মিয়ানমারের নির্বাচনের সর্বশেষ ঘোষিত ফল থেকে এখন স্পষ্ট, অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল এনএলডি দেশটির নতুন সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।
ঠিক পাঁচ বছর আগে যে দিনটিতে অং সান সূচি তার গৃহবন্দী দশা থেকে মুক্তি পান, সে দিনটিতেই দলের এই বিপুল বিজয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করলো নির্বাচন কমিশন। কিন্তু বার্মার রাষ্ট্রক্ষমতায় গত ৫০ বছর ধরে সামরিক বাহিনীর যে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ, সেটা তারা কতটা ছাড়বে, এবং আং সান সুচির দল প্রকৃত ক্ষমতা আসলে কতটা পাবে, তা নিয়ে সন্দিহান বিশ্লেষকরা।
গত রবিবার অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের পাঁচ দিন পর আশি শতাংশেরও বেশি আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।
এতে দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জয়ী হয়েছে অং সান সুচির নেতৃত্বে বিরোধী দল এনএলডি।
ধারণা করা হচ্ছে, সবার অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারে অর্ধ-শতাব্দী কাল ধরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে চলে আসা সামরিক শাসনের অবসান ঘটবে।
সংবাদদাতারা বলছেন, এতো বিপুল ভোটে জয়লাভের পরেও এনএলডি তার মতো করে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারবে না।
এখনও পর্যন্ত ঘোষিত ফলাফল থেকে এটা পরিষ্কার যে এই দলটি ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে পারবে। কিন্তু সাংবিধানিক কারণেই সেই পদে তাদের নেত্রীকে নির্বাচন করতে পারবে না। কারণ অং সান সুচির ছেলেরা ব্রিটেনের নাগরিক।
সংবাদদাতারা বলছেন, মিস সুচি যাতে কখনো দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে না পারেন সেই বিবেচনা থেকেই সংবিধানে এই ধারাটি যুক্ত করা হয়েছে।
যদিও মিস সুচি নির্বাচনের আগে ও পরে বলেছেন, দলের প্রধান থেকেই তিনি দেশ পরিচালনায় নেতৃত্ব দেবেন।
মিয়ানমারের সংবিধানেও পরিবর্তন আনতে পারবে না এনএলডি। কেনোনা সংসদের ২৫ শতাংশ আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে সামরিক বাহিনীর জন্যে। ফলে সংবিধানে কোনো ধরনের পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হলে তারা চাইলে ভিটো দিতে পারবে।
এছাড়াও স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা এবং সীমান্ত ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রণালয় থাকবে সেনাবাহিনীর হাতে।
এমনকি সেনা প্রধান যেকোনো সময়ে দেশের যেকোনো অঞ্চলে এমনকি সারাদেশেও জরুরী অবস্থা ঘোষণা করতে পারবেন। bbc
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন