ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, ভারতের সাথে ব্যবধানটা একটা সময় এমন অবস্থায় গিয়ে দাঁড়ায় যে, মাশরাফী বাহিনীর পক্ষে শেষ পর্যন্ত সেই ব্যবধান ঘোচানো অসম্ভব হয়ে পড়ে।
শেষ ওভারের খেলা যখন চলছিল তখনো বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩ উইকেটে ৫০ রান।
টি-টুয়েন্টি র্যাংকিং-এ দশ নম্বরের থাকা বাংলাদেশ দল ব্যাটিং এর শুরুতেই হোচট খেতে থাকে।
ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৪৪ রান আসে সাব্বির রহমানের ব্যাট থেকে। এছাড়া মশফিকুর রহিম ১৬, তাসকিম আহমেদ ১৫, ইমরুল কায়েস ১৪ এবং সৌম্য সরকার ১১ রান করেন।
এই পাঁচজন ছাড়া কেউই দুই অংকের রানের ঘর পেরুতে পারেননি। সাকিব আল হাসান রান আউট হয়েছেন মাত্র ৩ রানে।
ভারতের আশিস নেহরা তিনটি উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে আসরের প্রথম এই ম্যাচটিতে এমএস ধোনির নেতৃত্বে ভারতীয় দল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান করে। রোহিত শর্মার অনবদ্য ব্যাটিং এ এই সংগ্রহ তোলে ভারত। মাত্র ৫৫ বলে ৮৩ রানের এক ইনিংস খেলেন রোহিত শর্মা।
যদিও ২১ রানের মাথায় সাকিব আল হাসান, রোহিত শর্মার ক্যাচটি মুঠোবন্দী করতে পারলে হয়তো ভারতের স্কোর অন্যরকম হতে পারতো। এমনই হতাশার সুর দেখা যায় দর্শক-ভক্তদের মাঝেও। অনেকেই বলছেন, “ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস” এই মর্মপীড়ায় ভূগতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
বুধবার সন্ধ্যায় স্বাগতিক দলের ক্যাপ্টেন মাশরাফি বিন মর্তুজা টসে জিতে শুরুতে ফিল্ডিং বেছে নেন। বল হাতে সবচেয়ে সফল বাংলাদেশের আল আমিন। তিনি একাই নেন তিনটি উইকেট। দ্বিতীয় ওভারেই শেখর ধাওয়ানের উইকেট নিয়ে ভারতীয় শিবিরে প্রথম ভাঙন ধরান আল আমিন। এরপর পঞ্চম ওভারে বাংলাদেশের ‘বিরাট শিকার’ মাশরাফির বলে বিরাট কোহলির উইকেট।
এছাড়া মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসান একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
ভারতের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে হার্ডিক পান্ডে ৩১, যুবরাজ ১৫ এবং সুরেশ রায়না ১৩ রান করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন