ডেনমার্কের একজন রাজনীতিক সম্প্রতি রাজধানী কোপেনহেগেনের সবচেয়ে পরিচিত ভাস্কর্য -- হান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসনের অমর রূপকথা -- লিট্ল মারমেইড-এর একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করতে গিয়ে দ্যাখেন যে তিনি সেটা পারছেন না।
ফেসুবক তাকে মেসেজ দিলো নগ্নতার প্রশ্নে ফেসবুকের যে নীতিমালা রয়েছে তার আওতায় ঐ ছবিটি তিনি পোস্ট করতে পারবেন না।
মেসেজ পড়ে সোশাল ডেমোক্র্যাট দলের এমপি মিস মিট জার্সকভ তো অবাক!
সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে বিষয়টা শেয়ার করে তিনি জানান, ফেসবুক তাকে জানিয়েছে লিট্ল মারমেইড ভাস্কর্যটি বেশি খোলামেলা এবং তার আবেদন যৌণাত্মক।
সেই কারণেই ফেসবুক এটি প্রকাশ করতে পারছে না।
তার পোস্টে ফেসবুকের এই নীতিমালাটিকে মিস জার্সকভ `অত্যন্ত হাস্যকর` বলে বর্ণনা করেন।
পরে অবশ্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের ভুল স্বীকার করে নেয় এবং ছবিটি পোস্ট করতে দেয়।
নগ্নতার প্রশ্নে নীতিমালাকে ব্যাখ্যা করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, চিত্রকর্ম, ভাস্কর্য এবং অন্যান্য শিল্পকর্মে যদি নগ্নতা থাকে তাহলে শিল্পের স্বার্থে সেগুলোর ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করা যাবে।
তবে ডেনমার্কে লিট্ল মারমেইডই কিন্তু প্রথম এই সমস্যায় পড়েনি।
গত সেপ্টেম্বর মাসে সে দেশের একটি পর্যটন সংস্থার একটি ছবি ফেসবুক আটকে দিয়েছিল।
সেটি ছিল সি. ডাব্লিউ একার্সবার্গের ১৮৪১ সালের একটি তৈলচিত্র যার শিরোনাম আয়নার সামনে দাঁড়ানো নারী।
সেবারও ফেসবুক তার ভুল স্বীকার করে সিদ্ধান্ত পাল্টেছিল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন