বহুদিন ধরেই আরব সাগরে ঘাঁটি গাড়তে চেয়েছিলো চীন। কিন্তু জুতসই কায়দা পাচ্ছিলো না তারা। তবে এখন চীনকে সেই ব্যবস্থা করে দিলো পাকিস্তান। ইরানের কাছাকাছি পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তের গোয়াদরে চীন বন্দর তৈরি করবে এই কথা অনেক দিন ধরেই চলছিলো। সেই বন্দরের জন্য চীনকে ২ হাজার একর জমি দিয়েছে পাকিস্তান। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমেরিকার একাধিপত্যে ভাগ বসানো এবং ভারতকে ঘিরে ফেলতেই চীনের এই বন্দর বানানোর পরিকল্পনা। বেইজিং-ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করতেই গোয়াদরে চীনা বন্দর তৈরির ব্যবস্থা। চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের কাশগড় শহরের সঙ্গে সড়কপথে জুড়তে চলেছে পাকিস্তানের গোয়াদর। দু’দেশই বলছে এটি একটি অর্থনৈতিক করিডর। এই করিডর এবং গোয়াদর বন্দরের সুবাদে মধ্যপ্রাচ্যে পণ্য রফতানি এবং সেখান থেকে খনিজ তেল আমদানির খরচ অনেকটা কমাতে পারবে চীন। নতুন বন্দরের দৌলতে বাণিজ্য বাড়বে পাকিস্তানেরও। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই করিডর এবং বন্দর তৈরির পিছনে চীনের মূল উদ্দেশ্য মোটেই অর্থনৈতিক নয়। চীন স্বীকার না করলেও সামরিক কারণেই যে পাকিস্তানের গোয়াদরে বন্দর নির্মাণ করছে তারা। এই করিডর নিয়ে ইতিমধ্যেই আপত্তি তুলেছে ভারত। শুধু সড়ক যোগাযোগ নয়, গোয়াদর থেকে বালুচিস্তানের ভিতর দিয়ে, গিলগিট-বাল্টিস্তান হয়ে চীনের কাশগড় পৌঁছাচ্ছে খনিজ তেলের পাইপলাইন। এই গিলগিট-বাল্টিস্তান পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের অংশ। ওই এলাকা ভারতের না পাকিস্তানের তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে জেনেও, সেখানে রাস্তা তৈরি এবং পাইপলাইন বসানোর কাজ চীন কী করে শুরু করছে, ভারতের পক্ষ থেকে সেই প্রশ্নই তোলা হয়েছে। কিন্তু ভারতের আপত্তিতে কান দিতে নারাজ বেইজিং। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, চীন ও পাকিস্তান পারস্পরিক উন্নতির লক্ষ্যে গোয়াদরে বন্দর এবং চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর গড়বেই। বন্দর তৈরির জন্য বালুচিস্তানে ২০০০ একর জমি অধিগ্রহণ করে পাকিস্তান তা চীনের সংস্থাকে হস্তান্তরও করেছে। পাঁচ বছরের মধ্যে বন্দর ও করিডর নির্মাণের কাজ শেষ করা হবে বলেও চীনের তরফে জানানো হয়েছে। এই বন্দর তৈরি হয়ে গেলে, আরব সাগরে স্থায়ী ঘাটি বানাতে পারবে চীন। বর্তমানে আরব সাগরে দাপট আমেরিকা আর ভারতেরই। মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশে আমেরিকার সেনা মোতায়েন থাকায় এবং একাধিক মার্কিন রণতরী ওই এলাকায় নিয়মিত টহল দেওয়ায়, তেল সাম্রাজ্য এখন আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে। কৌশলগত কারণে এমন গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রে নিজেদের অনুপস্থিতি মেনে নিতে পারছে না চীন। তাই গোয়াদরে বন্দর তৈরির ব্যবস্থা।
শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৫
ভারতকে ঘিরে ফেলতে চীনকে জমি দিলো পাকিস্তান
বহুদিন ধরেই আরব সাগরে ঘাঁটি গাড়তে চেয়েছিলো চীন। কিন্তু জুতসই কায়দা পাচ্ছিলো না তারা। তবে এখন চীনকে সেই ব্যবস্থা করে দিলো পাকিস্তান। ইরানের কাছাকাছি পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তের গোয়াদরে চীন বন্দর তৈরি করবে এই কথা অনেক দিন ধরেই চলছিলো। সেই বন্দরের জন্য চীনকে ২ হাজার একর জমি দিয়েছে পাকিস্তান। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমেরিকার একাধিপত্যে ভাগ বসানো এবং ভারতকে ঘিরে ফেলতেই চীনের এই বন্দর বানানোর পরিকল্পনা। বেইজিং-ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করতেই গোয়াদরে চীনা বন্দর তৈরির ব্যবস্থা। চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের কাশগড় শহরের সঙ্গে সড়কপথে জুড়তে চলেছে পাকিস্তানের গোয়াদর। দু’দেশই বলছে এটি একটি অর্থনৈতিক করিডর। এই করিডর এবং গোয়াদর বন্দরের সুবাদে মধ্যপ্রাচ্যে পণ্য রফতানি এবং সেখান থেকে খনিজ তেল আমদানির খরচ অনেকটা কমাতে পারবে চীন। নতুন বন্দরের দৌলতে বাণিজ্য বাড়বে পাকিস্তানেরও। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই করিডর এবং বন্দর তৈরির পিছনে চীনের মূল উদ্দেশ্য মোটেই অর্থনৈতিক নয়। চীন স্বীকার না করলেও সামরিক কারণেই যে পাকিস্তানের গোয়াদরে বন্দর নির্মাণ করছে তারা। এই করিডর নিয়ে ইতিমধ্যেই আপত্তি তুলেছে ভারত। শুধু সড়ক যোগাযোগ নয়, গোয়াদর থেকে বালুচিস্তানের ভিতর দিয়ে, গিলগিট-বাল্টিস্তান হয়ে চীনের কাশগড় পৌঁছাচ্ছে খনিজ তেলের পাইপলাইন। এই গিলগিট-বাল্টিস্তান পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের অংশ। ওই এলাকা ভারতের না পাকিস্তানের তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে জেনেও, সেখানে রাস্তা তৈরি এবং পাইপলাইন বসানোর কাজ চীন কী করে শুরু করছে, ভারতের পক্ষ থেকে সেই প্রশ্নই তোলা হয়েছে। কিন্তু ভারতের আপত্তিতে কান দিতে নারাজ বেইজিং। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, চীন ও পাকিস্তান পারস্পরিক উন্নতির লক্ষ্যে গোয়াদরে বন্দর এবং চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর গড়বেই। বন্দর তৈরির জন্য বালুচিস্তানে ২০০০ একর জমি অধিগ্রহণ করে পাকিস্তান তা চীনের সংস্থাকে হস্তান্তরও করেছে। পাঁচ বছরের মধ্যে বন্দর ও করিডর নির্মাণের কাজ শেষ করা হবে বলেও চীনের তরফে জানানো হয়েছে। এই বন্দর তৈরি হয়ে গেলে, আরব সাগরে স্থায়ী ঘাটি বানাতে পারবে চীন। বর্তমানে আরব সাগরে দাপট আমেরিকা আর ভারতেরই। মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশে আমেরিকার সেনা মোতায়েন থাকায় এবং একাধিক মার্কিন রণতরী ওই এলাকায় নিয়মিত টহল দেওয়ায়, তেল সাম্রাজ্য এখন আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে। কৌশলগত কারণে এমন গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রে নিজেদের অনুপস্থিতি মেনে নিতে পারছে না চীন। তাই গোয়াদরে বন্দর তৈরির ব্যবস্থা।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন