সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৫

মিয়ানমারে ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচন

                               
 
মিয়ানমারে গত ২৫ বছরের ইতিহাসে আজ প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিক উপায়ে সবার অংশগ্রহণে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মনে করা হচ্ছে, এই নির্বাচনের মাধ্যমে মিয়ানমারে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে চলা অর্ধ-শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলা সামরিক শাসনের অবসান ঘটবে।
আর সে কারণে ভোটারদের মধ্যে প্রচুর উৎসাহও দেখা গেছে।
খবর পাওয়া যাচ্ছে, ৮০ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন।
ধরেই নেয়া হচ্ছে, নোবেল বিজয়ী বিরোধী রাজনীতিক অং সান সুচির দল এনএলডি সবচেয়ে বেশি ভোট পাবে, তবে এককভাবে সরকার গড়তে পারবে কি না -- তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
যে কোন বিচারেই এই নির্বাচন এক ঐতিহাসিক ঘটনা।
                 ভোট দিচ্ছেন অং সান সূচি                
কারণ মিয়ানমারে কয়েক দশক ধরে সরাসরি সামরিক শাসন চলেছে, তারপর চলেছে সামরিক বাহিনী সমর্থিত সরকারের শাসন। তা ছাড়া ১৯৯০ সালের পর এই প্রথম মুক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার ভিত্তিতে নির্বাচন হচ্ছে এবং আশা করা হচ্ছে হয়তো এর মাধ্যমে
সামরিক বাহিনী সমর্থিত সরকারের ধারার অবসান হতে পারে।
মিয়ানমারে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বেশ কিছু সংস্কার হয়েছে, এবং ভোটের ব্যাপারে জনগণের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে।
বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, ভোটকেন্দ্রগুলোতে ছিলো লম্বা লাইন। অনেকেই জীবনে এই প্রথমবারের মতো ভোট দিচ্ছেন। কিন্তু এ নির্বাচন কতটা অবাধ হচ্ছে তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন রয়ে গেছে কারণ মিয়ানমারের সংখ্যাগরিষ্ঠ রোহিঙ্গা মুসলিমসহ লক্ষ লক্ষ লোক ভোট দিতে পারছেন না।
নির্বাচনী পর্যবেক্ষক এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো ভোটের আগেই বেশ কিছু অনিয়ম এবং ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ তুলেছে।
                 ভোটারদের মধ্যে প্রচুর উৎসাহ                
প্রধান যে দলগুলোর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে তার মধ্যে আছে অং সান সুচির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি বা এনএলডি এবং সামরিক বাহিনী-সমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি ডেভেলপমেন্ট পার্টি বা ইউএসডিপি।
এনএলডিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে ৬৭ শতাংশ আসনে জয়ী হতে হবে।
প্রেসিডেন্ট থেইন সেই বলেছেন, নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে এবং সামরিক বাহিনী ফলাফলকে সম্মান দেখাবে।
মনে করা হচ্ছে, অং সান সুচির দলই এ নির্বাচনে জিতবে কিন্তু - দেশটির সংবিধানের একটি ধারা অনুযায়ী মিজ সু চি নিজে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না - কারণ তার দুই সন্তান ব্রিটিশ নাগরিক।
এই আইন পরিবর্তন করার পথেও প্রধান বাধা আসবে সামরিক বাহিনীর দিক থেকেই। bbc

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন