বাংলাদেশে পুলিশ বলছে, চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর একটি মসজিদে গ্রেনেড হামলায় অন্তত ছ’জন আহত হয়েছে। তাদের একজনের অবস্থা গুরুতর।
পতেঙ্গায় ঈশা খা ঘাঁটিতে আজ শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় এই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।চট্টগ্রাম থেকে পুলিশের একজন কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ হাজারী বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, নামাজ শুরু হওয়ার পর প্রথম রাকাতেই এই হামলা চালানো হয়।
“সুরা ফাতিহা পড়ার পরই দুটো গ্রেনেড ছুঁড়ে এই হামলা চালানো হয়েছে,” বলেনি তিনি।
সেখান থেকে অবিস্ফোরিত তিনটি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ বলছে, হামলার সময় মসজিদে দুশো জনের মতো মুসল্লি নামাজ পড়ছিল বলে তারা জানতে পেরেছেন।
এই ঘটনায় মিজান নামে নৌবাহিনীর একজন ব্যাটম্যানকে আটক করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
পুলিশ বলছে, তৃতীয় গ্রেনেডটি ছোড়ার সময় স্থানীয় মুসল্লিরাই তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
বাংলাদেশে সামরিক বাহিনীর ওপর এধরনের হামলার ঘটনা খুবই বিরল।
হারুনুর রশিদ হাজারী বলেন, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা এবং পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তোলার জন্যেই এই হামলা চালানো হয়েছে বলে তারা ধারণা করছেন।
মসজিদটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের বিশেষ বাহিনী র্যাব ওই এলাকাটি ঘিরে রেখেছে। সেখানে আলামত সংগ্রহের কাজ চলছে।
পুলিশ বলছে, আটক ওই ব্যক্তি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারের ভুয়া সার্টিফিকেট দেখিয়ে নৌবাহিনীতে চাকরি নিয়েছিলেন।
যে মসজিদটিতে হামলা চালানো হয়েছে সেটি অত্যন্ত সংরক্ষিত একটি এলাকায়। সাধারণ লোকজনের সেখানে প্রবেশাধিকার নেই।
সাধারণত কলোনির লোকেরাই সেখানে নামাজ পড়তে যান।
আহতদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর যিনি গুরুতর আহত হয়েছেন তাকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামের সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন