শুক্রবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৫

অসহিষ্ণুতার প্রতিবাদে সম্মান ফেরালেন অরুন্ধতী রায়

    syedmirza_kundanshah_arundhatiroy                           
ভারতে ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে সাহিত্যিক অরুন্ধতী রায়, চিত্রনির্মাতা কুন্দন শাহ ও সৈয়দ মির্জা-সহ আরও এক ঝাঁক শিল্পী ও বুদ্ধিজীবী তাদের জাতীয় পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
অরুন্ধতী রায় এদিন দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে লিখেছেন ‘মানুষ মানুষকে হত্যা করতে, পিটিয়ে বা গুলি করে মারতে, জ্বালিয়ে দিতে বা গণহত্যা করতে যে ধরনের হিংসার আশ্রয় নিচ্ছে তা বর্ণনা করার জন্য অসিহষ্ণুতা শব্দটা মোটেও যথেষ্ট নয়’।।
বুকার পুরস্কারজয়ী লেখিকা অরুন্ধতী রায় ১৯৮৯ সালে ‘ইন হুইচ অ্যানি গিভস ইট দোজ ওয়ানস’ ছবির চিত্রনাট্য লেখার জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন। তা ছাড়া সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কারের প্রস্তাবও তিনি আগেই ফিরিয়ে দেন।
বিশিষ্ট চিত্রনির্মাতা সৈয়দ আখতার মির্জা ১৯৮৪ সালে মোহন জোশী হাজির হো ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন, পরে তিনি আরও দুবার এই সম্মান লাভ করেন।
সিনেমা জগতের দিকপালরা যেভাবে অসহিষ্ণুতার প্রতিবাদে একজোট হচ্ছেন তাকে স্বাগত জানিয়ে সৈয়দ মির্জা বলেন, ‘এখন যদি আমরা প্রতিবাদ না-করি, তাহলে আর কখন করব?’
কুন্দন শাহ-ও জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন আশির দশকে তার কাল্ট-ক্লাসিক ‘জানে ভি দো ইয়ারো’ ছবির জন্য।
কুন্দন শাহ সেই সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘আজকের পরিবেশে’ হয়তো জানে ভি দো ইয়ারো’-র মতো ছবি বানানোই সম্ভব হত না।
সৈয়দ মির্জা, কুন্দন শাহ-সহ ভারতীয় সিনেমা জগতের মোট ২৪জন সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব আজ একযোগে তাদের পুরস্কার সরকারকে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
ভারতে সম্প্রতি এই পুরস্কার বর্জন করার ধারার সূচনা করেছিলেন দেশের বিভিন্ন ভাষায় লেখালেখি করা সাহিত্যিকরা।
একের পর লেখক অসহিষ্ণুতার প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার ফিরিয়ে দেন।
এরপর দেশের বহু শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী, চিত্র পরিচালক ও ইতিহাসবিদরাও একে একে সেই প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন।
তবে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার একে ‘সাজানো প্রতিবাদ’ বলেই এ যাবত নাকচ করে এসেছে।  bbc

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন