বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে বিমানবন্দর ও মেট্রো স্টেশনে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অংশ নেওয়া দুই ভাই সম্পর্কে অবগত ছিল মার্কিন কর্তৃপক্ষ। তাঁদের নাম যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদের তালিকায় ছিল। এনবিসি টেলিভিশন নেটওয়ার্ক গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করেছে।
এনবিসি তাদের প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের দুজন নাম প্রকাশ না করা কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করেছে। এতে বলা হয়েছে, ব্রাসেলসে আত্মঘাতী হামলায় অংশ নেওয়া ইব্রাহিম আল বকরাউয়ি ও তাঁর ভাই খালিদ আল বকরাউয়ি ‘সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হুমকি’ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের তালিকায় ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদের ঠিক কোন তালিকায় ওই দুই ভাইয়ের নাম ছিল, তা সুনির্দিষ্ট করেননি মার্কিন কর্মকর্তারা।
প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল কাউন্টার টেররিজম সেন্টারের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তারা কোনো জবাব দেয়নি।
ব্রাসেলসে হামলার আগে থেকেই ইব্রাহিম ও খালিদের নাম পুলিশের খাতায় ছিল। তাঁদের খুঁজছিল বেলজিয়ামের পুলিশ। হামলায় অংশ নেওয়া আরেকজন নাজিম লাশরাউয়ি সম্পর্কেও অবগত ছিল বেলজিয়ামের কর্তৃপক্ষ। এত কিছু সত্ত্বেও তাঁরা নিরাপত্তাব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম হন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বুধবার বলেন, ব্রাসেলসে আত্মঘাতী হামলায় নিজেকে উড়িয়ে দেওয়া একজনকে তাঁরা গত বছর গ্রেপ্তার করেন। পরে তাঁকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী যোদ্ধা’ হিসেবে বহিষ্কার করে নেদারল্যান্ডসে পাঠানো হয়।
এরদোয়ানের ওই বক্তব্যের পর তুরস্কের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, বিতাড়িত ওই ব্যক্তিই ইব্রাহিম।
আরেক আত্মঘাতী খালিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে আন্তর্জাতিক পরোয়ানা জারি ছিল।
তৃতীয় আত্মঘাতী নাজিমের বিরুদ্ধে ব্রাসেলস হামলার আগের দিনই নোটিশ জারি হয়েছিল।
জাভেনতেম বিমানবন্দরে হামলায় অংশ নেন ইব্রাহিম ও নাজিম। মেট্রো স্টেশনে হামলায় অংশ নেন খালিদ।
ইব্রাহিম, খালিদ ও নাজিমের সঙ্গে প্যারিস হামলার অন্যতম সন্দেহভাজন সালাহ আবদেসালামের সম্পর্ক ছিল।
আবদেসালামকে গত শুক্রবার ব্রাসেলসের একটি গোপন আস্তানা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁকে গ্রেপ্তার করার চার দিনের মাথায় ব্রাসেলসে সন্ত্রাসী হামলা হয়।
গত বছরের ১৩ নভেম্বর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে একযোগে কয়েকটি স্থানে আইএসের হামলায় নিহত হয় ১৩০ জন। আর গত মঙ্গলবার ব্রাসেলসের বিমানবন্দর ও মেট্রো স্টেশনে আইএসের হামলায় অন্তত ৩১ জন নিহত হয়। আহত হয় ২৭০ থেকে ৩০০ জন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন