বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৫

মিরপুরে অভিযানে গ্রেনেড ও সুইসাইড ভেস্ট উদ্ধার

 
     বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় পুলিশ বলছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ভোররাত থেকে মিরপুরের একটি ছয়তলা বাড়িতে তারা তল্লাশি চালায়।
পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের সদস্যরা উদ্ধার হওয়া গ্রেনেড ও হাতবোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করেছে                
পুলিশ বলছে তারা সেখানে থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক, ১৬টি অবিস্ফোরিত হাতে তৈরি গ্রেনেড, দুটি হাতবোমা ও একটি সুইসাইড ভেস্ট উদ্ধার করেছে।
পুলিশ আগে কয়েকটি সুইসাইড ভেস্ট উদ্ধার করার কথা বললেও অভিযানে অংশ নেওয়া গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিবিসি বাংলার কাদির কল্লোলকে অভিযান শেষে জানান তারা সেখান থেকে একটি সুইসাইড ভেস্ট উদ্ধার করেন।
তিনি বলেন সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে যেসব জঙ্গী বিরোধী অভিযান চালানো হয়েছে তাতে এধরনের সুইসাইড ভেস্ট পাওয়ার নজির এটাই প্রথম।
ঢাকায় পুলিশের মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম বলেছেন ঐ এলাকায় গতকাল গভীর রাত থেকে অবস্থান নেওয়ার পর পুলিশ আজ ভোররাতে ঐ ছয়তলা বাড়িতে অভিযান চালায়।
বাড়িটি জঙ্গিদের একটি আস্তানা বলে পুলিশ বলছে।
৭ জনকে আটক করার কথা পুলিশ জানিয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজন শীর্ষস্থানীয় জেএমবি নেতা বলে পুলিশের দাবি।
আটকরা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে এবং পুলিশ বলছে স্থানীয় সময় বিকেল চারটার দিকে তাদের এই অভিযান শেষ হয়েছে।
                 গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ মিরপুরের ঐ বাড়িতে ভোররাত থেকে অভিযান চালায়।                
পুলিশের তথ্য দেওয়া অনুযায়ী তাদের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের সদস্যরা কাছেই একটি খালি জায়গায় গ্রেনেডগুলো নিষ্ক্রিয় করেছে।
তল্লাশির এক পর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেডও নিক্ষেপ করা হয়েছিল বলে পুলিশ জানায়।
তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম শাহীন মণ্ডল বিবিসিকে বলেন, মিরপুর একের এ ব্লকের নয় নম্বর সড়কের একটি ছয় তলা বাড়িতে জঙ্গি আস্তানা রয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে ভোররাত থেকে তারা বাড়িটিকে ঘেরাও করে রাখেন।
মনিরুল ইসলাম জানান, গতকাল আটক হওয়া এক সন্দেহভাজন জঙ্গি সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় ওই বাড়িটিতে জঙ্গিদের একটি আস্তানা রয়েছে। সেখানে অস্ত্র ও বিস্ফোরক রয়েছে বলেও তথ্য পাওয়া যায়।
এই তথ্য অনুযায়ী ভোররাতের দিকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ বাড়িটি ঘেরাও করে ফেলে।
ভাড়াটিয়াদের বাড়ি থেকে বের করে আনা হয় এবং জঙ্গি ও অস্ত্র-বিস্ফোরকের সন্ধানে শুরু হয় তল্লাশি।
'জঙ্গিরা মূলত ছয়তলার একটি ইউনিটে অবস্থান নিয়েছিল। আমরা আশঙ্কা করছি বাড়ি খালি করবার সময় কেউ কেউ ভাড়াটিয়ার ছদ্মবেশে বেরিয়ে যেতে পারে,' বলছিলেন মি. ইসলাম।
উদ্ধারকৃত বিস্ফোরকগুলো হাতে তৈরি গ্রেনেড বলে বর্ণনা করেছেন মিঃ ইসলাম।
মি. ইসলাম এই তল্লাশি অভিযানটিকে হাই-প্রোফাইল উল্লেখ করে বলছেন, সেখানে বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও সোয়াটের সদস্যও রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন