আগের দুই ম্যাচেই ১ রানে হারার পর এবার সিলেট হেরেছে ৬ রানে। চার ম্যাচে তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে সাকিবের রংপুর।
বিপিএলের প্রথম চার দিনে প্রথম ম্যাচে বড় স্কোর হলেও পঞ্চম দিনে হলো ব্যতিক্রম। প্রথমবার প্রথম ম্যাচটি হলো লো-স্কোরিং। ব্যাটিং দুরূহ মন্থর উইকেটে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১০৯ রান তুলেছিল রংপুর। সিলেট শেষ ওভারে গুটিয়ে গেছে ১০৩ রানে।
ব্যাটে-বলে এদিনও উজ্জ্বল ছিলেন রংপুরের অধিনায়ক ও আইকন ক্রিকেটার সাকিব। ব্যাট হাতে ৩৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস খেলার পর বল হাতে নিয়েছেন ৩ উইকেট। টানা দ্বিতীয় দিন ম্যাচ-সেরা তিনিই। আগের দিন ২৪ রান কর ও ৪ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ।
১০৯ রানের পুঁজি নিয়ে রংপুরের প্রয়োজন ছিল শুরুতেই কিছু উইকেট। দলকে সেই কাঙ্ক্ষিত শুরু এনে দেন সাকিব। প্রথম ওভারেই ফেরান সিলেটের ইংলিশ ব্যাটসম্যান জশ কবকে (০)। বিপজ্জনক হয়ে উঠতে থাকা দিলশান মুনাবিরাও (১১ বলে ১৭) সাকিবের শিকার।
মুমিনুল হক খেলেছেন দৃষ্টিনন্দন কিছু শট। কিন্তু ৬ চারে তার ২৩ বলে ২৯ রানের ইনিংস শেষ হয়েছে দুর্ভাগ্যে। বল ব্যাটের কানা নিলেও এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার। এরপর এক পাশ আগলে ছিলেন মুশফিক। আরেক পাশে ছিল সতীর্থদের আসা-যাওয়া।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাটিং অর্ডারে বেশ বদল এনেছিল সিলেট। লোয়ার অর্ডার থেকে পাঁচ নম্বরে তুলে আনে তারা নাজমুল অপুকে, সাতে খেলেছেন নাসুম আহমেদ। কিন্তু লাভ হয়নি কিছুতেই।
শেষ ২ ওভারে ১৪ রান প্রয়োজন ছিল সিলেটের। ড্যারেন স্যামির বলে ব্যাটের কানা ছুঁয়ে চারও পেয়েছিলেন শহীদ। কিন্তু পরের বলেই উড়িয়ে মারতে গিয়ে হয়েছেন বোল্ড। ১৯তম ওভারের শেষ বলে শেষ ব্যাটসম্যান অজন্তা মেন্ডিসের সিঙ্গেলে সাড়া দিয়েছেন মুশফিক। শেষ পর্যন্ত আর স্ট্রাইকই পাননি সিলেট অধিনায়ক। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলেই আবু জায়েদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সীমানায় ক্যাচ দেন মেন্ডিস।
প্রথম ম্যাচের মতোই এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে মুশফিক দেখলেন দলের হার। অধিননায়ক অপরাজিত ছিলেন ৩৪ বলে ২৫ রান করে।
৩ উইকেট নিয়েছেন সাকিব ৩১ রানে, ৫ রানে দুটি আবু জায়েদ।
রংপুরের দুই ওপেনার লেন্ডল সিমন্স ও সৌম্য সরকার প্রথম ২ ওভারে তুলেছিলেন ১৭ রান। বাজে শটে সৌম্যের বিদায়ে রংপুরের পথ হারানো শুরু। বিপিএলে টানা চতুর্থ ম্যাচেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ সৌম্য। মোহাম্মদ শহীদকে থার্ডম্যানে গ্লাইড করতে গিয়ে কটবিহাইন্ড হয়েছেন ৭ রানে।
আগের দুই ম্যাচে রান পাওয়া মিঠুন (৪) এবার আউট হয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের প্রথম ওভারে। ভালো শুরু করেও রান আউট হয়েছেন জহুরুল ইসলাম (৮), যাতে আসলে উইকেটে সঙ্গী সাকিবের দায়টাই বেশি।
স্বদেশি অজন্তা মেন্ডিসকে টানা দুই বলে বিশাল ছক্কা মেরেছেন থিসারা পেরেরা। তবে ডানা মেলতে পারেননি তিনিও (২০ বলে ২১)।
চতুর্থ মাচে এসে এবারের বিপিএলে প্রথম ছক্কা মেরেছেন সাকিব, মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়েছেন নাসুমকে। তবে বাকি পুরো সময় লড়েছেন টাইমিং খুঁজে পেতে। শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন শেষ ওভারে শহীদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে।
১২ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন শহীদ। ইনিংসের ২০তম ওভারে তিনি পেয়েছেন ডাবল উইকেট মেডেন, শেষ বলে একটি রান হয়েছে শুধু লেগ বাই থেকে।
৪ ওভারে ৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন রবি বোপারা। বিপিএলে পুরো ৪ ওভার বোলিং করে এর চেয়ে কম রান দিয়েছেন কেবল জ্যাকম ওরাম। গত আসরে চিটাগংয়ের হয়ে ঢাকার বিপক্ষে ৪ ওভারে দিয়েছিলেন ৭ রান।
তবে নিজের মূল কাজ, ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ বোপারা (১), ব্যর্থ সিলেট। হারল তারা টানা তিন ম্যাচ।
মুশফিকের চোখে-মুখে যখন আরও একবার কাছে গিয়েও না পারার বেদনা, জয়ের আনন্দে তখন নাচছেন সাকিব!
বিপিএলের প্রথম চার দিনে প্রথম ম্যাচে বড় স্কোর হলেও পঞ্চম দিনে হলো ব্যতিক্রম। প্রথমবার প্রথম ম্যাচটি হলো লো-স্কোরিং। ব্যাটিং দুরূহ মন্থর উইকেটে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১০৯ রান তুলেছিল রংপুর। সিলেট শেষ ওভারে গুটিয়ে গেছে ১০৩ রানে।
ব্যাটে-বলে এদিনও উজ্জ্বল ছিলেন রংপুরের অধিনায়ক ও আইকন ক্রিকেটার সাকিব। ব্যাট হাতে ৩৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস খেলার পর বল হাতে নিয়েছেন ৩ উইকেট। টানা দ্বিতীয় দিন ম্যাচ-সেরা তিনিই। আগের দিন ২৪ রান কর ও ৪ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ।
১০৯ রানের পুঁজি নিয়ে রংপুরের প্রয়োজন ছিল শুরুতেই কিছু উইকেট। দলকে সেই কাঙ্ক্ষিত শুরু এনে দেন সাকিব। প্রথম ওভারেই ফেরান সিলেটের ইংলিশ ব্যাটসম্যান জশ কবকে (০)। বিপজ্জনক হয়ে উঠতে থাকা দিলশান মুনাবিরাও (১১ বলে ১৭) সাকিবের শিকার।
মুমিনুল হক খেলেছেন দৃষ্টিনন্দন কিছু শট। কিন্তু ৬ চারে তার ২৩ বলে ২৯ রানের ইনিংস শেষ হয়েছে দুর্ভাগ্যে। বল ব্যাটের কানা নিলেও এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার। এরপর এক পাশ আগলে ছিলেন মুশফিক। আরেক পাশে ছিল সতীর্থদের আসা-যাওয়া।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাটিং অর্ডারে বেশ বদল এনেছিল সিলেট। লোয়ার অর্ডার থেকে পাঁচ নম্বরে তুলে আনে তারা নাজমুল অপুকে, সাতে খেলেছেন নাসুম আহমেদ। কিন্তু লাভ হয়নি কিছুতেই।
শেষ ২ ওভারে ১৪ রান প্রয়োজন ছিল সিলেটের। ড্যারেন স্যামির বলে ব্যাটের কানা ছুঁয়ে চারও পেয়েছিলেন শহীদ। কিন্তু পরের বলেই উড়িয়ে মারতে গিয়ে হয়েছেন বোল্ড। ১৯তম ওভারের শেষ বলে শেষ ব্যাটসম্যান অজন্তা মেন্ডিসের সিঙ্গেলে সাড়া দিয়েছেন মুশফিক। শেষ পর্যন্ত আর স্ট্রাইকই পাননি সিলেট অধিনায়ক। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলেই আবু জায়েদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সীমানায় ক্যাচ দেন মেন্ডিস।
প্রথম ম্যাচের মতোই এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে মুশফিক দেখলেন দলের হার। অধিননায়ক অপরাজিত ছিলেন ৩৪ বলে ২৫ রান করে।
৩ উইকেট নিয়েছেন সাকিব ৩১ রানে, ৫ রানে দুটি আবু জায়েদ।
এর আগে ব্যাট হাতেও রংপুরের রান একশ’ ছাড়াতে পারে সাকিব দীর্ঘক্ষণ এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন বলে। মন্থর উইকেটে শুরুর একটু পর থেকেই ভুগতে হয়েছে রংপুরের ব্যাটসম্যানদের। সাকিব তৃতীয় ওভারে উইকেটে গিয়ে আউট হয়েছেন শেষ ওভারে। তবে গতি পাননি নিজে, পায়নি দলও। শেষ পর্যন্ত ৩৩ করেছেন ৩৭ বলে।
রংপুরের দুই ওপেনার লেন্ডল সিমন্স ও সৌম্য সরকার প্রথম ২ ওভারে তুলেছিলেন ১৭ রান। বাজে শটে সৌম্যের বিদায়ে রংপুরের পথ হারানো শুরু। বিপিএলে টানা চতুর্থ ম্যাচেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ সৌম্য। মোহাম্মদ শহীদকে থার্ডম্যানে গ্লাইড করতে গিয়ে কটবিহাইন্ড হয়েছেন ৭ রানে।
আগের দুই ম্যাচে রান পাওয়া মিঠুন (৪) এবার আউট হয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের প্রথম ওভারে। ভালো শুরু করেও রান আউট হয়েছেন জহুরুল ইসলাম (৮), যাতে আসলে উইকেটে সঙ্গী সাকিবের দায়টাই বেশি।
স্বদেশি অজন্তা মেন্ডিসকে টানা দুই বলে বিশাল ছক্কা মেরেছেন থিসারা পেরেরা। তবে ডানা মেলতে পারেননি তিনিও (২০ বলে ২১)।
চতুর্থ মাচে এসে এবারের বিপিএলে প্রথম ছক্কা মেরেছেন সাকিব, মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়েছেন নাসুমকে। তবে বাকি পুরো সময় লড়েছেন টাইমিং খুঁজে পেতে। শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন শেষ ওভারে শহীদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে।
১২ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন শহীদ। ইনিংসের ২০তম ওভারে তিনি পেয়েছেন ডাবল উইকেট মেডেন, শেষ বলে একটি রান হয়েছে শুধু লেগ বাই থেকে।
৪ ওভারে ৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন রবি বোপারা। বিপিএলে পুরো ৪ ওভার বোলিং করে এর চেয়ে কম রান দিয়েছেন কেবল জ্যাকম ওরাম। গত আসরে চিটাগংয়ের হয়ে ঢাকার বিপক্ষে ৪ ওভারে দিয়েছিলেন ৭ রান।
তবে নিজের মূল কাজ, ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ বোপারা (১), ব্যর্থ সিলেট। হারল তারা টানা তিন ম্যাচ।
মুশফিকের চোখে-মুখে যখন আরও একবার কাছে গিয়েও না পারার বেদনা, জয়ের আনন্দে তখন নাচছেন সাকিব!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন