ভারতের সেনাবাহিনীর তিনজন সদস্য একটি চলন্ত ট্রেনে কলকাতার একজন নাবালিকা কিশোরীকে মাদক দিয়ে বেহুঁশ করে লাগাতার গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত তিনজন সেনা জওয়ানের মধ্যে একজনকে মঙ্গলবার হাওড়ার জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে।ধর্ষণকারী হিসেবে চিহ্নিত বাকি দুই সেনা সদস্য এখনও পলাতক।
সোমবার ঝাড়খন্ডের মধুপুরে অমৃতসর এক্সপ্রেস নামে ট্রেনটি থামিয়ে তার ‘মিলিটারি কম্পার্টমেন্ট’ বা সেনাদের জন্য সংরক্ষিত বিশেষ কামরা থেকে নাটকীয়ভাবে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
রেলওয়ে পুলিশ বা জিআরপি সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার আদালতে গোপন জবানবন্দি দেবে ওই নাবালিকা।
এদিন সকালে অভিযুক্ত জওয়ান মঞ্জরীশ ত্রিপাঠি ও ওই নির্যাতিতাকে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ায় নিয়ে আসেন মধুপুর জিআরপি থানার ওসি অর্জুন তিওয়ারি।
এই গণধর্ষণের তদন্তভারও তুলে দেওয়া হয় হাওড়া জিআরপি-র হাতে
ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সেনা সদর দফতর ফোর্ট উইলিয়াম থেকে সেনাবাহিনীর তরফেও একটি তদন্তকারী দল পাঠানো হয়েছে।
রবিবার হাওড়া স্টেশন থেকে অমৃতসর এক্সপ্রেসের সেনা-জওয়ানদের জন্য সংরক্ষিত কামরায় উঠে পড়েছিল ওই কিশোরী।
অভিযোগ, এর পরই তাকে মদ খাইয়ে বেহুঁশ করে চলন্ত ট্রেনে গণধর্ষণ করে তিন সেনা জওয়ান।
পরে ঝাড়খণ্ডের মধুপুরে ওই কামরা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় ওই নাবালিকাকে।
দেওঘর হাসপাতালে নাবালিকার মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়।
রবিবার রেল পুলিশকে ওই কিশোরীর বাবা জানিয়েছিলেন, তার মেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে হাওড়া স্টেশনে গেছে, সম্ভবত সে লুধিয়ানা যাচ্ছিল প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে মেয়ের একটি ছবিও দেন বাবা।
সেই ছবি মিলিয়ে দেখেই স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ ঘেঁটে আবিষ্কার হয়, মেয়েটি পাঞ্জাবগামী অমৃতসর এক্সপ্রেসে উঠেছে।
এরপরই সোমবার ঝাড়খণ্ডের মধুপুর জিআরপি ট্রেনটি থামিয়ে মেয়েটির খোঁজে তল্লাসি শুরু করে এবং মিলিটারি কম্পার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার করা হয় ওই কিশোরীকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন