রোববার বেলা ৩টায় প্রথম দফায় পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিলুপ্ত গারাতি, দেবীগঞ্জের নাটকটোকা, বেহুলাডাঙ্গা, কাজলদিঘী ও বোদা উপজেলার নাজিরগঞ্জ ছিটমহলের ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণকারী ৪৮ জন নীলফামারীর চিলাহাটী সীমান্তের ডাঙ্গাপাড়া দিয়ে ওপারে যান।
চোখের জলে বাংলাদেশে থেকে যাওয়া স্বজনদের কাছ থেকে বিদায় নেন তারা।
পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম আজম জানান, চিলাহাটী সীমান্তের ডাঙ্গাপাড়া দিয়ে ভারতের কুচবিহার জেলার হলদিবাড়ি-খালপাড়া সীমান্তে পাঠানো হয়েছে এদের।।
ঢাক-ঢোল ও বাদ্য বাজনা বাজিয়ে এবং মিষ্টি খাইয়ে ও ফুল দিয়ে সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে স্বাগত জানানো হয় তাদের। পরে সেখান থেকে তাদের নির্দিষ্ট আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি বলেন, ৫৫ জনের যাওয়ার শেষ মুহূর্তে চার জন বাংলাদেশে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বাকি তিন জন পরে যাবেন।
এর আগে সকালে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে এই ৪৮ জনকে ফুল ও দুপুরের খাবারের প্যাকেট দিয়ে বিদায় জানানো হয়। দুটি মিনিবাসে চড়ে তারা গন্তব্যের দিকে রওনা হন। দুটি ট্রাকে তাদের আসবাবপত্র ও গৃহস্থালী নানা পণ্য নেওয়া হয়।
প্রায় ৪০ কিলোমিটার পথ পার হয়ে তারা চিলাহাটী সীমান্তের ডাঙ্গাপাড়ায় পৌঁছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, বিদায় বেলায় কান্নার রোল পড়ে যায়। আগের রাতে অবস্থান করা ও গতকাল আসা বাংলাদেশি স্বজনদের জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন। কেউ কেউ কান্না করতে করতে মাটিতে আছড়ে পড়েন। কেউ মাটি ছুঁয়ে চুমু খাচ্ছেন।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) বিভিন্ন ছিটমহলের আরও ৩১টি পরিবারের একজন নবজাতকসহ ১৭৭ জনের ভারতে যাওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া মঙ্গলবার ২৯টি পরিবারের একজন নবজাতকসহ ১৪৯ জন এবং সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ২৩টি পরিবারের ১০৮ জন নাগিরকের ভারতে যাওয়ার কথা রয়েছে।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন বলেন, যারা ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেও সেদেশে যাচ্ছেন না তাদের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আশা করছি নাগরিকত্ব প্রশ্নে জনগণের মতামতই প্রাধান্য পাবে।
চলতি বছরের ৬ থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত যৌথ জনগণনা জরিপে পঞ্চগড়ের ৩৬টি বিলুপ্ত ছিটমহলের ৪৮৭ জন ভারতে যেতে আবেদন করেন। এরমধ্যে নতুন করে দুই নবজাতকের জন্ম হওয়ায় তারাও ভারতে যাচ্ছে। bdnews24
চোখের জলে বাংলাদেশে থেকে যাওয়া স্বজনদের কাছ থেকে বিদায় নেন তারা।
পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম আজম জানান, চিলাহাটী সীমান্তের ডাঙ্গাপাড়া দিয়ে ভারতের কুচবিহার জেলার হলদিবাড়ি-খালপাড়া সীমান্তে পাঠানো হয়েছে এদের।।
ঢাক-ঢোল ও বাদ্য বাজনা বাজিয়ে এবং মিষ্টি খাইয়ে ও ফুল দিয়ে সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে স্বাগত জানানো হয় তাদের। পরে সেখান থেকে তাদের নির্দিষ্ট আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি বলেন, ৫৫ জনের যাওয়ার শেষ মুহূর্তে চার জন বাংলাদেশে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বাকি তিন জন পরে যাবেন।
এর আগে সকালে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে এই ৪৮ জনকে ফুল ও দুপুরের খাবারের প্যাকেট দিয়ে বিদায় জানানো হয়। দুটি মিনিবাসে চড়ে তারা গন্তব্যের দিকে রওনা হন। দুটি ট্রাকে তাদের আসবাবপত্র ও গৃহস্থালী নানা পণ্য নেওয়া হয়।
প্রায় ৪০ কিলোমিটার পথ পার হয়ে তারা চিলাহাটী সীমান্তের ডাঙ্গাপাড়ায় পৌঁছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, বিদায় বেলায় কান্নার রোল পড়ে যায়। আগের রাতে অবস্থান করা ও গতকাল আসা বাংলাদেশি স্বজনদের জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন। কেউ কেউ কান্না করতে করতে মাটিতে আছড়ে পড়েন। কেউ মাটি ছুঁয়ে চুমু খাচ্ছেন।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) বিভিন্ন ছিটমহলের আরও ৩১টি পরিবারের একজন নবজাতকসহ ১৭৭ জনের ভারতে যাওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া মঙ্গলবার ২৯টি পরিবারের একজন নবজাতকসহ ১৪৯ জন এবং সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ২৩টি পরিবারের ১০৮ জন নাগিরকের ভারতে যাওয়ার কথা রয়েছে।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন বলেন, যারা ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেও সেদেশে যাচ্ছেন না তাদের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আশা করছি নাগরিকত্ব প্রশ্নে জনগণের মতামতই প্রাধান্য পাবে।
চলতি বছরের ৬ থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত যৌথ জনগণনা জরিপে পঞ্চগড়ের ৩৬টি বিলুপ্ত ছিটমহলের ৪৮৭ জন ভারতে যেতে আবেদন করেন। এরমধ্যে নতুন করে দুই নবজাতকের জন্ম হওয়ায় তারাও ভারতে যাচ্ছে। bdnews24
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন