও আমরা ওদের হারিয়েছি। বাংলাদেশ অবশ্যই দল হিসেবে দারুণ উন্নতি করেছে, কিন্তু বিশ্বকাপ বা ওরকম বড় আসরে আমাদেরও অনেক অঘটন ঘটানোর ইতিহাস আছে। তা ছাড়া যখনই দেখেছি আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায়, তখনই দলের বেশ কিছু ক্রিকেটার রুখে দাঁড়ানোর ক্ষমতা রাখে"।
"গতকাল আমরা সত্যিই ভাল খেলিনি। শিশির পড়েছিল বা ওই জাতীয় অন্য কোনও অজুহাত দেব না। কিন্তু সামনে আমাদের অন্য লড়াই। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আমাদের নিজেদের প্রমাণ করতেই হবে"-বলেন গেরি উইলসন।
আয়ারল্যান্ডের এই একরোখা, কিছুই হারানোর নেই মানসিকতাটা যদি বাংলাদেশের জন্য সমস্যার কারণ হয় তাহলে আর একটা সমস্যা হলো রাতে ধরমশালাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা।
কোনও কারণে ওই ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে পয়েন্ট ভাগাভাগি হবে দু'দলের মধ্যে।
আর তার আগে বিকেলের ম্যাচে ওমান যদি নেদারল্যান্ডসকে হারাতে পারে তাহলে এই গ্রুপ থেকে পরের পর্বে যাওয়ার অঙ্কটা ভীষণই জটিল হয়ে পড়বে।
তার মানে শুধু তাসকিন-আরাফাত ঘটিত সমস্যাই নয়, পাহাড়ি এই শহরে আকাশের মেজাজমর্জিও বাংলাদেশ দলের কপালে ভাঁজ ফেলছে।
ব্রিটিশ সরকার বাংলাদেশ এবং ব্রিটেনের মধ্যে কার্গোবাহী সরাসরি বিমান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার পর বাংলাদেশ সরকার এই সিদ্ধান্তকে অনাকাঙ্খিত বলে বর্ণনা করেছে।
বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোতে আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই বলে উল্লেখ করে ব্রিটিশ সরকার গতকাল এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে।
৩১শে মার্চের মধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি না হলে যাত্রীবাহী সরাসরি ফ্লাইটও বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে ব্রিটেন।
কার্গোবাহী বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এতে তাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ব্রিটেনের পদক্ষেপের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বিমানবন্দরে গিয়ে কর্মকর্তাদের সাথে জরুরি বৈঠক করেছেন।
বৈঠকের পর মন্ত্রী বলেছেন, নিরাপত্তা ঘাটতি দূর করতে চার মাস ধরে ব্রিটেনের সহায়তায় বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেছেন, উন্নত স্ক্যানার মেশিনসহ আধুনিক যন্ত্র সংগ্রহের জন্য সরকার ইতিমধ্যেই ৯০কোটি টাকার প্রকল্প পাস করেছে।
এরপরও ব্রিটেনে এমন পদক্ষেপ বাংলাদেশ আশা করেনি।
ঢাকায় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ঘাটতি নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছেন।
দুই দেশের সম্মত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকায় বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদারের কাজ শুরুর জন্য ব্রিটেন ৩১শে মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল।
ব্রিটেনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের কাছে সেই সময়ের কথা তুলে ধরে বলা হয়েছে, এখনও যথাযত পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, এ পর্যন্ত নেয়া পদক্ষেপের বিস্তারিত তুলে ধরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চিঠির জবাব দেবেন।
এছাড়াও এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্রিটেনের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখবে ।
বিমান মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিটেনের সাথে যৌথভাবে বাকি দিনগুলোর মধ্যে নিরাপত্তা জোরদারের পদক্ষেপ বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে এবং তা তদারকির জন্য মন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই সময়টা বিমানবন্দরেই অফিস করবেন।
এদিকে ব্রিটেন ঢাকা থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট নিষিদ্ধ করায় তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেছেন, “গত বছরে ব্রিটেনে তিন বিলিয়ন ডলারের গার্মেন্টস রপ্তানি হয়েছে। এ বছর আমরা রপ্তানির টার্গেট করেছি সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলারের গার্মেন্টস। কিন্তু সরাসরি কার্গো নিষিদ্ধ হওয়ায় রপ্তানি নিয়ে আমাদের মধ্যে শংকা বাড়ছে"।
বিজিএমইএ’র এই নেতা আরও বলেছেন, ব্রিটেনের পদক্ষেপ অন্য দেশগুলো যদি অনুসরণ করে, তাহলে বাংলাদেশের পুরো রপ্তানিখাতই বড় ধরনের হুমকির মধ্যে পড়বে।
কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের দশ থেকে পনেরো শতাংশই কার্গো বা বিমানে পাঠানো হয়।
মিয়ানমারে সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দল, ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) প্রেসিডেন্ট পদে তাদের দুজন প্রার্থীর নাম প্রস্তাব করেছে। তবে তাদের মধ্যে সুচির নাম নেই।
বার্মা হিসাবেও পরিচিত এই দেশটির তৃতীয় একজন প্রার্থীর নাম প্রস্তাব করবে সামরিক বাহিনী।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই দেশটির পার্লামেন্ট তাদের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করবে। তিনজনের মধ্যে পরাজিত বাকি দুজন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হবেন।
সংবাদদাতারা বলছেন, প্রার্থীদের একজন, সুচির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত হাথিন কিয়াউ- এর জয়ের সম্ভাবনা অনেক বেশি। কারণ পার্লামেন্টে এনএলডির সংখ্যাগরিষ্ঠতাই বেশি।
মিয়ানমারের বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী, বিদেশীকে বিয়ে করার কারণে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করতে পারবেন না সুচি। যদিও এই ধারা বিলোপের বিষয়ে আলোচনা চলছে।
যদিও সুচি আগেই ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি প্রেসিডেন্টের উপরে থাকবেন।
সুন্দরবনের কাছে বাগেরহাটের রামপালে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক চলছে।
দু'টি ইউনিটে ১৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার এ বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন অনেকে।
অন্যদিকে সরকার এবং বাংলাদেশ ভারত যৌথ কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের দূষণ হবে সামান্য যা সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি করবে না।
সুন্দরবনের সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকা ১৪ কিলোমিটার দূরে।
সরকারি হিসেবে বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা থেকে প্রকল্পের দূরত্ব ৬৯ কিলোমিটার।
সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, সুন্দরবনের নিকটে থাকার কারণেই রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে তাদের আপত্তি।
“এই ইকো সিস্টেম যদি আপনার নষ্ট হয় কোনো কারণে এবং সেটা দেখা যায় না, সেটা বিশেষজ্ঞরা বুঝতে পারেন। যে কারণে ওয়ার্ল্ড হেরিটেইজ বিশেষজ্ঞ দিয়ে এটাকে মূল্যায়ন করতে ইউনেস্কো গুরুত্ব দিয়েছে। যদি কোনো কারণে বিঘ্ন হয় তাহলে দেখা যায় সেই পরিবেশে হয়তো বাঘ বেঁচে থাকতে পারবে না, সেই পরিবেশে হয়তো কুমির বেঁচে থাকতে পারবে না”
মিস্টার আলম মনে করেন, কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে যত উন্নত প্রযুক্তিই ব্যবহার করা হোক সেটি সুন্দরবনের ক্ষতি মোকাবেলায় যথেষ্ট হবে না।
আর এ প্রকল্পের জন্য পরিবেশগত প্রভাব নিরুপণ প্রতিবেদনটিও বিশেষজ্ঞমহলে গ্রহণযোগ্য হয়নি।
তিনি বলেন, “যে সিম্যুলেশন রেজাল্ট দেখানো হয়েছে ওই রেজাল্ট যে বাস্তবে কার্যকর বা বাস্তবসম্মত সেটাও তারা প্রমাণ দেখাতে পারেনি। একটা অংক করে তার রেজাল্ট পাওয়া গেলে সেই রেজাল্ট যে বাস্তবে প্রমাণসিদ্ধ বা বাস্তবে যে যথোপযুক্ত সেটা যতক্ষণ পর্যন্ত প্রমাণিত না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত সেই রেজাল্টের ভিত্তিতে কোনো ডিজাইন কোনো ড্রইং ইম্পলিমেন্টেশনে যাওয়া যায় না”।
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য প্রতিদিন প্রয়োজন হবে ১২ হাজার টন কয়লা।
সুন্দরবনের ভেতর নদী পথে এই কয়লা পরিবহন এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনাও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়।
জীব বৈচিত্র্য গবেষক ডক্টর আনিসুজ্জামান খানের মতে সুন্দরবনের টিকে থাকার বিশেষ শক্তি আছে কিন্তু বিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়বে বলে তিনি মনে করেন।
“এই মুহূর্তে যেটি দরকার, সেটি হচ্ছে ওয়ার্ল্ড হেরিটেইজ সাইট তার যে ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান সেটা ডেভেলপ করা। রামসার সাইট তার ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী আরেকটা ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান এবং ওয়াইল্ড লাইফ স্যানচুয়ারি যেটা বাংলাদেশ ওয়াইল্ড লাইফ অ্যাক্ট তার আলোকে এই ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান তৈরি করা এবং ইমপ্লিমেন্ট করা। তাহলেই এই সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য লংটার্মে সাসটেইন করবে”।
রামপাল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি।
কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দূষণ কমাতে ১৩টি ধাপে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে কয়লার দূষণ সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা হবে।
কোম্পানির চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম বলেন, সুন্দরবনের ক্ষতি যেন না হয় সেজন্য বাড়তি বিনিয়োগও করা হচ্ছে।
“সব রকমের যতটুকু মেজারস নিলে পরে সুন্দরবনের কোনোই ক্ষতি হবে না এবং আমাদের স্টাডি তাই বলে, আমাদের এনভাইরনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম তাই বলে এবং আমাদের স্ট্রং কমিটমেন্ট, আমরা মনে করি যে সুন্দরবন নিরাপদ থাকবে। যে ইমপ্যাক্টগুলো হবে এটা ম্যক্সিমাম নেগলিজিবল ইমপ্যাক্ট এবং এটা ১.৬ কিলোমিটার রেডিয়াসের মধ্যে থাকবে। সুন্দরবনতো অনেক নিরাপদ দূরত্বে। কাজেই এখানে দুশ্চিন্তার কোনো কারণই নেই”।
যারা এ প্রকল্পের বিরোধিতা করছেন তাদেরকে দিনাজপুরের নিম্ন মানের কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কী ক্ষতি হয়েছে তা দেখার পরামর্শ দেন মিস্টার ইসলাম।
“বড়পুকুরিয়া আমাদের যে ২৫০ মেগাওয়াট একটা সাব ক্রিটিক্যাল কোল বেইজড পাওয়ার প্ল্যান্ট আজ থেকে দশ বছর আগে করেছি। আপনার সেখানে গিয়ে দেখে আসেন না কেন সেটাতে কী ধরনের ইমপ্যাক্ট পড়েছে, সেখানে কয়টা মানুষ মারা গেছে, কয়টা পশুপাখি মারা গেছে, কয়টা গাছপালা জ্বলে গেছে, সেখানে কি ফসল হয় না, সেটা কি মরুভূমি হয়ে গেছে?
বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে বলা হচ্ছে এ প্রকল্পের কারণে সুন্দরবনের ব্যাপক ক্ষতি হবে এটি যেমন ঠিক নয় তেমনি আবার একেবারে কোনো ক্ষতিই হবে না সে দাবিও ভিত্তিহীন।
বুয়েটের অধ্যাপক ডক্টর ইজাজ হোসেন বলেন, “সরকার যেখানে করতে চাচ্ছে সেখানে না করলেই ভাল হতো, আমার মতে আরো দূরে করলে ভাল হতো, কিন্তু যেহেতু তারা করে ফেলেছে তারা করতে চায়"।
"আমি টেকনিক্যালি যেটা বলতে পারি সেটা হচ্ছে তারা যদি সর্বশ্রেষ্ঠ টেকনোলজি ব্যবহার করে তাহলে দূষণটা খুবই সামান্য হবে এবং সেই দূষণে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে না।
কিন্তু অবশ্যই সেখানে দ্বিতীয় পাওয়ার প্ল্যান্ট ঐ সাইজের করা ঠিক হবে না এবং অবশ্যই ঐখানে পশুর নদীর ধারে যে প্রাইভেট সেক্টর ডেভলপমেন্ট হচ্ছে ওগুলো বন্ধ করা দরকার”।
সরকারি হিসেবেই এখনো বাংলাদেশে ২৫ শতাংশ মানুষ সম্পূর্ণভাবে বিদ্যুৎ সুবিধার বাইরে আছে।
বলা হচ্ছে ২০৪১ সাল নাগাদ বিদ্যুতের চাহিদা দাঁড়াবে প্রায় ষাট হাজার মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লা ব্যবহারের হার যেখানে মাত্র দুই শতাংশ সেটিকে ৫০ ভাগে নেয়ার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে।
এ বাস্তবতায় মহেশখালী, পটুয়াখালী এবং রামপালে তিনটি বড় কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।
যদিও বিতর্কের কারণে রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের বাস্তবায়ন প্রায় তিন বছর পিছিয়ে গেছে।
এ মাসের শেষে ঐতিহাসিক এক সফরে কিউবা যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
রাষ্ট্রীয় নানা কর্মসূচীতে অংশ নিলেও এ সময় তিনি দেশটির কিংবদন্তী নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রোর সঙ্গে বৈঠক করবেন, সে সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
বরং কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল ক্যাস্ট্রোর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে, মি. ওবামা দেশটির ভিন্নমতাবলম্বী রাজনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্টের একজন নিরাপত্তা উপদেষ্টা।
১৯২৮ সালের পর এই প্রথম দায়িত্বে থাকা অবস্থায় একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট কিউবা সফরে যাচ্ছেন।
স্নায়ু যুদ্ধের সময়ে সৃষ্ঠ বৈরিতা কাটিয়ে, মাত্র গত জুলাইতেই দুই দেশ সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেয়।
বলা হচ্ছে, এটি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও তার স্ত্রীর বৃহত্তর লাতিন অ্যামেরিকা সফরেরই একটি অংশ।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতিনির্ধারণী সংস্থা ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি ডোনাল্ড টাস্ক অর্থনৈতিক অভিবাসীদের ইউরোপে না ঢুকতে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অর্থের আশায় অবৈধভাবে ইউরোপে এসে তাঁদের কোনো লাভ হবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপ্রাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে টাস্ক এই সতর্কতা উচ্চারণ করেন। খবর এএফপির। এথেন্সে অনুষ্ঠিত গতকালের সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড টাস্ক বলেন, ‘আমি সব অর্থনৈতিক অভিবাসীদের উদ্দেশে এই আবেদন করতে চাই যে আপনারা ইউরোপে আসবেন না। মানব পাচারকারীদের বিশ্বাস করবেন না। নিজের অর্থকড়ি এবং জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলবেন না। এসবের কিছুই কাজে আসবে না।’ টাস্ক ইউরোপের ভেতরের অবাধ চলাচল অঞ্চল শেংগেনভুক্ত দেশগুলোর নিজ নিজ সীমানায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, এতে ইইউর সংহতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। তবে ইইউর বাইরের সীমান্তে বেড়া দেওয়ার পক্ষে মত দেন টাস্ক। এর আগে ডোনাল্ড টাস্ক বুধবার স্লোভেনিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমানায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়াকে শরণার্থী ‘সংকট মোচনের পূর্বশর্ত’ উল্লেখ করেন। প্রয়োজনে তিনি শরণার্থী ঠেকাতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নীতিকেও সমর্থন করেন।
গত মঙ্গলবার ভিয়েনা সফরের সময় ডোনাল্ড টাস্ক বলেন, তুরস্ক ও গ্রিস থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অভিবাসী আসা কমিয়ে আনাই এ মুহূর্তে ইউরোপে মানবিক বিপর্যয় এড়ানোর চাবিকাঠি।
ইউরোপের শরণার্থী সংকট নিয়ে আলোচনা করতে টাস্ক গতকাল গ্রিস সফর করেন। গতকালই তাঁর সেখান থেকে তুরস্ক সফরে যাওয়ার কথা।
শরণার্থী নিয়ে সমগ্র ইউরোপে উদ্বেগ দানা বেঁধে ওঠার প্রেক্ষাপটে সমস্যা সমাধানে সব পক্ষকে একই ছাতার নিচে আনার প্রচেষ্টায় ডোনাল্ড টাস্ক কয়েক দিন ধরে মধ্য এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর রাজধানী সফর করছেন। আগামী সোমবার এ বিষয়ে ইইউ-তুরস্ক সম্মেলন হবে। এর আগে ডোনাল্ড টাস্ক সব পক্ষের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলে প্রস্তুতিমূলক কাজ সেরে রাখছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদেরও গতকাল ফ্রান্সে বৈঠক করার কথা। সেখানে তাঁদের আলোচনায়ও শরণার্থীর বিষয়টি প্রাধান্য পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ কয়েক দিন ধরে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় ক্যালে বন্দরে ‘জঙ্গল’ নামে পরিচিত শরণার্থীদের ঝুপড়ি বসতি উচ্ছেদ করছে। যুক্তরাজ্যে ঢোকার চেষ্টায় কয়েক হাজার লোক সেখানে অবস্থান করছে। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তির শর্ত মেনে ফ্রান্স এই অভিবাসীদের শিবিরেই আটকে রেখেছে। তবে ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী বলেছেন, যুক্তরাজ্য ইইউ থেকে বেরিয়ে গেলে সেই বাধ্যবাধকতার অবসান হবে।ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকাকে তিনি বলেন, ইইউর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক ছিন্ন হলে শরণার্থীরা আর ক্যালে বন্দরে থাকবে না। তবে ফ্রান্সের শরণার্থী-বিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন, ক্যালে বন্দরের শরণার্থীরা যাতে যুক্তরাজ্যে না ঢোকে সে জন্য যুক্তরাজ্য ফ্রান্সকে অতিরিক্ত দুই কোটি ইউরো দেবে।
ডোনাল্ড টাস্কসহ ইউরোপের নেতারা যখন সংকট সমাধানে নানা তৎপরতা চালাচ্ছেন, সে মুহূর্তে গ্রিসের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে ২৫ হাজারের বেশি শরণার্থী খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। মঙ্গলবার কাদা মাটির মধ্যে শরণার্থীদের ত্রাণের খাবার নিয়ে কাড়াকাড়ির খবর ও ছবি প্রকাশ পাওয়ার পর এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানাচ্ছে পুরো সিরিয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
দেশটির সমস্ত প্রদেশে কোনও কারণ ছাড়াই বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেয়া হয়েছে এবং এর কারণ জানার চেষ্টা চালাচ্ছে কর্মকর্তারা-বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে এমনটাই জানাচ্ছে রাষ্ট্রীয় মাধ্যম।
যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার অধিকাংশ এলাকায় দিনে মাত্র ২-৩ ঘণ্টায় বিদ্যুৎ পাওয়া যায়।
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অভিযোগ করে বলছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে সামনে রেখে রাশিয়া এবং সিরিয়া সরকার দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালকে হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।
গত বারো সপ্তাহে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের আলেপ্পো প্রদেশে ক্লিনিক, মেডিক্যাল সেন্টার ও হাসপাতালে ছয়টি হামলা হয়েছে বলে প্রমাণ সংগ্রহ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
এসব হামলায় মেডিকেলের একজন কর্মীসহ অন্তত তিনজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে এবং ৪৪ জন আহত হয়েছে।
এদিকে, সিরিয়ার সরকার ও বিরোধীপক্ষের উভয়ের বিরুদ্ধেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।
আর দেশটির সরকারবিরোধী গোষ্ঠী ও বেসামরিক জনগণের ওপর রুশ-সিরীয় হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
অস্ট্রেলিয়ার একজন লেখকের কাছে আসা ১ লাখ ৫০ হাজার ডলার মূল্যের সাহিত্য পুরস্কার সম্পর্কিত ইমেইলটি ভুয়া নয় বরং সত্যিকারের ইমেইল-এটা জানার পর ওই লেখক রীতিমতো ‘তার চেয়ার থেকে পড়ে গিয়েছিলেন’ ।
হেলেন গার্নার নামের ওই লেখক অস্ট্রেলিয়া ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে বলছিলেন, “এসব কী দেখছি আমি? কেউ নিশ্চয়ই আমার পিছনে লেগেছে”।
এরপর মিস গার্নার ওই ইমেইলটি মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু তারপরও করেননি।
মিস গার্নার তার প্রকাশকে ফোন করার কথা ভাবলেন, ওই প্রকাশকই তাকে নিশ্চিত করেছিলেন বাস্তবিক অর্থেই উইন্ডহ্যাম-ক্যাম্পবেল পুরস্কার রয়েছে।
বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বের দামী সাহিত্য পুরস্কারগুলোর মধ্যে একটি হলো উইন্ডহ্যাম-ক্যাম্পবেল পুরস্কার।
৭৩ বছর বয়সী হেলেন গার্নার নন-ফিকশন ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার পেয়েছেন।
মিস গার্নার বিভিন্ন ধরনের উপন্যাস লিখেছেন এবং চিত্রনাট্যও রচনা করেছেন।
অস্ট্রেলিয়ান ক্লাসিক সাহিত্যে অন্যতম ভূমিকা রয়েছে মিস গার্নারের।
উইন্ডহ্যাম-ক্যাম্পবেল সাহিত্য পুরস্কার পাবার ইমেইল দেখে মিস গার্নারের মতো অন্যান্য লেখকেরাও অবাক হন কারণ এই পুরস্কারের জন্য কোন কিছু জমা দেয়ার কোনও প্রক্রিয়া নেই।
ইয়েল তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে , অজ্ঞাতপরিচয়ে লেখকদের লেখা বিচার করা হয় এবং তারা জানেওনা যে তাদের এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।