বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্যের জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ক্ষমাপ্রার্থনার আহ্বান জানিয়েছে প্রতিবাদকারীরা।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত গুলশান-২ মোড়ে একটি অবস্থান কর্মসূচি পালন করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন।প্রতিবাদকারীদের সাথে যোগ দেন সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
ক্ষমাপ্রার্থনার দাবীর পাশাপাশি অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরকারের কাছে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা করারও আহ্বান জানানো হয়।
কর্মসূচি থেকে মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা অস্বীকার বিষয়ে আইন করারও দাবী জানানো হয়। এসময় সংসদ সদস্য তারানা হালিমও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচির আগে ঢাকার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বাসা এবং কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল হক বলেন, "মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সনের মন্তব্যের প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধাদের ঘেরাও কর্মসূচির কারণেই ঐ এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।"
মঙ্গলবার সকালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ কয়েকটি সংগঠনের সদস্যরা খালেদা জিয়ার বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।
ঘেরাওকারীদের গুলশান-২ মোড়েই আটকে দেয় পুলিশ। সেখানেই বিক্ষোভকারীরা অবস্থান করেন।
গত ২২শে ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে মিসেস জিয়া মন্তব্য করেন যে, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে।
এরপর এক ফেসবুক বার্তায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা এবং তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন