সৌদি আরবে প্রখ্যাত এক শিয়া নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর ইরাকে সোমবার একজন সুন্নি ইমামকে হত্যা করা হয়েছে, হামলা চালানো হয়েছে সুন্নিদের দুটো মসজিদে।
ধারণা করা হচ্ছে, শিয়া নেতার মৃত্যুদণ্ডের প্রতিশোধ হিসেবেই এসব হামলা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ঘটনার জেরে সৌদি আরব ইরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পর সোমবার আরো তিনটি দেশ -- বাহরাইন, সুদান এবং সংযুক্ত আরব আমীরাতও ইরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছে।
সন্ত্রাসী তৎপরতার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সৌদি আরবে শনিবার ৪৭ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এদের মধ্যে একজন ছিলেন শিয়া নেতা শেখ নিমর আল-নিমর।
সৌদি আরবে শেখ আল-নিমরের মৃত্যুদন্ড লেবানন থেকে ইরান পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে শিয়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে উত্তপ্ত বিবৃতি বিনিময়ের পর শনিবারই তেহরানে সৌদি দূতাবাস আক্রান্ত হয়।
আর এখন এরই জের ধরে ইরানের সাথে একাধিক দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন ইরান পুরো অঞ্চল জুড়ে সন্ত্রাসী চক্রগুলোকে অস্ত্র দিচ্ছে।
এর জবাব হিসেবেই সৌদি সরকার ইরানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে তার সব কূটনীতিককে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সৌদি আরব ছাড়তে বলেছে।
সৌদি আরব হচ্ছে এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় সু্ন্নি শক্তি।
এর পর দেখা যাচ্ছে যে তারই পথ ধরে বাহ্রাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সুদান ইরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ছিন্ন করছে।
স্পষ্টতই এই সংঘাতে এই দেশগুলো সৌদি সরকারের পথকেই অনুসরণ করছে।
তেহ্রান কর্তৃপক্ষ অবশ্য সবাইকে উত্তেজনা হ্রাসে পদক্ষেপ নিতে বলেছে এবং তাদের পাল্টা অভিযোগ সৌদি আরবের পদক্ষেপ ঐ অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন