মিসবাহ-উল-হক ও থিসারা পেরেরার ব্যাটিং তাণ্ডব আর ড্যারেন স্যামির ছোট্ট ঝড়ে চিটাগং ভাইকিংসকে হারাল রংপুর রাইডার্স। শেষ বলে শেষ হওয়া রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার এই ম্যাচ দিয়েই যাত্রা শুরু হলো বিপিএলের তৃতীয় আসরের।
রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিজ্ঞাপন হয়ে থাকা রানবন্যার এই ম্যাচে ২ উইকেটে জিতে রংপুর। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান করে চিটাগাং। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে শেষ বলে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রংপুর।
অনেকবার ম্যাচের লাগাম হাতবদল হওয়ার এই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিতে শেষ পর্যন্ত বড় ভূমিকা রেখেছে একটি ক্যাচ মিস। ৪ বলে যখন প্রয়োজন ৮ রান, কাভারে ড্যারেন স্যামির ক্যাচ হাতছাড়া করেন আসিফ আহমেদ। উল্টো রান হয় দুটি। পরের বলেই দারণ এক শটে চার মেরে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে নেন স্যামি।
পঞ্চম বলে দ্বিতীয় রানের চেষ্টায় স্যামি রান আউট হন। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ১ রান, স্ট্রেট ড্রাইভে রান নিয়েই ব্যাট ছুড়ে ড্রেসিং রুমের দিকে উল্লাসে ছুটে যান সাকলাইন সজীব। মাঠের বাইরে থেকে ছুটে এসে উৎসবে মাতেন রংপুরের বাকি সব ক্রিকেটার।
বলতে গেলে ভাইকিংসের হাতের মুঠো থেকে জয় ছিনিয়ে এনেছে রংপুর। ম্যাচের বেশিরভাগ জুড়েই তারা ছিল পিছিয়ে। ১৮৮ রান তাড়ায় প্রথম ৫ ওভারেই হারিয়ে বসে তারা ৪ উইকেট। রংপুরের দুই ওপেনার লেন্ডল সিমন্স (১) ও সৌম্য সরকারকে (৯ বলে ২০) টানা দুই বলে ফেরান মোহাম্মদ আমির। রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন মোহাম্মদ মিঠুন (০)। ১ রানে ফেরেন সাকিব আল হাসান। রংপুর তখন ৪ উইকেটে ২৩!
অভিজ্ঞ মিসবাহকে নিয়ে ওই অবস্থা থেকে দলকে টেনে তোলেন বিপিএল অভিষিক্ত আল আমিন (২৮ বলে ৩৮)। শেষ ৬ ওভারে রংপুরের প্রয়োজন ছিল ৯১। মিসবাহ ও থিসারা পেরেরার খুনে ব্যাটিংয়ে ৪ ওভারেই আসে ৬৯ রান!
২ ওভারে দরকার ২২ রান, ফেভারিট তখন রংপুর। কিন্তু আবারও ম্যাচের মোড় পাল্টে দেন আমির। টানা দুই বলে পাকিস্তানের এই পেসার ফেরান বিধ্বংসী ব্যাট চালানো দুই ব্যাটসম্যানকেই। স্লোয়ারে লং অনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৭ বলে ৪৩ রান করা পেরেরা, দুর্দান্ত ইয়র্কারে ব্যাট নামানোর সময় পাননি মিসবাহ (৩৯ বলে ৬১), বোল্ড হয়ে যান পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক। ওই ওভারেই একটি চার মেরে আবার ম্যাচে নাটকীয়তা আনেন স্যামি।
শফিউল ইসলামের করা শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৪। প্রথম বলে রান না পেলেও দ্বিতীয় বলেই ছক্কা মারেন স্যামি। এরপর ওই ক্যাচ মিস ও পরে রংপুরের জয়। ৭ বলে স্যামি করেছেন ১৮।
আগে ব্যাট করে চিটাগং ভাইকিংস রান করেছিল ১৮৭। আগের রাতেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে সাকিব টস করতে নেমে যান দুপুরে। প্রথম ওভার বলও হাতে নিয়েছেন তিনি। তবে ব্যাট হাতে ভাইকিংসের শুরুটা ছিল উড়ন্ত।
সাকিবকে চার মেরেই শুরু করেছিলেন তামিম। পরের ওভারে স্বদেশী থিসারা পেরেরাকে দুটি ছয় মারেন দিলশান। সাকিবের দ্বিতীয় ওভারে দিলশান মারেন দুটি চার, একটি ছয়। আরাফাত সানিকে প্রথম বলেই লং অফের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন তামিম। ৩.৫ ওভারেই ভাইকিংস তুলে ফেলে পঞ্চাশ।
বল হতে নিয়েই এই জুটি ভাঙেন আবু জায়েদ চৌধুরি। আড়াই বছর আগে ক্যারিয়ারের একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ওভারেই উইকেট পেয়েছিলেন এই পেসার। এদিন উইকেট নেন প্রথম বলেই। ফিরিয়ে দেন ৩ ছক্কায় ১৬ বল ২৯ রান করা দিলশানকে।
তামিম-এনামুলের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতেও কমেনি রানের গতি। ৪৯ বলে ৬৫ রানের জুটি গড়েন দুজন। পরে দুজনকে এক ওভারেই ফেরান সাকলাইন সজীব।
২৯ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়ার পরপরই ছক্কা মারতে গিয়ে মিড উইকেট সীমানায় মিসবাহর হতে ধরা পড়েন তামিম (৩২ বলে ৫১)। তিন বল পর লং অফে ড্যারেন স্যামির দারুণ ক্যাচে বিদায় নেন এনামুল হক (৩০ বলে ৩৬)।
এই দুজনের বিদায় ও সাকলাইনের দারুণ বোলিংয়ে অনেকটাই কমে যায় ভাইকিংসের রানের গতি। ১০ ওভারে রান ছিল ১০৩, পরের ৭ ওভারে আসে মাত্র ৩৯! জিবন মেন্ডিসের ঝড়ে শেষদিকে আবার গতি পায় ইনিংস। আবু জায়েদকে টানা দুই বলে চার ও ছয় মারার পর আরাফাত সানির এক ওভারে দুই ছক্কা ও ১ চারে ১৯ রান নেন মেন্ডিস।
৩টি করে চার ও ছক্কায় ১৮ বলে ৩৯ করেন মেন্ডিস। শেষ ওভারে আসিফ আহমেদের (১৫ কলে ১৭*) দুটি চারে ভাইকিংস ছাড়ায় ১৮০।
ব্যাটিং ঝড়ের ইনিংসেও দারুণ বোলিং করেছেন বাঁহাতি স্পিনার সাকলাইন, ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। বিপিএল অভিষেকে ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন পেসার আবু জায়েদ।
রানটাকে তখন মনে হচ্ছিল যথেষ্টই। রংপুর শুরুতে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকলে তো জয়ের সুবাসই পেয়েছিল চিটাগং। কিন্তু কে জানত, মিসবাহ-পেরেরার মনে ছিল অন্য ভাবনা!
ভ্রমণ ক্লান্তি আর অনুশীলনের ঘাটতি নিয়ে সাকিব সুবিধা করতে পারেননি ব্যাটে-বলে। তবে সতীর্থদের অভাবনীয় পারফরম্যান্সে ঠিকই তার মুখে বিজয়ের হাসি! bdnews24
অনেকবার ম্যাচের লাগাম হাতবদল হওয়ার এই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিতে শেষ পর্যন্ত বড় ভূমিকা রেখেছে একটি ক্যাচ মিস। ৪ বলে যখন প্রয়োজন ৮ রান, কাভারে ড্যারেন স্যামির ক্যাচ হাতছাড়া করেন আসিফ আহমেদ। উল্টো রান হয় দুটি। পরের বলেই দারণ এক শটে চার মেরে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে নেন স্যামি।
পঞ্চম বলে দ্বিতীয় রানের চেষ্টায় স্যামি রান আউট হন। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ১ রান, স্ট্রেট ড্রাইভে রান নিয়েই ব্যাট ছুড়ে ড্রেসিং রুমের দিকে উল্লাসে ছুটে যান সাকলাইন সজীব। মাঠের বাইরে থেকে ছুটে এসে উৎসবে মাতেন রংপুরের বাকি সব ক্রিকেটার।
বলতে গেলে ভাইকিংসের হাতের মুঠো থেকে জয় ছিনিয়ে এনেছে রংপুর। ম্যাচের বেশিরভাগ জুড়েই তারা ছিল পিছিয়ে। ১৮৮ রান তাড়ায় প্রথম ৫ ওভারেই হারিয়ে বসে তারা ৪ উইকেট। রংপুরের দুই ওপেনার লেন্ডল সিমন্স (১) ও সৌম্য সরকারকে (৯ বলে ২০) টানা দুই বলে ফেরান মোহাম্মদ আমির। রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন মোহাম্মদ মিঠুন (০)। ১ রানে ফেরেন সাকিব আল হাসান। রংপুর তখন ৪ উইকেটে ২৩!
অভিজ্ঞ মিসবাহকে নিয়ে ওই অবস্থা থেকে দলকে টেনে তোলেন বিপিএল অভিষিক্ত আল আমিন (২৮ বলে ৩৮)। শেষ ৬ ওভারে রংপুরের প্রয়োজন ছিল ৯১। মিসবাহ ও থিসারা পেরেরার খুনে ব্যাটিংয়ে ৪ ওভারেই আসে ৬৯ রান!
২ ওভারে দরকার ২২ রান, ফেভারিট তখন রংপুর। কিন্তু আবারও ম্যাচের মোড় পাল্টে দেন আমির। টানা দুই বলে পাকিস্তানের এই পেসার ফেরান বিধ্বংসী ব্যাট চালানো দুই ব্যাটসম্যানকেই। স্লোয়ারে লং অনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৭ বলে ৪৩ রান করা পেরেরা, দুর্দান্ত ইয়র্কারে ব্যাট নামানোর সময় পাননি মিসবাহ (৩৯ বলে ৬১), বোল্ড হয়ে যান পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক। ওই ওভারেই একটি চার মেরে আবার ম্যাচে নাটকীয়তা আনেন স্যামি।
শফিউল ইসলামের করা শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৪। প্রথম বলে রান না পেলেও দ্বিতীয় বলেই ছক্কা মারেন স্যামি। এরপর ওই ক্যাচ মিস ও পরে রংপুরের জয়। ৭ বলে স্যামি করেছেন ১৮।
আগে ব্যাট করে চিটাগং ভাইকিংস রান করেছিল ১৮৭। আগের রাতেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে সাকিব টস করতে নেমে যান দুপুরে। প্রথম ওভার বলও হাতে নিয়েছেন তিনি। তবে ব্যাট হাতে ভাইকিংসের শুরুটা ছিল উড়ন্ত।
সাকিবকে চার মেরেই শুরু করেছিলেন তামিম। পরের ওভারে স্বদেশী থিসারা পেরেরাকে দুটি ছয় মারেন দিলশান। সাকিবের দ্বিতীয় ওভারে দিলশান মারেন দুটি চার, একটি ছয়। আরাফাত সানিকে প্রথম বলেই লং অফের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন তামিম। ৩.৫ ওভারেই ভাইকিংস তুলে ফেলে পঞ্চাশ।
বল হতে নিয়েই এই জুটি ভাঙেন আবু জায়েদ চৌধুরি। আড়াই বছর আগে ক্যারিয়ারের একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ওভারেই উইকেট পেয়েছিলেন এই পেসার। এদিন উইকেট নেন প্রথম বলেই। ফিরিয়ে দেন ৩ ছক্কায় ১৬ বল ২৯ রান করা দিলশানকে।
তামিম-এনামুলের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতেও কমেনি রানের গতি। ৪৯ বলে ৬৫ রানের জুটি গড়েন দুজন। পরে দুজনকে এক ওভারেই ফেরান সাকলাইন সজীব।
২৯ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়ার পরপরই ছক্কা মারতে গিয়ে মিড উইকেট সীমানায় মিসবাহর হতে ধরা পড়েন তামিম (৩২ বলে ৫১)। তিন বল পর লং অফে ড্যারেন স্যামির দারুণ ক্যাচে বিদায় নেন এনামুল হক (৩০ বলে ৩৬)।
এই দুজনের বিদায় ও সাকলাইনের দারুণ বোলিংয়ে অনেকটাই কমে যায় ভাইকিংসের রানের গতি। ১০ ওভারে রান ছিল ১০৩, পরের ৭ ওভারে আসে মাত্র ৩৯! জিবন মেন্ডিসের ঝড়ে শেষদিকে আবার গতি পায় ইনিংস। আবু জায়েদকে টানা দুই বলে চার ও ছয় মারার পর আরাফাত সানির এক ওভারে দুই ছক্কা ও ১ চারে ১৯ রান নেন মেন্ডিস।
৩টি করে চার ও ছক্কায় ১৮ বলে ৩৯ করেন মেন্ডিস। শেষ ওভারে আসিফ আহমেদের (১৫ কলে ১৭*) দুটি চারে ভাইকিংস ছাড়ায় ১৮০।
ব্যাটিং ঝড়ের ইনিংসেও দারুণ বোলিং করেছেন বাঁহাতি স্পিনার সাকলাইন, ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। বিপিএল অভিষেকে ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন পেসার আবু জায়েদ।
রানটাকে তখন মনে হচ্ছিল যথেষ্টই। রংপুর শুরুতে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকলে তো জয়ের সুবাসই পেয়েছিল চিটাগং। কিন্তু কে জানত, মিসবাহ-পেরেরার মনে ছিল অন্য ভাবনা!
ভ্রমণ ক্লান্তি আর অনুশীলনের ঘাটতি নিয়ে সাকিব সুবিধা করতে পারেননি ব্যাটে-বলে। তবে সতীর্থদের অভাবনীয় পারফরম্যান্সে ঠিকই তার মুখে বিজয়ের হাসি! bdnews24
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন