ভ্যাটিকান জানিয়েছে যে মাদার টেরিজার সেইন্টহুড পাওয়ার পথে শেষ বাধাটিও অতিক্রান্ত হয়েছে।
আজ সকালে ভ্যাটিকান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কলকাতার মাদার হাউসে এই খবর জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।মাদার টেরিজা প্রতিষ্ঠিত মিশনারিজ অফ চ্যারিটির পক্ষে সিস্টার ক্রিস্টি বিবিসি বাংলাকে এই খবর নিশ্চিত করেছেন।
ভ্যাটিকান জানিয়েছে যে সেইন্টহুড পাওয়ার জন্য যে দ্বিতীয় আশ্চর্যজনক ঘটনাটির দরকার ছিল, তা এখন সত্য বলে তারা প্রমান পেয়েছে।
ব্রাজিলের এক ব্যক্তি, যাঁর মাথায় একাধিক টিউমার হয়েছিল, তিনি আশ্চর্যজনকভাবে সেরে উঠেছেন – আর তাঁর এই সেরে ওঠাকে মাদার টেরিজার আশীর্বাদ বলেই নিশ্চিত হয়েছে ভ্যাটিকান।
তিন দিন আগে বিশেষজ্ঞদের একটি দল – কজেস অফ দা সেইন্টস – এর বৈঠক বসে ভ্যাটিকান – এ।
তাঁরাই ওই অতি আশ্চর্য ঘটনাটিকে বিশ্লেষণ করার পরে পোপ ফ্রান্সিসের কাছে জানান যে মাদার টেরিজাকে সেইন্টহুড দেওয়া যেতে পারে।
এর আগে ২০০২ সালে ভ্যাটিকান মেনে নিয়েছিল যে মাদার টেরিজার আশীর্বাদের ফলে ১৯৯৮ সালে মনিকা বেসরা নামের এক নারীর পেটের ক্যান্সার সেরে গেছে।
সেইন্টহুড পেতে গেলে অন্তত দুটি আশ্চর্যজনক ঘটনার প্রমাণ পেতে হয়।
মাদার টেরিজার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সুনীতা কুমার বিবিসি বাংলাকে বলেন, “সেইন্টহুড পেতে বহু বছর এমন কি কয়েক শতকও পার হয়ে যায়। কিন্তু মাদার টেরিজা এমনই একজন মহাপ্রাণ ব্যক্তিত্ব, যিনি মৃত্যুর মাত্র ১৮ বছরের মধ্যেই সেইন্টহুড পেতে চলেছেন। আজ সকালে মাদার হাউস থেকে যখন এই খবর জানানো হল, তখন প্রথমে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিল – এতটাই আনন্দ হচ্ছিল তখন।“
মাদার টেরিজার জন্ম ম্যাসেডোনিয়াতে। তাঁর বাবা-মা অ্যালবেনিয়ান ছিলেন।
কলকাতার বস্তিবাসী এবং অতিগরীব মানুষদের সাহায্যের জন্য তিনি ১৯৫০ সালে মিশনারীজ অফ চ্যারিটি প্রতিষ্ঠা করেন।
তাঁর কাজের জন্য ১৯৭৯ সালে নোবেল শান্তি পুরষ্কার পান মাদার টেরিজা।
কলকাতাতেই তাঁর মৃত্যু হয় ১৯৯৭ সালে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন