ফরিদপুরে আজ কয়েকজন ধারালো অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তের আক্রমণে সেখানকার হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অলোক সেন মারাত্মক আহত হয়েছেন।
আজ বিকেল চারটার দিকে ফরিদপুর শহরে মি. সেনের বাড়ির সামনেই এ ঘটনা ঘটে।
অলোক সেনের স্ত্রী শিখা ঘোষ বিবিসি বাংলাকে জানান, আজ কয়েকজন যুবক তার বাড়িতে গিয়ে তার সাথে দেখা করতে চায়। মি. সেন বেরিয়ে এলে তার সাথে কথা বলার মধ্যেই হঠাৎ তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কোপাতে শুরু করে।
এ সময় শিখা ঘোষ ঘটনা দেখতে পেয়ে বাইরে এসে চিৎকার শুরু করেন। এতে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অলোক সেনের হাতে মারাত্মক জখম হয়েছে। তিনি এখন ফরিদপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শিখা ঘোষ বলেন, কারা এ হামলা করেছে এ ব্যাপারে তারা কোন ধারণা করতে পারছেন না। তার স্বামীর কারো সাথে কোন পূর্ব শত্রুতাও ছিল না - বলেন শিখা ঘোষ।
এখনও এ নিয়ে কোন মামলা করা হয় নি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে মি, সেনের পরিবারের সাথে কথা বলেছেন।
পুলিশ বলছে, একদিন আগে মি. সেনের কাছে দুই যুবক এসেছিলেন ভারতে যাবার ভিসা করে দেবার সহযোগিতা চাইতে। কিছুটা পীড়াপীড়ির পর মি. সেন সহযোগিতা করতে রাজী হন।
ওই দুই যুবকই আজ আবার মি. সেনের সাথে দেখা করতে এসে এ আক্রমণ চালায়, বলছে পুলিশ। একে এখনো নাশকতা বা জঙ্গী-সংশ্লিষ্ট আক্রমণ বলে মনে করছে না পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, বেশ কয়েক মাস আগেএকজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের স্থানীয় একটি হিন্দু সম্পত্তি কেনাকে কেন্দ্র করে যে বিতর্ক স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে এসেছিল, তার বিরুদ্ধে মি. সেন সোচ্চার ছিলেন। এর ফলে স্থানীয় কারো কারো সঙ্গে তার একটা মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়েছিল।
কিন্তু সে ঘটনার সাথে এ আক্রমণের কোন যোগসূত্র আছে কিনা - তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন