শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৫

বাবা-মাকে হত্যার ঘটনায় ঐশী রহমানের ফাঁসির আদেশ

   

                 পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান ২০১৩ সালের আগস্টে নিজ বাসায় খুন হন।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় এক পুলিশ কর্মকর্তা এবং তার স্ত্রীর হত্যাকান্ডের ঘটনায় তাদেরই মেয়ে ঐশী রহমানকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত।
দুই বছর আগের ওই হত্যাকান্ডের ঘটনার আলোচিত মামলাটির রায় আজ ঘোষণা করেছে ঢাকার একটি দ্রুত বিচার আদালত।
আদালত অভিযুক্ত অপর দুইজনের মধ্যে একজন মিজানুর রহমান রনিকে ঐশী রহমানকে আশ্রয় দেয়ায় দুই বছরের কারাদন্ড দিয়েছে। আর আসাদুজ্জামান জনিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। এরা দুজনেই ঐশী রহমানের বন্ধু।
ঐশী রহমানের অন্যতম আইনজীবী প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস বিবিসি বাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০১৩ সালের ১৪ই অগাস্ট রাতে ঢাকার চামেলীবাগের নিজ বাসায় খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা (পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ) মাহফুজুর রহমান এবং তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমান। হত্যাকান্ডের তিনদিন পর তাদের মেয়ে ঐশী রহমান পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করেন।
ঐশীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গত বছরের মে মাসে অভিযোগ গঠন করে মহানহর দায়রা জজ আদালত। পরে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে পাঠানো হয়।
সেসময় ও লেভেল পড়ুয়া ঐশী রহমান সাবালক কি-না সে প্রশ্ন দেখা দিলে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তার বয়স নির্ধারণ করা হয় এবং ঐশীর বয়স ১৯ বছরের বেশি বলে জানানো হয়।
২০১৩ সালে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলন করে গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে ঐশী রহমান তার বাবা-মাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তবে ঐশী পরে সেই জবানবন্দী প্রত্যাহার করে জানান, ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী নেয়া হয়েছিল।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন