রবিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৫

ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা

 
    bd woman football                 কাঠমান্ডুতে মেয়েদের এএসি অনূর্ধ্ব ১৪ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দল (ছবি - এএফসি)  
              
কিশোরীদের আন্তর্জাতিক এক ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ।
কাঠমাণ্ডুতে এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে আজ স্বাগতিক নেপালকে একমাত্র গোলে হারিয়ে 'এএফসি-অনূর্ধ্ব ১৪' শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ দল।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের অবস্থান যেখানে খুবই দুর্বল সেখানে কিশোরীদের এই দলটি এরকমই এক টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আজ সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছে।
এই টুর্নামেন্টে খেলেছে ভারত ও ইরানের মতো শক্তিশালী দলও।
ফাইনাল হওয়ার কথা ছিলো গত এপ্রিল মাসে কিন্তু সেদিনই ভয়াবহ ভূমিকম্পের কারণে ম্যাচটি পিছিয়ে যায়।
ঢাকায় নামার পরপরই বিমানবন্দর থেকে টেলিফোনে দলের কোচ গোলাম রব্বানী বিবিসি বাংলাকে বলেন, আশাতীত ফল করেছে মেয়েরা।
"গতবারও ভারতের কাছে আমরা পাঁচ গেলে খেয়েছি, ইরানের কাছে পাঁচ গোল খেয়েছি। এবার আমরা চ্যাম্পিয়ন।"
তিনি বলেন, "দেশে মহিলা ফুটবলের জাগরণ হচ্ছে, তৃণমূলে অনেক প্রতিভাধর মেয়েরা ফুটবল খেলছে।"
এরা কতদিন ফুটবল খেলবে?
এই কিশোরী মেয়েরা আরো কয়েক বছর ফুটবল খেলবে- তার গ্যারান্টি কি?
বিবিসির এই প্রশ্নে গোলাম রাব্বানি বলেন, তা নির্ভর করবে বাংলাদেশে ফুটবল ফেডারেশনের ভূমিকা এবং পৃষ্ঠপোষকতার ওপর।
ধর্মীয় এবং সামাজিক রক্ষণশীলতার বাস্তবতাও অস্বীকার করেননি মি রাব্বানি। "আমি নিজেই দুজন গোলকিপার হারিয়েছি। দু'বছর তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর ১৬ বছরে তাদের বিয়ে হয়ে যায়।"
তারপরও, তিনি বলেন, তৃণমূল স্তরে কিছু ফুটবল পাগল মানুষ মেয়েদের ফুটবলের জন্য ভালো কাজ করছেন।
কিন্তু বিজয়ী দলে যেখানে ময়মনসিংহের একটি গ্রামেরই দশজন মেয়ে খেলছে, সেখানে দেশে মহিলা ফুটবলের বিস্তৃতি হচ্ছে তা কি বলা যায়?
উত্তরে কোচ রাব্বানি বলেন, "পাইপলাইনে নানা জায়গায় অনেক প্রতিভাবান মেয়ে রয়েছে।"
তিনি বলেন, ফুটবলে মেয়েদের ধরে রাখতে চাকরি এবং নিয়মিত অন্যান্য আর্থিক সুবিধের ব্যবস্থা করতে হবে।
"তারা যখন নিজেেদের পরিবারের দেখোশোনা করতে পারবে, তখন ফুটবলে থাকবে।।"
সম্প্রতি বাংলাদেশ আনসার এবং বাংলাদেশে জুট মিলস্‌ কর্পোরেশন (বিজেএমসি) ৪০ জন মহিলা ফুটবলারকে চাকরি দিয়েছে। "আমরা এই দুটো প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানাই, এরকম আরো সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে।"

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন