বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৫

হজের সময় প্রথম দেখা 'সন্ত্রাসী' দম্পতির

 
    us couple
যুক্তরাষ্ট্রের সান বার্নাদিনোতে যে মুসলিম দম্পতি সম্প্রতি গুলি করে ১৪ জনকে মেরেছে, তাদের প্রথম দেখা হয় মক্কায় ২০১৩ সালের হজে।
স্ত্রী তাসফিন মালিকের ভিসার জন্য সৈয়দ রিজওয়ান ফারুক যে আবেদন করেন, সে সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
তাদের প্রথম যোগাযোগ হয়েছিল ইন্টারনেটের সামাজিক একটি সাইটে। পরে ই-মেইলে তারা হজের সময় দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
মক্কায় সেই সাক্ষাতের পরপরই অভিভাবকদের মধ্যে কথাবার্তার পর তাদের বাগদান হয়েছিল।
পরে তাসফিন মালিক আমেরিকায় আসার এক মাসের মধ্যে তাদের বিয়ে হয়।
মার্কিন সংসদের বিচার-বিভাগ সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি তাসফিন মালিকের ভিসা সম্পর্কিত নথিগুলো প্রকাশ করে দিয়েছে।
kaba                 ২০১৩ সালে হজের সময় ফারুক ও তাসফিনের মধ্যে প্রথম দেখা হয়                 
দোশরা ডিসেম্বর সান বার্নাদিনোর জনস্বাস্থ্য বিভাগের কর্মচারীদের একটি অনুষ্ঠানে এই ফারুক-তাসফিন দম্পতি নির্বিচারে গুলি চালালে ১৪ জন মারা যায়।
হামলার পরপরই পুলিশের গুলিতে তারা দুজনেই নিহত হন।
তাসফিন মালিক কিভাবে ভিসা পেয়েছিলেন, ভিসা দেওয়ার আগে সবকিছু ঠিকমতো পরীক্ষা করা হয়েছিল কিনা -- সেসব নিয়ে এখন তদন্ত চলছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর অবশ্য বলছে, তারা সমস্ত নিয়মকানুন অনুসরণ করা হয়েছিল।
তাসফিন মালিকের জন্ম পাকিস্তানে হলেও তিনি বড় হন সৌদি আরবে। পরে তিনি ফার্মাসি পড়তে পাকিস্তানের বাহাউদ্দিন জাকারিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন।
সৈয়দ ফারুক মার্কিন নাগরিক ছিলেন এবং সান বার্নাদিনোর স্বাস্থ্য বিভাগেই কাজ করতেন। নিয়মিত নামাজ পড়লেও, তিনি জঙ্গি মতবাদ ধারণ করেন, প্রতিবেশী বা সহকর্মীরা কখনই বুঝতে পারেননি।
ধারণা করা হচ্ছে, তাসফিন মালিকই হয়তো তার স্বামীকে জঙ্গিবাদে দীক্ষা দিয়েছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন