সরকারি মালিকানাধীন মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের লোকসানের পরিমাণ ৩৯ কোটি টাকা। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে টেলিটককে লাভজনক করতে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব উপজেলা সদরকে টেলিটকের থ্রিজি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম আজ বৃহস্পতিবার সংসদে এসব কথা বলেন।
এ সম্পর্কে সম্পূরক প্রশ্নে জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, টেলিটকের নেটওয়ার্ক সমস্যার সমাধান করা হবে কি না? সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটি দিন দিন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।
জবাবে তারানা হালিম বলেন, টেলিটক যা লাভ করবে, তা দেশেই থাকবে। অথচ কিছুই হয়নি। আমরা সত্যি হতাশ। এত বছরেও কেন টেলিটক নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেনি! আমরা প্রতিষ্ঠানটিকে লাভজনক করতে কাজ করে যাচ্ছি। সারা দেশের প্রতিটি ডাকঘরে একটি করে কক্ষ টেলিটককে দেওয়া হবে। নতুন করে রিব্র্যান্ডিং করব। আমি কোরিয়ায় গিয়ে তাদের সহজ শর্তে ঋণ দিতে বলেছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, টেলিটক শুধু প্রতিষ্ঠানই নয়, সেবা প্রতিষ্ঠানও বটে। যে কারণে লাভ না হলেও অনেক জায়গায় কাজ করতে হয়, যাতে ব্যয় বেড়ে যায়। আশা করছি, নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তনের সুযোগ তৈরি হলে টেলিটকের আয় বাড়বে। টাওয়ার শেয়ার করতে পারলে টেলিটককে তৃণমূলে নিয়ে যেতে পারব।
এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তারানা হালিম বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব উপজেলা সদরকে টেলিটকের থ্রিজি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। আগামী বছরের মধ্যে টেলিটকের নেটওয়ার্ক ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা সম্ভব হবে। বর্তমানে ৬৪ জেলা থ্রিজি নেটওয়ার্কের আওতায় আছে।
গাজী ম ম আমজাদ হোসেনের প্রশ্নের জবাবে তারানা হালিম বলেন, বর্তমানে দুটি মোবাইল ফোন অপারেটর প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম (সিটিসেল) ও টেলিটকের কাছে সরকারের টাকা পাওনা রয়েছে। টাকার পরিমাণ এক হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে টেলিটকের কাছে পাওনার পরিমাণ এক হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা।
মামুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, গত ১৫ বছরে ব্যাংকে গচ্ছিত মানুষের আমানতের পরিমাণ আট গুণের বেশি বেড়েছে। ২০০১-০২ অর্থবছরে ব্যাংকে আমানতের পরিমাণ ছিল ৮১ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তা সাত লাখ ৪৬ হাজার ৩০০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
প্রশ্নোত্তরের আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। prothomalo
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম আজ বৃহস্পতিবার সংসদে এসব কথা বলেন।
এ সম্পর্কে সম্পূরক প্রশ্নে জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, টেলিটকের নেটওয়ার্ক সমস্যার সমাধান করা হবে কি না? সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটি দিন দিন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।
জবাবে তারানা হালিম বলেন, টেলিটক যা লাভ করবে, তা দেশেই থাকবে। অথচ কিছুই হয়নি। আমরা সত্যি হতাশ। এত বছরেও কেন টেলিটক নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেনি! আমরা প্রতিষ্ঠানটিকে লাভজনক করতে কাজ করে যাচ্ছি। সারা দেশের প্রতিটি ডাকঘরে একটি করে কক্ষ টেলিটককে দেওয়া হবে। নতুন করে রিব্র্যান্ডিং করব। আমি কোরিয়ায় গিয়ে তাদের সহজ শর্তে ঋণ দিতে বলেছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, টেলিটক শুধু প্রতিষ্ঠানই নয়, সেবা প্রতিষ্ঠানও বটে। যে কারণে লাভ না হলেও অনেক জায়গায় কাজ করতে হয়, যাতে ব্যয় বেড়ে যায়। আশা করছি, নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তনের সুযোগ তৈরি হলে টেলিটকের আয় বাড়বে। টাওয়ার শেয়ার করতে পারলে টেলিটককে তৃণমূলে নিয়ে যেতে পারব।
এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তারানা হালিম বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব উপজেলা সদরকে টেলিটকের থ্রিজি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। আগামী বছরের মধ্যে টেলিটকের নেটওয়ার্ক ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা সম্ভব হবে। বর্তমানে ৬৪ জেলা থ্রিজি নেটওয়ার্কের আওতায় আছে।
গাজী ম ম আমজাদ হোসেনের প্রশ্নের জবাবে তারানা হালিম বলেন, বর্তমানে দুটি মোবাইল ফোন অপারেটর প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম (সিটিসেল) ও টেলিটকের কাছে সরকারের টাকা পাওনা রয়েছে। টাকার পরিমাণ এক হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে টেলিটকের কাছে পাওনার পরিমাণ এক হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা।
মামুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, গত ১৫ বছরে ব্যাংকে গচ্ছিত মানুষের আমানতের পরিমাণ আট গুণের বেশি বেড়েছে। ২০০১-০২ অর্থবছরে ব্যাংকে আমানতের পরিমাণ ছিল ৮১ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তা সাত লাখ ৪৬ হাজার ৩০০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
প্রশ্নোত্তরের আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। prothomalo
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন