রাজধানীর তিনটি বেসরকারি চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে অনিয়মের অভিযোগে দুটি হাসপাতালকে জরিমানা এবং একটি চিকিৎসা কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আদাবরের এসপি হাসপাতাল এবং ফার্মগেইটের আল-রাজী হাসপাতাল ও আল ফাতেহ মেডিকেল সার্ভিসেস সেন্টারে শনিবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয় বলে র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, এসপি হাসপাতালকে ১৪ লাখ ও আল-রাজী হাসপাতালকে ছয় লাখ টাকা জরিমানা এবং আল ফাতেহ মেডিকেল সার্ভিসেস সেন্টারের ব্যবস্থাপককে কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আদাবরের রিং রোডে এসপি হাসপাতালে অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া র্যাবের মেজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এসপি মানে স্পেশালাইজড। অথচ হাসপাতালে কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই, নেই কোনো ডিউটি ডাক্তার। নার্স থাকার বিধান থাকলেও একজন নার্সও পাওয়া যায়নি।
“এই হাসপাতালে এমআরআই করা হয়, যেটা নিয়ম বহির্ভূত। যাদের দিয়ে এমআরআই এবং অন্যান্য পরীক্ষা করানো হয় তারা কেউ বিশেষজ্ঞ নন।
“হাসপাতালের মালিক সনজিৎ চক্রবর্তী একজন থেরাপিস্ট। কিন্তু তিনি কোথাও ডাক্তার লিখেন, কোথাও সহযোগী অধ্যাপক লিখে সাধারণ রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন।”
ওই হাসপাতালে লাইসেন্সের মেয়াদ গত বছরই শেষ হয়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “২০ শয্যার হাসপাতালের কথা বলে তারা অবৈধভাবে দুটি ইউনিট খুলে ১০৯টি শয্যায় রোগী রাখছিল। অভিযানের সময় দুই ইউনিটে ৫০ জন রোগী পাওয়া যায়।”
এই হাসপাতালের মালিক সনজিৎকে সাড়ে চার লাখ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. দিদার ও নরোত্তম কুমারকে চার লাখ, টেকনিশিয়ান ছোটন চন্দ্র ও অনুজ বিশ্বাসকে দুই লাখ, মার্কেটিং ম্যানেজার গৌতম কুমারকে দুই লাখ এবং পরীক্ষাগারের সাথে সম্পর্কিত চারজনকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানান তিনি।
সবাই সন্ধ্যায় জরিমানার টাকা পরিশোধ করেছে বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এদিকে র্যাব সদরদপ্তরের মেজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম দুপুরে ফার্মগেইটে আল-রাজী হাসপাতাল ও পাশের আল ফাতেহ মেডিকেল সার্ভিসেস সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আল-রাজী হাসপাতালে চার বছর আগে মেয়াদ পেরোনো রাসায়নিক ব্যবহার করে রোগীর নমুনা পরীক্ষা করার (ডায়াগনোসিস) প্রমাণ পাওয়া গেছে।
“এছাড়া অপারেশন থিয়েটারে ময়লা-ধুলোবালিসহ অস্বাস্থ্যকর অনেক কিছু দেখা যায় হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায়। দুই বছর আগে মারা গেছেন এমন একজন চিকিৎসকের নামও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নামের তালিকায় রাখা হয়েছে।”
এসব কারণে আল-রাজী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয় বলে র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এছাড়া আল-ফাতেহ মেডিকেল সার্ভিসেস সেন্টারে অভিযানে গিয়ে সেখানে কোনো চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ান পাওয়া যায়নি জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “মাতুয়াইলের একজন চিকিৎসকের জাল স্বাক্ষর দিয়ে তৈরি করা ৫২টি মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়া গেছে।”
ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক দিদারুল ইসলামকে ছয় মাসের কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে র্যাব জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, এসপি হাসপাতালকে ১৪ লাখ ও আল-রাজী হাসপাতালকে ছয় লাখ টাকা জরিমানা এবং আল ফাতেহ মেডিকেল সার্ভিসেস সেন্টারের ব্যবস্থাপককে কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আদাবরের রিং রোডে এসপি হাসপাতালে অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া র্যাবের মেজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এসপি মানে স্পেশালাইজড। অথচ হাসপাতালে কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই, নেই কোনো ডিউটি ডাক্তার। নার্স থাকার বিধান থাকলেও একজন নার্সও পাওয়া যায়নি।
“এই হাসপাতালে এমআরআই করা হয়, যেটা নিয়ম বহির্ভূত। যাদের দিয়ে এমআরআই এবং অন্যান্য পরীক্ষা করানো হয় তারা কেউ বিশেষজ্ঞ নন।
“হাসপাতালের মালিক সনজিৎ চক্রবর্তী একজন থেরাপিস্ট। কিন্তু তিনি কোথাও ডাক্তার লিখেন, কোথাও সহযোগী অধ্যাপক লিখে সাধারণ রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন।”
ওই হাসপাতালে লাইসেন্সের মেয়াদ গত বছরই শেষ হয়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “২০ শয্যার হাসপাতালের কথা বলে তারা অবৈধভাবে দুটি ইউনিট খুলে ১০৯টি শয্যায় রোগী রাখছিল। অভিযানের সময় দুই ইউনিটে ৫০ জন রোগী পাওয়া যায়।”
এই হাসপাতালের মালিক সনজিৎকে সাড়ে চার লাখ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. দিদার ও নরোত্তম কুমারকে চার লাখ, টেকনিশিয়ান ছোটন চন্দ্র ও অনুজ বিশ্বাসকে দুই লাখ, মার্কেটিং ম্যানেজার গৌতম কুমারকে দুই লাখ এবং পরীক্ষাগারের সাথে সম্পর্কিত চারজনকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানান তিনি।
সবাই সন্ধ্যায় জরিমানার টাকা পরিশোধ করেছে বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এদিকে র্যাব সদরদপ্তরের মেজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম দুপুরে ফার্মগেইটে আল-রাজী হাসপাতাল ও পাশের আল ফাতেহ মেডিকেল সার্ভিসেস সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আল-রাজী হাসপাতালে চার বছর আগে মেয়াদ পেরোনো রাসায়নিক ব্যবহার করে রোগীর নমুনা পরীক্ষা করার (ডায়াগনোসিস) প্রমাণ পাওয়া গেছে।
“এছাড়া অপারেশন থিয়েটারে ময়লা-ধুলোবালিসহ অস্বাস্থ্যকর অনেক কিছু দেখা যায় হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায়। দুই বছর আগে মারা গেছেন এমন একজন চিকিৎসকের নামও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নামের তালিকায় রাখা হয়েছে।”
এসব কারণে আল-রাজী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয় বলে র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এছাড়া আল-ফাতেহ মেডিকেল সার্ভিসেস সেন্টারে অভিযানে গিয়ে সেখানে কোনো চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ান পাওয়া যায়নি জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “মাতুয়াইলের একজন চিকিৎসকের জাল স্বাক্ষর দিয়ে তৈরি করা ৫২টি মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়া গেছে।”
ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক দিদারুল ইসলামকে ছয় মাসের কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে র্যাব জানিয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন