বাংলাদেশে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে জোটগতভাবে প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি ও তার নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।
আজ শনিবার শরীক দলগুলোর সাথে এক বৈঠকের পর বিএনপির পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।বাংলাদেশে এবারই প্রথম দলীয়ভাবে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচন হচ্ছে।
দেশটির ২৩৪টি পৌরসভায় মেয়র ও কাউন্সিলর আসনে ভোটগ্রহণ হবে ৩০শে ডিসেম্বরে।
একসঙ্গে নানা কেন্দ্রে ২০ জোটের প্রার্থী রয়েছে।
সেক্ষেত্রে ঠিক কীভাবে এই প্রচারণা চালানো হবে এ প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন যেহেতু বিএনপির প্রার্থীই বেশি তাই জোটের শরীক দলগুলো তাদের জন্য প্রচারণায় অংশ নেবেন।
যেখানে একইসঙ্গে বিএনপি এবং শরীক দলের প্রার্থী রয়েছে সেখানে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সিদ্ধান্ত নেবেন কী করা যায়।
বিএনপির অন্যতম মিত্র জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল হওয়ার কারণে এই নির্বাচনে দলীয়ভাবে থাকছে না দলটি। কিন্তু এর সদস্যদের অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিভিন্ন এলাকায় দাঁড়িয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
জামায়াতের পক্ষে প্রচারণা সম্পর্কে মিঃ আলমগীর বলেছেন সেক্ষেত্রেও স্থানীয় নেতারা সিদ্ধান্ত নেবেন। যেখানে মতের মিল হবে না তারা আলাদা করেই প্রচারণা চালাবেন বলে তিনি জানান।
তিনি বলছেন এ বিষয়ে স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের কাছে নির্দেশনা চলে গেছে।
শনিবার তিনি আরো জানিয়েছেন যে রংপুর ও দিনাজপুরে ইতিমধ্যেই জোটগতভাবে প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে।
তবে দিনাজপুরে বীরগঞ্জের একজন স্থানীয় সাংবাদিক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানো জামায়াতে ইসলামির প্রার্থী ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা আলাদাভাবেই প্রচারণা চালাচ্ছেন।
বাংলাদেশের নানান এলাকায় স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে অনেক এলাকাতে বিএনপি প্রার্থীরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা থাকার কারণে পলাতক রয়েছেন বা অনেকে উৎসাহের অভাবে মাঠে নামেন নি।
তাই সেসব জায়গায় ভোটের আমেজ নেই বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন