বাংলাদেশে রাজধানী ঢাকার সেনানিবাসের গেটে সেনা পুলিশের এক সদস্যকে কুপিয়ে আহত করার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন, কারা এই হামলা চালিয়েছে, কারা অর্থের যোগান দিয়েছে তা খুঁজে বের করতে আটক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।এর আগে, আন্ত-বাহিনী জনসংযোগ দপ্তর আইএসপিআর হামলাকারী সন্দেহে আটক যুবককে পথচারী বলে উল্লেখ করেছে। তার পরিচয় সম্পর্কে আইএসপিআর এর পক্ষ থেকে এর বাইরে আর কিছু বলা হয়নি।
পোশাকধারী সেনাসদস্যের ওপর এ ধরনের হামলার ঘটনা বাংলাদেশে বিরল এবং এই হামলা এমন সময় হলো যখন মাত্র কিছুদিন আগেই পুলিশের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে দুটো হামলার ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঢাকার কচুক্ষেত এলাকায় সেনানিবাসের পশ্চিম দিকের গেটের কাছে সেনাপুলিশ তল্লাশি চৌকি রয়েছে। সেই তল্লাশি চৌকির সামনের রাস্তায় রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ।
তবে সকাল দশটার দিকে সেই রাস্তায় একটি রিকশা যাওয়ার সময় সেনাপুলিশের একজন সদস্য রিকশাটিকে আটকিয়ে চালকের সাথে কথা বলছিলেন।
এমন সময় আকস্মিকভাবে বড় একটি ধারালো ছুরি নিয়ে এক যুবক ঐ সেনাপুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে আহত করে সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করে।
তখন সেনাপুলিশের অন্য সদস্যরা এবং পাশে থাকা পুলিশের কিছু সদস্য মিলে ঘণ্টা খানেক সময় ধরে ধাওয়া করে হামলাকারী ঐ যুবককে ধরতে পারে।
হামলাকারী আবাসিক এলাকায় একটি ভবনের পাঁচতলায় উঠে গিয়েছিল। সেখান থেকেই তাকে ধরা হয়। ওই ভবন থেকে বিশাল একটি ধারালো ছুরিও উদ্ধার করা হয়।
ঘটনাস্থলের কাছেই প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইএর সদর দপ্তর।
পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী যুবককে ধরার পর ডিজিএফআই দপ্তরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ঘটনা সম্পর্কে আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছে, সকাল পৌনে দশটার দিকে কাফরুল এলাকায় কর্তব্যরত একজন মিলিটারি পুলিশকে একজন পথচারী পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে ঐ মিলিটারি পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হয়।
আইএসপিআর আরও বলেছে, বিস্তারিত জানার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন