বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফটকের সামনে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে এক দশকেও নির্মিত হয়নি পদচারী-সেতু (ফুটওভারব্রিজ)। নেই কোনো গতিরোধকও।
এতে গত দুই বছরে সেখানে অর্ধশত দুর্ঘটনায় প্রাণ ঝরেছে ছয়জনের। আহত হয়েছেন আরও অর্ধশত। এখনো হাতের মুঠোয় প্রাণ নিয়ে মহাসড়ক পার হন চিকিৎসক-কর্মচারী, মেডিকেল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা।
হাসপাতাল ও কলেজ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, অন্তর্বিভাগ ও বহির্বিভাগে গড়ে প্রতিদিন আট হাজার রোগী ও তাঁদের স্বজন-দর্শনার্থী, চিকিৎসক-শিক্ষক-নার্স- কর্মচারী এবং মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে আসেন। এ ছাড়া রোগীদের ওষুধ, চিকিৎসাসামগ্রী, পথ্য, পানি ও খাবার আনতে প্রায়ই মহাসড়ক পার হতে হয়।
পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, ৯ ফেব্রুয়ারি অসুস্থ স্বামীকে হাসপাতালে নিয়ে এসে ওষুধ কেনার জন্য মহাসড়ক পারাপারের সময় বাসচাপায় নিহত হন গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বাজিতনগর গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী নুরজাহান বেগম (২৫)।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মেডিকেল কলেজের একজন শিক্ষক প্রথম আলোকে বলেন, গত রোজার মাসে হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থ স্বামীর জন্য খাওয়ার পানি আনতে মহাসড়ক পারাপারের সময় বাসের চাপায় প্রাণ হারান এক গৃহবধূ।
জানতে চাইলে মেডিকেল কলেজ ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ শাহ আলম বলেন, পদচারী-সেতু ও গতিরোধক না থাকায় প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা ঘটছে এখানে।
গত দুই বছরে এখানে কমপক্ষে ছয়জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
হাসপাতালের হাড় জোড় বিভাগে চিকিৎসাধীন একজন রোগীর স্বজন তাসলিমা বেগম বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামীর হাত-পা ভেঙেছে। কোনোরকমে গাইবান্ধা থেকে বাসে এসে হাসপাতালের সামনে নেমেছি। অসুস্থ রোগী নিয়ে ব্যস্ত মহাসড়ক খুব কষ্ট করে পার হতে হয়েছে। এখন ওষুধ, খাবার ও পানি কিনতে প্রাণ হাতের মুঠোয় নিয়ে পার হতে হয়।’
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম আহসান হাবিব বলেন, ‘কলেজ ফটকে মহাসড়ক পারাপার হতে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর প্রাণ এখন ঝুঁকির মুখে। গতিরোধক ও পদচারী-সেতু চেয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগে অসংখ্যবার চিঠি দিয়েছি। একাধিক মন্ত্রীর কাছে ধরনা দিয়েছি। কিন্তু কোনো কিছুতেই কাজ হয়নি।’
সওজের বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, ওই ফটকের সামনে পদচারী-সেতু কিংবা গতিরোধক নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা আপাতত সওজের নেই। মন্ত্রণালয় অনুমোদন ও বরাদ্দ দিলে তা নির্মাণ করা হবে।
এতে গত দুই বছরে সেখানে অর্ধশত দুর্ঘটনায় প্রাণ ঝরেছে ছয়জনের। আহত হয়েছেন আরও অর্ধশত। এখনো হাতের মুঠোয় প্রাণ নিয়ে মহাসড়ক পার হন চিকিৎসক-কর্মচারী, মেডিকেল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা।
হাসপাতাল ও কলেজ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, অন্তর্বিভাগ ও বহির্বিভাগে গড়ে প্রতিদিন আট হাজার রোগী ও তাঁদের স্বজন-দর্শনার্থী, চিকিৎসক-শিক্ষক-নার্স- কর্মচারী এবং মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে আসেন। এ ছাড়া রোগীদের ওষুধ, চিকিৎসাসামগ্রী, পথ্য, পানি ও খাবার আনতে প্রায়ই মহাসড়ক পার হতে হয়।
পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, ৯ ফেব্রুয়ারি অসুস্থ স্বামীকে হাসপাতালে নিয়ে এসে ওষুধ কেনার জন্য মহাসড়ক পারাপারের সময় বাসচাপায় নিহত হন গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বাজিতনগর গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী নুরজাহান বেগম (২৫)।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মেডিকেল কলেজের একজন শিক্ষক প্রথম আলোকে বলেন, গত রোজার মাসে হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থ স্বামীর জন্য খাওয়ার পানি আনতে মহাসড়ক পারাপারের সময় বাসের চাপায় প্রাণ হারান এক গৃহবধূ।
জানতে চাইলে মেডিকেল কলেজ ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ শাহ আলম বলেন, পদচারী-সেতু ও গতিরোধক না থাকায় প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা ঘটছে এখানে।
গত দুই বছরে এখানে কমপক্ষে ছয়জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
হাসপাতালের হাড় জোড় বিভাগে চিকিৎসাধীন একজন রোগীর স্বজন তাসলিমা বেগম বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামীর হাত-পা ভেঙেছে। কোনোরকমে গাইবান্ধা থেকে বাসে এসে হাসপাতালের সামনে নেমেছি। অসুস্থ রোগী নিয়ে ব্যস্ত মহাসড়ক খুব কষ্ট করে পার হতে হয়েছে। এখন ওষুধ, খাবার ও পানি কিনতে প্রাণ হাতের মুঠোয় নিয়ে পার হতে হয়।’
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম আহসান হাবিব বলেন, ‘কলেজ ফটকে মহাসড়ক পারাপার হতে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর প্রাণ এখন ঝুঁকির মুখে। গতিরোধক ও পদচারী-সেতু চেয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগে অসংখ্যবার চিঠি দিয়েছি। একাধিক মন্ত্রীর কাছে ধরনা দিয়েছি। কিন্তু কোনো কিছুতেই কাজ হয়নি।’
সওজের বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, ওই ফটকের সামনে পদচারী-সেতু কিংবা গতিরোধক নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা আপাতত সওজের নেই। মন্ত্রণালয় অনুমোদন ও বরাদ্দ দিলে তা নির্মাণ করা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন