যুক্তরাষ্ট্রেরে ক্যালিফোর্নিয়ায় সরকারি স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মকর্তাদের একটি ক্রিসমাস পার্টিতে হামলার কৃতিত্ব স্বীকার করেছে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট।
তবে সরাসরি এই হামলা চালানোর কথা তারা বলেনি।আই এস জঙ্গিদের এক রেডিও বার্তায় বলা হয়েছে, তাদের অনুসারী এক দম্পতি এই হামলা চালিয়েছে, যাতে মোট ১৪ জন নিহত হয়েছে।
আল বায়ান রেডিও থেকে ইসলামিক স্টেটের যে বার্তা প্রচার করা হয়েছে তাতে এমন কোন ইঙ্গিত নেই যে ক্যালিফোর্ণিয়ার এই হামলার পরিকল্পনায় তারা জড়িত ছিল।
হামলাকার সৈয়দ রিজওয়ান ফারুক এবং তার স্ত্রী তাশফিন মালিকের সঙ্গে ইসলামিক স্টেটের কোন যোগাযোগ ছিল, সেরকম ইঙ্গিতও এতে দেয়া হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারী সূত্রগুলো মনে করছে, এই দুজন হয়তো ইসলামিক স্টেটের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এই হামলা চালায়।
তাশফিন মালিকের খোলা একটি ফেসবুক একাউন্ট থেকে ইসলামিক স্টেটের কাজের প্রশংসা করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, যদিও এটা নিশ্চিত করা যায়নি তাশফিন মালিক নিজেই এই বক্তব্য পোষ্ট করেছে কিনা।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল তদন্ত সংস্থা এফবিআই বলছে, এই ঘটনাকে তারা একটি সন্ত্রাসী হামলা হিসেবেই দেখছে এবং সেভাবেই এ ঘটনার তদন্ত চলছে।
যদি সত্যি সত্যি এই হামলা ইসলামিক স্টেটের আদর্শে অনুপ্রাণিতদের কাজ হয়ে থাকে, সেটা মার্কিন কর্তৃপক্ষের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ ইসলামিক স্টেট এ ধরণের হামলার চালানোর জন্য তাদের সমর্থকদের উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছিল।
এদিকে হামলকারী দুজনের পরিবারের আইনজীবীরা বলছেন, এই হামলার ঘটনায় পরিবারের সদস্যরাও স্তম্ভিত এবং হতবাক। সৈয়দ রিজওয়ান ফারুকের বোন সায়রা খান বিবিসিকে বলেছেন, তার ভাই এবং ভাবী মিলে যে এরকম একটা হামলা চালাতে পারে, সেটা তাদের কল্পনারও বাইরে। কারণ তারা বিবাহিত জীবনে সুখী ছিল, তাদের একটি ছয় মাসের ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। সৈয়দ রিজওয়ান ফারুকের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে, বেড়ে উঠেছেন সেখানেই। অন্যদিকে তার পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত স্ত্রী তাশফিন মালিক যুক্তরাষ্ট্রে আসার আগে বিশ বছর সৌদী আরবে বসবাস করেছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন