শুক্রবার, ১১ মার্চ, ২০১৬

বিমানবন্দরে নিরাপত্তা নিয়ে যেভাবে এগুতে চায় ঢাকা

বিমানবন্দরে নিরাপত্তা নিয়ে যেভাবে এগুতে চায় ঢাকা
Image captionঢাকায় বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদারের কাজ শুরুর জন্য ব্রিটেন ৩১শে মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল।
ব্রিটিশ সরকার বাংলাদেশ এবং ব্রিটেনের মধ্যে কার্গোবাহী সরাসরি বিমান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার পর বাংলাদেশ সরকার এই সিদ্ধান্তকে অনাকাঙ্খিত বলে বর্ণনা করেছে।
বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোতে আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই বলে উল্লেখ করে ব্রিটিশ সরকার গতকাল এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে।
৩১শে মার্চের মধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি না হলে যাত্রীবাহী সরাসরি ফ্লাইটও বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে ব্রিটেন।
কার্গোবাহী বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এতে তাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ব্রিটেনের পদক্ষেপের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বিমানবন্দরে গিয়ে কর্মকর্তাদের সাথে জরুরি বৈঠক করেছেন।
বৈঠকের পর মন্ত্রী বলেছেন, নিরাপত্তা ঘাটতি দূর করতে চার মাস ধরে ব্রিটেনের সহায়তায় বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেছেন, উন্নত স্ক্যানার মেশিনসহ আধুনিক যন্ত্র সংগ্রহের জন্য সরকার ইতিমধ্যেই ৯০কোটি টাকার প্রকল্প পাস করেছে।
এরপরও ব্রিটেনে এমন পদক্ষেপ বাংলাদেশ আশা করেনি।
ঢাকায় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ঘাটতি নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছেন।
দুই দেশের সম্মত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকায় বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদারের কাজ শুরুর জন্য ব্রিটেন ৩১শে মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল।
ব্রিটেনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের কাছে সেই সময়ের কথা তুলে ধরে বলা হয়েছে, এখনও যথাযত পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, এ পর্যন্ত নেয়া পদক্ষেপের বিস্তারিত তুলে ধরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চিঠির জবাব দেবেন।
এছাড়াও এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্রিটেনের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখবে ।
বিমান মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিটেনের সাথে যৌথভাবে বাকি দিনগুলোর মধ্যে নিরাপত্তা জোরদারের পদক্ষেপ বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে এবং তা তদারকির জন্য মন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই সময়টা বিমানবন্দরেই অফিস করবেন।
এদিকে ব্রিটেন ঢাকা থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট নিষিদ্ধ করায় তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেছেন, “গত বছরে ব্রিটেনে তিন বিলিয়ন ডলারের গার্মেন্টস রপ্তানি হয়েছে। এ বছর আমরা রপ্তানির টার্গেট করেছি সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলারের গার্মেন্টস। কিন্তু সরাসরি কার্গো নিষিদ্ধ হওয়ায় রপ্তানি নিয়ে আমাদের মধ্যে শংকা বাড়ছে"।
বিজিএমইএ’র এই নেতা আরও বলেছেন, ব্রিটেনের পদক্ষেপ অন্য দেশগুলো যদি অনুসরণ করে, তাহলে বাংলাদেশের পুরো রপ্তানিখাতই বড় ধরনের হুমকির মধ্যে পড়বে।
কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের দশ থেকে পনেরো শতাংশই কার্গো বা বিমানে পাঠানো হয়।
কাদির কল্লোল বিবিসি বাংলা, ঢাকা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন