শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৫

বিএসএফের গুলিতে দুজন "বাংলাদেশি" নিহত

 
    border
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পাচারকারী সন্দেহে বিএসএফ গুলি চালালে দুজন মারা গেছে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সূত্র উদ্ধৃত করে কলকাতা থেকে আমাদের সংবাদদাতা অমিতাভ ভট্টশালি জানাচ্ছেন, যেহেতু ভারতীয় গ্রামগুলি থেকে কেউ এখনও দেহ দুটি দাবী করে নি, তাই মনে করা হচ্ছে মৃত দুজনেই বাংলাদেশের নাগরিক।
বিজিবি-র সঙ্গে পতাকা বৈঠকে নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা গেলে দেহদুটি ফেরত পাঠানো হবে।
বিএসএফ বলছে, আজ (বৃহস্পতিবার) ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ উত্তর চব্বিশ পরগণার স্বরূপনগরের কাছে তারালি সীমান্ত চৌকি এলাকায় ভারত আর বাংলাদেশের গরু পাচারকারীদের একটা যৌথ দল সীমান্ত পারাপার করার চেষ্টা করছিল। তখনই প্রহরীদের নজরে পড়ে যায় দলটি।
ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে, তার উল্টোদিকে বাংলাদেশের সাতক্ষীরার তলুইগাছি এলাকা।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলো সাতক্ষীরায় স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র উল্লেখ্য করে লিখছে, নিহত দুজনেই স্থানীয় বাসিন্দা।
বি এস এফের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, একজন প্রহরীর ওপর গুলি চালানো হলে, তারা গুলি চালান।
ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পাচার বা অন্যান্য দুষ্কৃতিদের রুখতে এক সময়ে নিয়মিতই গুলি চালাত বি এস এফ – যার ফলে দুই দেশের পাচারকারীদেরই মৃত্যু হত বড় সংখ্যায় । আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউমান রাইটস ওয়াচ বি এস এফ-কে ‘ট্রিগার হ্যাপি ফোর্স’ নামে অভিহিত করেছিল।
কয়েক বছর ধরে মারণাস্ত্র ছাড়াও ছররা বন্দুক, লঙ্কা-গ্রেনেড প্রভৃতি অস্ত্র ব্যবহারের ফলে সীমান্তে গুলিতে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে ঠিকই, কিন্তু তা পুরোপুরি বন্ধ করা যায় নি।
বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত বা বর্তমান কর্মকর্তাদের অনেকেই মনে করেন, ভারত সরকার যদি বাংলাদেশে গরু রপ্তানির আইনি ছাড়পত্র দেয়, তাহলে সীমান্ত অপরাধ অর্ধেক হয়ে যাবে। কিন্তু কংগ্রেস বা বিজেপি- কোনও সরকারই গরু রপ্তানির মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে আইনি ছাড়পত্র দিতে রাজী হয়নি।bbc

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন