বাংলাদেশের সরকার বলছে, সিঙ্গাপুর থেকে সন্ত্রাসের দায়ে বহিষ্কৃত ২৬ জনের মধ্যে ১৭ জন এখন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিবিসিকে জানান, এদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর সরকারের আনা অভিযোগ পুলিশ এখন তদন্ত করে দেখছে।
বাদবাকি নয় জনের ভাগ্য সম্পর্কে এখনই কোন তথ্য জানা সম্ভব হয়নি।
সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মাহ্বুব উজ-জামান বিবিসি বাংলাকে বলেন যে বহিষ্কৃতরা বেশ কিছু দিন ধরে সিঙ্গাপুরের নিরাপত্তা বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন।
এদের আটক করার পর বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রশ্নে সিঙ্গাপুর সরকার তাদের সাথে যোগাযোগ করে।
দেশে ফেরার পর এদের একাংশকে সন্ত্রাস দমন আইনে গ্রেফতার করা হয় বলে তিনি জানান।
এর আগে সিঙ্গাপুরের সরকার জানায় যে সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার দায়ে তারা ২৬ জন বাংলাদেশিকে বহিষ্কার করে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে।
কর্মকর্তারা বলেন, তবে এই হামলার লক্ষ্য সিঙ্গাপুর ছিল না, অন্য কোন রাষ্ট্রে এই হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল।
কিন্তু সেটি কোন দেশ সে সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ কোন কথা বলছে না।
সিঙ্গাপুর সরকারের অভিযোগ
সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে গোপনে তারা জিহাদি উপকরণ সরবরাহ করতো এবং সাপ্তাহিক বৈঠকে মুসলমানদের নিয়ে জিহাদ চালানোর ব্যাপারে কথা বলতো।
মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, দলের সদস্য সংখ্যা বাড়াতে তারা সচেতনভাবে বাংলাদেশিদের অন্তর্ভুক্ত করতো।
দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়া অনেকেই মনে করতো ধর্মের জন্য তাদের সশস্ত্র জিহাদে অংশ নেয়া উচিত।
তাদের অনেকেই যুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়ার পরিকল্পনা করতো।
তারা শিয়া মতাবলম্বী মুসলমানদের পথভ্রষ্ট আখ্যা দিয়ে তাদের হত্যাকারীদের সমর্থন করতো।
বাংলাদেশে জিহাদ করার পরিকল্পনা
কিছু ইসলামী দল এবং তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ায় বাংলাদেশ সরকারের উপরও তাদের ঘৃণা ছিল।
মন্ত্রণালয় আরও বলছে, সদস্যদেরকে দেশে ফিরে এসে সশস্ত্র জিহাদে অংশ নিতে উৎসাহিত করা হতো।
বাংলাদেশে চরমপন্থি দলগুলোকে অর্থনৈতিক সাহায্যও পাঠাতো তারা ।
সিঙ্গাপুরের স্ট্রেইট টাইমস সংবাদপত্র খবর দিচ্ছে, এসব বাংলাদেশিকে নভেম্বরের ১৬ থেকে ১লা ডিসেম্বরের মধ্যে আটক করা হয়।
খবরে বলা হয়েছে, আটক ব্যক্তিরা আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর প্রতি অনুগত।
সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে এই পত্রিকার খবর বলা হয়েছে আটক ২৭ জনের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি একটি গোপন ইসলামী শিক্ষা সার্কেলের সদস্য ছিলেন।
এরা আমেরিকান ইয়েমেনি ইসলামী নেতা আনওয়ার আল-আওলাকির মতাদর্শের অনুসারী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন