বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের আঙ্গিনায় পা রাখার আজ ১৫তম বার্ষিকী।
২০০০ সালের ১০ই নভেম্বর বাংলাদেশ সাদা পোশাকের ক্রিকেট অর্থাৎ টেস্ট ম্যাচ খেলতে ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো মাঠে নেমেছিল।প্রতিপক্ষ ছিল ভারত।
ঐ বছরের ২৬শে জুন টেস্ট খেলার ছাড়পত্র পেয়েছিল বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসি থেকে।
আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী সাহায্য করেছিল এই ভারতই।
প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত।
নাইমুর রহমান আর সৌরভ গাঙ্গুলি টস করার পর বাংলাদেশ শুরুতে ব্যাট হাতে নেয়, আর তখনকার স্টার ব্যাটসম্যান আমিনুল ইসলাম বুলবুল করেন চমৎকার এক সেঞ্চুরি।
বাংলাদেশের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসেই একজন ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি।
কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল মাত্র ৯১ রানে। ফলে চারদিনেই বাংলাদেশ হারে ৯ উইকেটে।
পনের বছরে টেস্ট খেলায় বাংলাদেশ প্রত্যাশা কতটা পূরণ করতে পেরেছে, সেই প্রশ্ন আজ অনেকেই করছেন।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশ টেস্ট খেলেছে ৯৩টি। জিতেছে মাত্র ৭টিতে। আর ড্র ১৫টি ম্যাচে। অনেক ক্ষেত্রে খেলে ড্র করার চেয়ে প্রকৃতি সাহায্য করেছে বেশী।
বাংলাদেশের ক্রিকেটকে যারা সমর্থন করেন, তাদের মতে টেস্টের চেয়ে ওয়ান ডে’তে বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে ভালো করছে।
হয়তো আরও বেশী টেস্ট খেলার সুযোগ পেলে বাংলাদেশ ভালো করতে বলে মনে করেন জুনায়েদ পাইকার, যিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট সমর্থক গোষ্ঠীর সভাপতি।
মি. পাইকার বিবিসিকে বলেন, ক্রিকেট এখন আমাদের আনন্দ, উৎসাহ এবং উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু, আর সে কারণেই দল খারাপ করলে সমর্থকরা একটু বেশী প্রতিক্রিয়া দেখান।
তবে ধীরে ধীরে জয়ও একটি স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে যাচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।
টেস্টে দলীয়ভাবে খুব একটা ভালো করতে না পারলেও ব্যক্তিগত বেশ কিছু অর্জন রয়েছে খেলোয়াড়দের।
মোহাম্মদ আশরাফুল সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরি করেছেন। আর সাকিব আল হাসান অনেকদিন ধরেই বিশ্বের অন্যতম সেরা অল-রাউন্ডার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন