বিসিএস পরীক্ষায় ‘নিষিদ্ধ হওয়া’ সেই আবদুল আউয়াল অনেক নাটকীয়তার পর অবশেষে বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডার পেয়েছেন। আজ সোমবার পিএসসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৯ তম বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম হওয়া আবদুল আউয়ালকে পুলিশ ক্যাডারে মনোনীত করা হয়েছে।
পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আ ই ম নেছারউদ্দিন প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, ‘এ বছরের ১০ জানুয়ারি আদালতের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি কর্ম-কমিশন ওই প্রার্থীকে পুলিশ ক্যাডারের জন্য মনোনীত করেছে। এখন যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাঁর কাগজপত্রের সত্যতা যাচাই ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে।’
২০০৯ সালে ২৯ তম বিসিএস এর প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পরের বছর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর ২০১১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। ওই ফলাফলে সুপারিশকৃতদের মধ্যে আবদুল আউয়ালের রোল নম্বর ছিল না। তবে ২০১২ সালে পিএসসির যে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় তাতে দেখা যায়, আবদুল আউয়াল সবার মধ্যে প্রথম হয়েছেন। এরপর আদালতে যান আউয়াল। ২০১৫ সালের ৩ জানুয়ারি ‘বিসিএসে প্রথম হয়েও চাকরি পাননি আউয়াল’ শিরোনামে প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
পুলিশ ক্যাডারে নিয়োগ পাওয়ার খবরে সন্তুষ্ট আবদুল আউয়াল। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘বিসিএসের ফলাফলে আমার রোল না থাকলেও বার্ষিক প্রতিবেদন দেখে জানতে পারি, আমি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছি এবং পছন্দের পুলিশ ক্যাডার পেয়েছি। তখন আমি একজন আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করি এবং হাইকোর্টে রিট করি। পরে হাইকোর্ট এবং আপিল বিভাগ আমাকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন।’
আবদুল আউয়ালের বিষয়টি নিয়ে বহু নাটকীয়তা হয়েছে পিএসসিতে। এখনো তা চলছে। জেলার নাম ভুল দেওয়ার অভিযোগে আউয়ালের ২৯ তম বিসিএসের প্রার্থিতাই বাতিল করা হয়েছিল। এ ছাড়া সরকারি চাকরিতে তাঁকে নিষিদ্ধও করেছিল পিএসসি। তবে কেন এবং কী প্রক্রিয়ায় আবদুল আউয়ালের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছিল সেই প্রক্রিয়াটি পুরোটাই গোপন রাখা হয়েছিল। কিন্তু বার্ষিক প্রতিবেদনে নাম চলে আসায় বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এর জের ধরে পিএসসির প্রধান মনোবিজ্ঞানী রওশন আরা জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতমূলক অপরাধে জড়িত থাকারও অভিযোগ আনা হয়। কিন্তু তিনি হাইকোর্টে গিয়ে তাঁকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করেন। তিনি আদালতকে জানান, কম্পিউটার শাখা থেকে তিনি যে ফলাফল পেয়েছেন, তা-ই হুবহু পিএসসির বার্ষিক প্রতিবেদনে স্থান পেয়েছে। তাতে দেখা গেছে, আউয়াল পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিএসসির কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন, পুরো বিষয়টি নিয়ে পিএসসিতে অনেক নাটক চলছে। এই ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত করলে পিএসসির অনেক অনিয়ম প্রকাশিত হয়ে যাবে। তবে আবদুল আউয়াল আপাতত তাঁর নিয়োগের খবরেই খুশি।
২০০৯ সালে ২৯ তম বিসিএস এর প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পরের বছর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর ২০১১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। ওই ফলাফলে সুপারিশকৃতদের মধ্যে আবদুল আউয়ালের রোল নম্বর ছিল না। তবে ২০১২ সালে পিএসসির যে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় তাতে দেখা যায়, আবদুল আউয়াল সবার মধ্যে প্রথম হয়েছেন। এরপর আদালতে যান আউয়াল। ২০১৫ সালের ৩ জানুয়ারি ‘বিসিএসে প্রথম হয়েও চাকরি পাননি আউয়াল’ শিরোনামে প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
পুলিশ ক্যাডারে নিয়োগ পাওয়ার খবরে সন্তুষ্ট আবদুল আউয়াল। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘বিসিএসের ফলাফলে আমার রোল না থাকলেও বার্ষিক প্রতিবেদন দেখে জানতে পারি, আমি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছি এবং পছন্দের পুলিশ ক্যাডার পেয়েছি। তখন আমি একজন আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করি এবং হাইকোর্টে রিট করি। পরে হাইকোর্ট এবং আপিল বিভাগ আমাকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন।’
আবদুল আউয়ালের বিষয়টি নিয়ে বহু নাটকীয়তা হয়েছে পিএসসিতে। এখনো তা চলছে। জেলার নাম ভুল দেওয়ার অভিযোগে আউয়ালের ২৯ তম বিসিএসের প্রার্থিতাই বাতিল করা হয়েছিল। এ ছাড়া সরকারি চাকরিতে তাঁকে নিষিদ্ধও করেছিল পিএসসি। তবে কেন এবং কী প্রক্রিয়ায় আবদুল আউয়ালের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছিল সেই প্রক্রিয়াটি পুরোটাই গোপন রাখা হয়েছিল। কিন্তু বার্ষিক প্রতিবেদনে নাম চলে আসায় বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এর জের ধরে পিএসসির প্রধান মনোবিজ্ঞানী রওশন আরা জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতমূলক অপরাধে জড়িত থাকারও অভিযোগ আনা হয়। কিন্তু তিনি হাইকোর্টে গিয়ে তাঁকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করেন। তিনি আদালতকে জানান, কম্পিউটার শাখা থেকে তিনি যে ফলাফল পেয়েছেন, তা-ই হুবহু পিএসসির বার্ষিক প্রতিবেদনে স্থান পেয়েছে। তাতে দেখা গেছে, আউয়াল পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিএসসির কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন, পুরো বিষয়টি নিয়ে পিএসসিতে অনেক নাটক চলছে। এই ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত করলে পিএসসির অনেক অনিয়ম প্রকাশিত হয়ে যাবে। তবে আবদুল আউয়াল আপাতত তাঁর নিয়োগের খবরেই খুশি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন