বাংলাদেশে ব্লগার-প্রকাশকদের ওপর ধারাবাহিক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার জেইদ রাদ আল হুসেইন।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে চরমন্থিদের হুমকি পাওয়া সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গত ফেব্রুয়ারিতে নিহত লেখক অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশকারী দুটি প্রকাশনা সংস্থায় সন্ত্রাসী হামলায় একজন নিহত এবং তিনজন আহত হওয়ার পর এ বিবৃতি এলো।
শনিবার শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে নিজের কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন জাগৃতি প্রকাশনীর মালিক ফয়সল আরেফিন দীপন। একইদিন লালমাটিয়ায় ‘শুদ্ধস্বর’ প্রকাশনীর অফিসে হামলায় প্রকাশক আহমেদুর রশিদ টুটুল এবং ব্লগার তারেক রহিম ও লেখক রনদীপম বসু আহত হন।
এর আগে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের অগাস্ট পর্যন্ত ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার, গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী আরিফ রায়হান দীপ, লেখক অভিজিৎ রায়, ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু, অনন্ত বিজয় দাশ ও নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয়কে একই কায়দায় হত্যা করা হয়।
বাংলাদেশে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা ছাড়াই মানবাধিকার কর্মী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা যাতে মত প্রকাশ করতে পারেন তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন জেইদ।
তিনি বলেন, “যখন জনগণকে সহিংসতা বা হত্যাকাণ্ডের হুমকি দেওয়া হচ্ছে তখন তাদের কার্যকর সুরক্ষা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব।
“অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা এবং লেখক, প্রকাশকসহ বাংলাদেশে অন্য যারা সহিংসতার হুমকি পাচ্ছেন তাদের রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে আরও হত্যাকাণ্ড রোধে সমন্বিত পদক্ষেপের জরুরি প্রয়োজন।”
‘রাষ্ট্র চরমপন্থি গ্রুপগুলোকে সবকিছু নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার সুযোগ দিতে পারে না’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
লেখক-প্রকাশকদের হত্যা ও হুমকির প্রতিবাদ জানাতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। bbc
গত ফেব্রুয়ারিতে নিহত লেখক অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশকারী দুটি প্রকাশনা সংস্থায় সন্ত্রাসী হামলায় একজন নিহত এবং তিনজন আহত হওয়ার পর এ বিবৃতি এলো।
শনিবার শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে নিজের কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন জাগৃতি প্রকাশনীর মালিক ফয়সল আরেফিন দীপন। একইদিন লালমাটিয়ায় ‘শুদ্ধস্বর’ প্রকাশনীর অফিসে হামলায় প্রকাশক আহমেদুর রশিদ টুটুল এবং ব্লগার তারেক রহিম ও লেখক রনদীপম বসু আহত হন।
এর আগে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের অগাস্ট পর্যন্ত ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার, গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী আরিফ রায়হান দীপ, লেখক অভিজিৎ রায়, ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু, অনন্ত বিজয় দাশ ও নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয়কে একই কায়দায় হত্যা করা হয়।
বাংলাদেশে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা ছাড়াই মানবাধিকার কর্মী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা যাতে মত প্রকাশ করতে পারেন তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন জেইদ।
তিনি বলেন, “যখন জনগণকে সহিংসতা বা হত্যাকাণ্ডের হুমকি দেওয়া হচ্ছে তখন তাদের কার্যকর সুরক্ষা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব।
“অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা এবং লেখক, প্রকাশকসহ বাংলাদেশে অন্য যারা সহিংসতার হুমকি পাচ্ছেন তাদের রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে আরও হত্যাকাণ্ড রোধে সমন্বিত পদক্ষেপের জরুরি প্রয়োজন।”
‘রাষ্ট্র চরমপন্থি গ্রুপগুলোকে সবকিছু নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার সুযোগ দিতে পারে না’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
লেখক-প্রকাশকদের হত্যা ও হুমকির প্রতিবাদ জানাতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। bbc
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন