৬ উইকেটের জয় দিয়ে বিপিএলের তৃতীয় আসর শুরু করেছে ঢাকা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১১০ রান করে কুমিল্লা। জবাবে চার বল বাকি থাকতে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ঢাকা।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পঞ্চম ওভারেই শামসুর রহমানকে হারায় ঢাকা। মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে মারলন স্যামুয়েলসকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১৯ রান করেন শামসুর।
অন্য উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান নাসির জামশেদ ও অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা কোনো ঝুঁকি না নিয়ে দেখেশুনে খেলে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। জামশেদকে (৪৪) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের ৫৫ রানের জুটি ভাঙেন সুনিল নারাইন।
শেষের দিকে একটু উত্তেজনার জন্ম দেন অভিষিক্ত আবু হায়দার রনি। পরপর দুই ওভারে কুমার সাঙ্গাকারা ও মোসাদ্দেক হোসেনকে ফিরিয়ে দেন এই বাঁহাতি পেসার। সাঙ্গাকারাকে (২৫) বোল্ড করার পর মোসাদ্দেককে নারাইনের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি।
বাকি কাজটুকু সহজেই সারেন রায়ান টেন ডেসকাট ও নাসির হোসেন। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে নাসির চার হাঁকিয়ে জয় এনে দেন। ঢাকার ইনিংসে এর আগের চার এসেছিল ১২.২ ওভারে।
হায়দার দুই উইকেট নেন ১৭ রানে।
এর আগে ৩৬ রানে প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের বিদায়ে শুরুতেই চাপে পড়ে কুমিল্লা। ইনিংসের তৃতীয় বলেই শূন্য রানে ফিরে যান ইমরুল কায়েস। আবুল হাসানের বলে উড়িয়ে সীমানা ছাড়া করতে গিয়ে মিড অফে ফরহাদ রেজার ক্যাচে পরিণত হন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
দ্বিতীয় ওভারে ফিরে যান অন্য উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান লিটন দাস। রেজার বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অনে মুস্তাফিজুর রহমানকে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।
নিজের পরের ওভারে আবার আঘাত হানেন পেসার হাসান। তার বলে ইয়াসির শাহকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন শুভাগত হোম চৌধুরী।
বোলিং আক্রমণের সেরা অস্ত্র মুস্তাফিজকে চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে আনেন সাঙ্গাকারা। সে সময় ব্যাটিংয়ে ছিলেন স্যামুয়েল। প্রথম তিনটি বলে ব্যাটে লাগাতেই পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ব্যাটসম্যান। চতুর্থ বল খোঁচা মারতে চেয়ে ব্যাটে লাগাতে পারেননি স্যামুয়েলস। পরের বলটি প্যাড ছুঁয়ে স্টাম্পে আঘাত হানে।
স্যামুয়েলসের অস্বস্তিভরা ইনিংস শেষ হওয়ার পর আরেকটি ধাক্কা খায় কুমিল্লা। রান আউট হয়ে ফিরে যান দলের ইংলিশ অলরাউন্ডার ড্যারেন স্টিভেন্স। কুমিল্লার প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।
অষ্টম ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া কুমিল্লা প্রতিরোধ গড়ে মাহমুদুল হাসান ও আরিফুল হকের ব্যাটে। তাদের প্রচেষ্টা বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি বাঁহাতি স্পিনার মোশাররফ হোসেন। তার বলেই হওয়া আরিফুল ও মাহমুদুলের আউটে অবদান রয়েছে সাঙ্গাকারার। তিনি স্টাম্পড করেন আরিফুলকে (১৩), গ্লাভসবন্দি করেন মাহমুদুলকে (২২)।
৬৬ রানে সাত উইকেট হারানো কুমিল্ল একশ’ পার হয় মাশরাফি ও ক্রিসমার সান্টোকির ব্যাটে। অষ্টম উইকেটে ৪৩ রানের জুটি গড়েন এই দুই জনে।
শেষ ওভারে হাসানের বলে সাঙ্গাকারার গ্লাভসবন্দি হয়ে শেষ হয় মাশরাফির ২৫ রানের ইনিংসটি। তার ব্যাট থেকেই আসে কুমিল্লার ইনিংসের দুটি ছক্কা।
সান্টোকি অপরাজিত থাকেন ২১ রানে।
পাঁচ বোলারই ব্যবহার করেন ঢাকার অধিনায়ক সাঙ্গাকারা। জাতীয় দলে ইদানিং নিয়মিত বল করা নাসিরকে ব্যবহার করেননি তিনি।
২৮ রানে তিন উইকেট নিয়ে ঢাকার সেরা বোলার হাসান। মোশাররফ দুই উইকেট নেন ১৫ রানে। কোনো উইকেট না পেলেও হিসেবি বোলিং করেন ইয়াসির। পাকিস্তানের এই লেগ স্পিনার একটি মেডেনসহ ৪ ওভারে ১৪ রান দেন।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১১০ রান করে কুমিল্লা। জবাবে চার বল বাকি থাকতে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ঢাকা।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পঞ্চম ওভারেই শামসুর রহমানকে হারায় ঢাকা। মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে মারলন স্যামুয়েলসকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১৯ রান করেন শামসুর।
অন্য উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান নাসির জামশেদ ও অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা কোনো ঝুঁকি না নিয়ে দেখেশুনে খেলে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। জামশেদকে (৪৪) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের ৫৫ রানের জুটি ভাঙেন সুনিল নারাইন।
শেষের দিকে একটু উত্তেজনার জন্ম দেন অভিষিক্ত আবু হায়দার রনি। পরপর দুই ওভারে কুমার সাঙ্গাকারা ও মোসাদ্দেক হোসেনকে ফিরিয়ে দেন এই বাঁহাতি পেসার। সাঙ্গাকারাকে (২৫) বোল্ড করার পর মোসাদ্দেককে নারাইনের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি।
বাকি কাজটুকু সহজেই সারেন রায়ান টেন ডেসকাট ও নাসির হোসেন। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে নাসির চার হাঁকিয়ে জয় এনে দেন। ঢাকার ইনিংসে এর আগের চার এসেছিল ১২.২ ওভারে।
হায়দার দুই উইকেট নেন ১৭ রানে।
এর আগে ৩৬ রানে প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের বিদায়ে শুরুতেই চাপে পড়ে কুমিল্লা। ইনিংসের তৃতীয় বলেই শূন্য রানে ফিরে যান ইমরুল কায়েস। আবুল হাসানের বলে উড়িয়ে সীমানা ছাড়া করতে গিয়ে মিড অফে ফরহাদ রেজার ক্যাচে পরিণত হন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
দ্বিতীয় ওভারে ফিরে যান অন্য উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান লিটন দাস। রেজার বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অনে মুস্তাফিজুর রহমানকে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।
নিজের পরের ওভারে আবার আঘাত হানেন পেসার হাসান। তার বলে ইয়াসির শাহকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন শুভাগত হোম চৌধুরী।
বোলিং আক্রমণের সেরা অস্ত্র মুস্তাফিজকে চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে আনেন সাঙ্গাকারা। সে সময় ব্যাটিংয়ে ছিলেন স্যামুয়েল। প্রথম তিনটি বলে ব্যাটে লাগাতেই পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ব্যাটসম্যান। চতুর্থ বল খোঁচা মারতে চেয়ে ব্যাটে লাগাতে পারেননি স্যামুয়েলস। পরের বলটি প্যাড ছুঁয়ে স্টাম্পে আঘাত হানে।
স্যামুয়েলসের অস্বস্তিভরা ইনিংস শেষ হওয়ার পর আরেকটি ধাক্কা খায় কুমিল্লা। রান আউট হয়ে ফিরে যান দলের ইংলিশ অলরাউন্ডার ড্যারেন স্টিভেন্স। কুমিল্লার প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।
অষ্টম ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া কুমিল্লা প্রতিরোধ গড়ে মাহমুদুল হাসান ও আরিফুল হকের ব্যাটে। তাদের প্রচেষ্টা বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি বাঁহাতি স্পিনার মোশাররফ হোসেন। তার বলেই হওয়া আরিফুল ও মাহমুদুলের আউটে অবদান রয়েছে সাঙ্গাকারার। তিনি স্টাম্পড করেন আরিফুলকে (১৩), গ্লাভসবন্দি করেন মাহমুদুলকে (২২)।
৬৬ রানে সাত উইকেট হারানো কুমিল্ল একশ’ পার হয় মাশরাফি ও ক্রিসমার সান্টোকির ব্যাটে। অষ্টম উইকেটে ৪৩ রানের জুটি গড়েন এই দুই জনে।
শেষ ওভারে হাসানের বলে সাঙ্গাকারার গ্লাভসবন্দি হয়ে শেষ হয় মাশরাফির ২৫ রানের ইনিংসটি। তার ব্যাট থেকেই আসে কুমিল্লার ইনিংসের দুটি ছক্কা।
রেজার বলে লং অন দিয়ে প্রথম ছক্কাটি উপহার দেন দলের সর্বোচ্চ রান করা মাশরাফি। পরে মুস্তাফিজের বলে সেই লং অন দিয়েই আবার উড়িয়ে সীমানা ছাড়া করেন তিনি। এবার বল গিয়ে পড়ে গ্যালারির দ্বিতীয় তলায়।
সান্টোকি অপরাজিত থাকেন ২১ রানে।
পাঁচ বোলারই ব্যবহার করেন ঢাকার অধিনায়ক সাঙ্গাকারা। জাতীয় দলে ইদানিং নিয়মিত বল করা নাসিরকে ব্যবহার করেননি তিনি।
২৮ রানে তিন উইকেট নিয়ে ঢাকার সেরা বোলার হাসান। মোশাররফ দুই উইকেট নেন ১৫ রানে। কোনো উইকেট না পেলেও হিসেবি বোলিং করেন ইয়াসির। পাকিস্তানের এই লেগ স্পিনার একটি মেডেনসহ ৪ ওভারে ১৪ রান দেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন