সোমবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

যুদ্ধবিরতি: সিরিয়ার জন্যে ভালো সুযোগ?

Image copyrightReuters
Image captionযুদ্ধবিরতির সুযোগে ত্রাণ যাচ্ছে সিরিয়ায়
যুদ্ধবিরতির সুযোগে সিরিয়ায় ত্রাণ তৎপরতা বাড়িয়েছে জাতিসংঘ।
অবরুদ্ধ বেশ কয়েকটি শহরে খাবার, পানি এবং ওষুধ ভর্তি করে ত্রাণের ট্রাক নেওয়া হচ্ছে।
আগামী পাঁচদিনে দেড় লাখ লোকের কাছে ত্রাণ পৌঁছানোর টার্গেট করা হয়েছে।
সিরিয়ার বিভিন্ন শহর ও গ্রামে ১৫ লাখ মানুষ বহুদিন ধরে অবরুদ্ধ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। আগামী মাসে এরকম কিছু শহরে বিমান থেকে ত্রাণ ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ চাইছে যুদ্ধবিরতি বলবত থাকতে থাকতে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যেই অবরুদ্ধ হাজার হাজার মানুষের কাছে খাদ্য ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিতে।
জাতিসংঘ আশা করছে মার্চ মাসে তারা এই কর্মসূচি সম্প্রসারিত করে বিমান থেকেও সাহায্য ফেলতে পারবে।
দামেস্ক থেকে জাতিসংঘের সমন্বয়কারী ইয়াকুব এল হিলো বলেছেন ,লড়াইয়ের জন্য যেসব এলাকায় আগে যাওয়া যেতো না সেখানেও এখন ত্রাণ দেয়া সম্ভব হচ্ছে।
প্রতি মাসেই লক্ষ লক্ষ লোককে ত্রাণ দেয়া হচ্ছে কিন্তু অবরুদ্ধ এলাকাগুলোতে পৌঁছানো খুব কঠিন ছিল।
Image captionযুদ্ধবিরতির মধ্যেই হামলা চলছে
সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি এখনো মোটামুটি বহাল আছে, যদিও প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সরকার, এবং পশ্চিমা-সমর্থিত বিরোধী গোষ্ঠীগুলো - এই দু’দিক থেকেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অনেকগুলো অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এসব অভিযোগের মধ্যে আলেপ্পোতে বিমান হামলার কথাও বলা রয়েছে।
তবে সেই বিমান হামলার লক্ষ্য আল কায়েদার মিত্র আল নুসরা ফ্রন্ট ছিল কিনা তা স্পষ্ট নয়।
যদি তা হয়ে থাকে -তাহলে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ হয়েছে বলে ধরা যাবে না - কারণ আল নুসরা এবং ইসলামিক স্টেট এই যুদ্ধবিরতির আওতার বাইরে।
বিদ্রোহীদের একজন মুখপাত্র কোথাও কোথাও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের কথা বলেছেন তবে স্বীকার করছেন অবস্থা আগের চাইতে অনেক ভালো।
মস্কো থেকেও কিছু ঘটনা নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে তবে সার্বিকভাবে যুদ্ধবিরতি পালিত হচ্ছে বলেই বলা হচ্ছে ।
জাতিসংঘের সমন্বয়কারী বলছেন, গত পাঁচ বছরের মধ্যে সিরিয়ার জনগণের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতার এটাই সবচেয়ে ভালো সুযোগ।
মোটের ওপর যুদ্ধবিরতি গত দু’দিন ধরে টিকে আছে এটাও অনেকে আশা করেন নি, কিন্তু পুরো দু’সপ্তাহ এটা টিকবে কিনা এ নিয়ে অনেকের মনেই গভীর সংশয় রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন